গতকাল বুধবারও গ্যালারি উত্তাল হলো ভুয়া-ভুয়া ধ্বনিতে। কখনো সাকিব আল হাসান, কখনো তামিম ইকবালকে লক্ষ্য করে দুয়োধ্বনি দিতে থাকেন সামর্থকরা। ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবালের থেকে রংপুর রাইডার্সের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকেই বেশি লক্ষ্যবস্তু হতে হলো। বাংলাদেশ দলের সিনিয়র এই ক্রিকেটারদের সমর্থকরা ভুয়া বলায় বিস্মিত আরেক সিনিয়র মুশফিকুর রহিম।
আজ বরিশালকে ফাইনালে তুলে ম্যাচ জয়ের নায়ক মুশফিক জানালেন, বাংলাদেশ ক্রিকেটের উত্থানে যে দুই ক্রিকেটারের অসামান্য অবদান সেই সাকিব-তামিম ভুয়া-ভুয়া ডাক শুনলে বাকি ক্রিকেটারদের মাটির ভেতরে ঢুকে যাওয়া উচিত।
মুশফিক বলেন, ‘দুজনই তারা দলের জন্য কত অবদান রাখেন। দুজনই বাংলাদেশের কিংবদন্তি ক্রিকেটার। তাদেরকে নিয়ে এই কথা বলাটাই অনৈতিক।
তারা বাংলাদেশের জন্য যা দিয়েছে ইনশাল্লাহ আরো দেবে যেটা অসমান্তরাল। ইভেন ভুয়া, ভুয়া যারা বলেন বা সাকিব আর তামিম যদি ভুয়া ভুয়া শুনে ভাই, তাহলে তো আমাদের মাটির ভেতরে ঢুকে যাওয়া উচিত।’সাকিব-তামিমকে নিয়ে সমর্থকদের এমন আচরণে দায় আছে দুই ক্রিকেটারেরও। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বিষয়টি সামনে আনলেও বিভিন্ন সময় সাকিব-তামিম নিজেরাই নিজেদের মধ্যে বৈরি সম্পর্ক উস্কে দিয়েছেন।
তারই ফল হিসেবে দুই ক্রিকেটারের সমর্থকরা গ্যালারি থেকে দুয়োধ্বনি দেন।রংপুর-বরিশাল ফাইনালে ওঠার লড়াইয়েও সেই চিত্র দেখা গেছে। এতে বরং নিজের লাভ খুঁজে পেয়েছেন মুশফিক। ৩৮ বলে অপরাজিত ৪৭ রানের ইনিংসে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। এরপর বলেন, ‘এরকম বড় ম্যাচে যদি একজন লাইমলাইটে থাকে তাহলে সবচেয়ে রিল্যাক্স থাকা যায়।
দুজন দুজনের যুদ্ধ করবে আমরা আমাদের খেলা খেলব। সহজ, সত্যি কথা। দুজনই অনেক রিল্যাক্স ছিল।’