ইসলামের অন্যতম ইবাদত হচ্ছে দোয়া। আল্লাহর রাসূল (সা.) যে কোনো প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে দোয়ায় মগ্ন হয়ে যেতেন। হাদিসে দোয়াকে ইবাদতের মগজ বলে অভিহিত করা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যখন তোমার কাছে আমার বান্দা আমার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে (তখন বলে দাও যে), নিশ্চয়ই আমি তাদের কাছে।
প্রার্থনাকারী যখন আমাকে ডাকে, তখন আমি তার ডাকে সাড়া দিই। সুতরাং তারাও যেন আমার ডাকে সাড়া দেয় ও ঈমান আনয়ন করে। আশা করা যায়, তারা সফলকাম হবে। ’ (সূরা বাকারা, আয়াত: ১৮৬)।
দোয়া কবুলের জন্য মুমিন বান্দা আল্লাহর দরবারে শরণাপন্ন হন। বিপদ-আপদ, ক্ষমা, কিছু চাওয়া এবং ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় মুমিনগণ দুই হাত তুলে ধরেন পালনকর্তার দরবারে। আল্লাহ পাক অসীম দয়ালু ও পরম করুণাময়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। ’ সুরা মুমিন, আয়াত, ৬০।
শেষরাতে দোয়া করলে কবুল হয়
শেষ রজনী দোয়া কবুলের বিশেষ মুহূর্ত। কেননা এ সময় আল্লাহ দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেন, মহান আল্লাহ প্রতি রাতের শেষ প্রহরে (যখন রাতের এক-তৃতীয়াংশ বাকি থাকে) দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন। তিনি তখন বলেন, ‘আছ কি কোনো আহ্বানকারী, আমি তোমার ডাকে সাড়া দেব। কোনো প্রার্থনাকারী কি আছ, আমি তোমাকে যা চাও তা দেব। কেউ কি ক্ষমা প্রার্থনা করবে, আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেব। ’ (মুসলিম, হাদিস: ৭৫৮)।
ফরজ নামাজের আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময় দোয়া করা
ফরজ নামাজের পরসহ ফরজ নামাজের আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়কে দোয়া কবুলের জন্য খুবই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তখন দোয়া করলে ফিরিয়ে দেয়া হয় না। হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ের দোয়া কখনো প্রত্যাখ্যাত হয় না। ’ সুনানে আবু দাউদ।
ফরজ নামাজের পর দোয়া করা
আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার রাসূল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল! কোন সময়ের দোয়া দ্রুত কবুল হয়? তিনি জবাব দিলেন, রাতের শেষ সময়ে এবং ফরজ নামাজের পর। (তিরমিজি, হাদিস: ৩৪৯৮)।
এছাড়া রোগাক্রান্ত অবস্থায়, বালা-মসিবতের সময়, দূরবর্তী সফরের সময় এবং মা-বাবার দোয়া কবুল হয় বলে হাদিসে এসেছে।