ঢাকা ০৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত লাখ টাকা করতে চায় ইসি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৩৩:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৫৩ বার
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর জামানত ১০ গুণ বাড়িয়ে এক লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেই সঙ্গে ভাইস চেয়ারম্যানের জামানত ১০ হাজার থেকে সাড়ে সাত গুণ বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে ২৫০ সমর্থকের স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা দাখিলের বিধান বিলুপ্তির প্রস্তাব করেছে ইসি।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা ও আচরণবিধি সংশোধনে অনুষ্ঠিত হয় ইসির ‘২৮তম কমিশন সভা’।

সভা শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ইসি সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।

সভায় উপজেলা পরিষদ (আচরণ বিধিমালা), ২০১৬ এবং স্থানীয় সরকার (উপজেলা পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩-এর বেশ কিছু বিধিমালা সংশোধনীর প্রস্তাব অনুমোদন দেয় ইসি। এসব সংশোধনী ভোটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব।

মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ২৫০ জন ভোটারের স্বাক্ষর লাগত, এটা লাগবে না।

তবে উপজেলা ভোটে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর জামানত বৃদ্ধি করে এক লাখ টাকা এবং ভাইস চেয়ারম্যানের ৭৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। কাস্টিং ভোটের ১৫ শতাংশ না পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।’

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের ক্ষেত্রে জামানত ছিল ১০ হাজার টাকা। তবে মহিলা সদস্যের ক্ষেত্রে জামানতের টাকা পাঁচ হাজারই রাখা হয়েছে।

নির্বাচন পরিচালনা বিধির সংশোধনীতে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল বাধ্যতামূলক, সমভোটের ক্ষেত্রে লটারির মাধ্যমে ফলাফল নির্ধারণ, চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যানের নির্বাচনী ব্যয় ২৫ লাখ টাকা এবং মহিলা সদস্যদের এক লাখ টাকা, মনোনয়নপত্রে লিঙ্গ হিসেবে হিজড়াদের অন্তর্ভুক্তি, নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত ও ফের ভোটগ্রহণে কমিশনের ক্ষমতা এবং মনিটরিং কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেছে ইসি।

ইসি সচিব বলেন, প্রার্থীরা সাদা-কালো পোস্টারের পাশাপাশি রঙিন পোস্টার ব্যবহার করতে পারবেন, প্রচারে পোস্টার বা ব্যানারে পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচনী প্রচারে একটির অধিক শব্দযন্ত্র (হর্ন) বা জনসভায় চারটির বেশি শব্দযন্ত্র (হর্ন) ব্যবহার না করা এবং নির্বাচনী প্রচারকাজে ব্যবহৃত মাইকিং বা শব্দ বর্ধনকারী যন্ত্রে শব্দের মানমাত্রা ৬০ ডেসিবেলের নিচে রাখার বিধির প্রস্তাব করেছে ইসি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত লাখ টাকা করতে চায় ইসি

আপডেট টাইম : ১২:৩৩:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর জামানত ১০ গুণ বাড়িয়ে এক লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেই সঙ্গে ভাইস চেয়ারম্যানের জামানত ১০ হাজার থেকে সাড়ে সাত গুণ বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে ২৫০ সমর্থকের স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা দাখিলের বিধান বিলুপ্তির প্রস্তাব করেছে ইসি।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা ও আচরণবিধি সংশোধনে অনুষ্ঠিত হয় ইসির ‘২৮তম কমিশন সভা’।

সভা শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ইসি সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।

সভায় উপজেলা পরিষদ (আচরণ বিধিমালা), ২০১৬ এবং স্থানীয় সরকার (উপজেলা পরিষদ) নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩-এর বেশ কিছু বিধিমালা সংশোধনীর প্রস্তাব অনুমোদন দেয় ইসি। এসব সংশোধনী ভোটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব।

মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ২৫০ জন ভোটারের স্বাক্ষর লাগত, এটা লাগবে না।

তবে উপজেলা ভোটে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর জামানত বৃদ্ধি করে এক লাখ টাকা এবং ভাইস চেয়ারম্যানের ৭৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। কাস্টিং ভোটের ১৫ শতাংশ না পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।’

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের ক্ষেত্রে জামানত ছিল ১০ হাজার টাকা। তবে মহিলা সদস্যের ক্ষেত্রে জামানতের টাকা পাঁচ হাজারই রাখা হয়েছে।

নির্বাচন পরিচালনা বিধির সংশোধনীতে অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল বাধ্যতামূলক, সমভোটের ক্ষেত্রে লটারির মাধ্যমে ফলাফল নির্ধারণ, চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যানের নির্বাচনী ব্যয় ২৫ লাখ টাকা এবং মহিলা সদস্যদের এক লাখ টাকা, মনোনয়নপত্রে লিঙ্গ হিসেবে হিজড়াদের অন্তর্ভুক্তি, নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত ও ফের ভোটগ্রহণে কমিশনের ক্ষমতা এবং মনিটরিং কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেছে ইসি।

ইসি সচিব বলেন, প্রার্থীরা সাদা-কালো পোস্টারের পাশাপাশি রঙিন পোস্টার ব্যবহার করতে পারবেন, প্রচারে পোস্টার বা ব্যানারে পলিথিনের ব্যবহার নিষিদ্ধের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচনী প্রচারে একটির অধিক শব্দযন্ত্র (হর্ন) বা জনসভায় চারটির বেশি শব্দযন্ত্র (হর্ন) ব্যবহার না করা এবং নির্বাচনী প্রচারকাজে ব্যবহৃত মাইকিং বা শব্দ বর্ধনকারী যন্ত্রে শব্দের মানমাত্রা ৬০ ডেসিবেলের নিচে রাখার বিধির প্রস্তাব করেছে ইসি।