বিএনপির নীতিনির্ধারকরা বলছেন, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কয়েকজন শীর্ষ পর্যায়ের নেতা কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার পর উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে দলে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা বলেন, নির্বাচনের বিষয়ে নীরব থেকে প্রার্থীদের বিষয়ে নমনীয় হওয়াও একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল।
সম্প্রতি ইসি ঘোষণা দিয়েছে আগামী ৪ মে থেকে চার ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে। সে অনুযায়ী দ্বিতীয় ধাপ ১১ মে, তৃতীয় ধাপ ১৮ মে ও চতুর্থ ধাপ ২৫ মে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট হবে।
বিএনপি সূত্র জানায়, ইসির ঘোষণার পর থেকে বিএনপির একটি পক্ষ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য নানা যুক্তি তুলে ধরার চেষ্টা করে। এসব নেতার বক্তব্য হচ্ছে, দল আন্দোলনও করবে না, নির্বাচনও করবে না, তাহলে নেতাকর্মীদের ধরে রাখবে কোন প্রক্রিয়ায়। তাঁরা মনে করেন, উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিলে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা মাঠে সক্রিয় হবেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় কালের কণ্ঠকে বলেন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে দলে আনুষ্ঠানিক আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হবে। সেই পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তিনি এও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জাতীয় সংসদ, স্থানীয় সরকার কিংবা স্কুল কমিটির নির্বাচন, কোনোটিই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি। ফলে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে মানুষের কোনো আগ্রহ নেই।