পাকিস্তানের আইনপ্রণেতারা দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শাহবাজ শরীফকে ভোট দিয়েছেন। শরিফ একটি জোট সরকারের নেতৃত্ব দিবেন। সবচেয়ে শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবে সংসদে থাকবেন কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অনুগত স্বতন্ত্ররা। ৮ ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচনে জয়ী পাকিস্তানের আইনপ্রণেতারা নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেছেন।
পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এর প্রধান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের ছোট ভাই শাহবাজ শরীফ দ্বিতীয়বারের মতো ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। ভোটের পর জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক বলেন, ‘শাহবাজ শরীফকে পাকিস্তান ইসলামী প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করা হয়েছে।’
৩৩৬ সদস্যের জাতীয় পরিষদে শরীফ পেয়েছেন ২০১ ভোট। আগস্ট পর্যন্ত তিনিই দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
নির্বাচনের আগে আগস্টে সংসদ ভেঙে দেওয়া হয় এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থকদের বিক্ষোভের মধ্যেই পার্লামেন্টের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। পিটিআইকে দল হিসাবে নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি, কিন্তু দলটির সদস্যরা স্বতন্ত্র হিসাবে লড়াই করেও ৯৩টি আসনে জয় পেয়েছেন।পাকিস্তানের জোট সরকার
শরীফের পিএমএল-এন পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) এবং কয়েকটি ছোট দলকে সঙ্গে নিয়ে একটি জোট গঠন করেছে।
সাধারণ নির্বাচনে পিএমএল-এন ৭৫টি আসন এবং পিপিপি ৫৪টি আসন পেয়েছিল। জোটের চুক্তির অধীনে পিএমএল-এন-এর পছন্দের প্রার্থী হিসাবে প্রধানমন্ত্রী হলেন শাহবাজ শরীফ, আর জোট সঙ্গী পিপিপি রাষ্ট্রপতি হিসাবে প্রস্তাব করেছে আসিফ আলী জারদারি ভুট্টো এর নাম। অন্যদিকে, কারাবন্দী পিটিআই নেতা ইমরান খান সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৯৩টি আসনে জিতে নির্বাচনে সর্ববৃহৎ দল হলেও সরকার গঠন করতে পারেনি।ইমরানের সমর্থকেরা দেশজুড়ে বড় বড় শহরে বিক্ষোভ করেছেন এবং ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন। দুর্নীতি ও ফৌজদারি অভিযোগে কারাগারে থাকা ইমরান খানের মুক্তির আহ্বানও জানাচ্ছেন তারা।