ডলার সংকট মোকাবিলায় এবার অফশোর ব্যাংকিংয়ের নীতিমালা আরও শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।একই সঙ্গে এ নির্দেশনা জারির দিন থেকেই কার্যকর করা হয়েছে।
এ নির্দেশনার ফলে, এখন থেকে অফশোর (বৈদেশিক মুদ্রায় আমানত নিয়ে বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণ বিতরণের আলাদা ইউনিট) ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে যে পরিমাণ তহবিল বৈদেশিক মুদ্রায় দেশে আসবে, সেটা বিপরীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বাধ্যতামূলকভাবে নগদ জমা বা সিআরআর সংরক্ষণ করতে হবে না।
একই সঙ্গে অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে যে বৈদেশিক মুদ্রা আসবে, ব্যাংক ইচ্ছে করলে তার পুরোটাই স্থানীয় ব্যাংকিং ইউনিটে স্থানান্তর করতে পারবে। আগে ব্যাংকগুলো মোট মূলধনের ৪০ শতাংশের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা স্থানীয় ব্যাংকিং ইউনিটে স্থানান্তর করতে পারত।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করে, এর মাধ্যমে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটে ডলারের প্রবাহ বেশি থাকলে তা স্থানীয় ব্যাংকে স্থানান্তর করা যাবে। এতে বাজারে ডলারের প্রবাহ বাড়বে। একই সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রায় আমানতের বিপরীতে কোনো নগদ জমা রাখতে হবে বলে ব্যাংকগুলো অফশোর ব্যাংকের মাধ্যমে আমানত সংগ্রহ করতে উৎসাহিত হবে।
এর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রায় বিভিন্ন খাতে আমানত নেওয়ার সুদের হার বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংকগুলো যে পরিমাণ আমানত সংগ্রহ করে তার বিপরীতে বাধ্যতামূলকভাবে সিআরআর সংরক্ষণ করতে হয়। বর্তমানে ইসলামী ও প্রচলিত ব্যাংকগুলোকে ৪ শতাংশ হারে সিআরআর সংরক্ষণ করতে হয়।
এ খাতে কোনো ব্যাংক ব্যর্থ হলে তাকে জরিমানা করা হয়। অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রায় আমানত নিলে ২ শতাংশ সিআরআর রাখতে হতো। এখন সেটি তুলে দেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, ব্যাংকগুলো অস্বাভাবিক হারে বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণ এনে দেশের বৈদেশিক মুদ্রায় দায় সৃষ্টি করছিল। এটা থামাতে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে অফশোর ব্যাংকিং নীতিমালা কঠোর করা হয়। ওই নীতিমালায় সিআরআর সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হয়। এখন ডলারের প্রবাহ বাড়াতে সেটি তুলে দেওয়া হলো।