জেনোসাইডের ব্যাপক সংজ্ঞা রয়েছে। শুধু গণহত্যা দিয়ে এর সংজ্ঞা বোঝায় না। এটি রোমান-গ্রিক শব্দ হওয়ায় এর পূর্ণাঙ্গ অর্থপূর্ণ শব্দ বাংলায় নেই। তাই জেনোসাইড শব্দটিকে প্রচারণায় নিয়ে আসতে হবে। তাছাড়া একাত্তরের জেনোসাইডের স্বীকৃতি পেতে রূপকল্প প্রণয়ন করে এগিয়ে যেতে হবে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে শনিবার সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম-মুক্তিযুদ্ধ ৭১ আয়োজিত বাংলাদেশ ‘জেনোসাইড ১৯৭১’ এর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী বৃহত্তম গণহত্যা বিষয়ে পশ্চিমা বিশ্বের নীরবতা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা একথা বলেন।
সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ ৭১ এর কার্যনির্বাহী সভাপতি নূরুল আলমের সভাপতিত্বে ও রাষ্ট্রদূত কামালউদ্দিনের পরিচালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিস বিভাগের গবেষণা পরিচালক ড. সঞ্জীব হোসেন।
এ ছাড়া আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ও সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জন, শহীদ সন্তান ও প্রজন্ম ৭১-এর সভাপতি আসিফ মুনীর, আমরা একাত্তর সভাপতি মাহবুব জামান, সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমেদ, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী সিকদার, লেখক ও গবেষক হারুন হাবীব, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের লেখক ও ট্রাস্টি মফিদুল হক, সাবেক আইজিপি একেএম শহীদুল হক প্রমুখ।