ঢাকা ০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বাধীনতার মূল আদর্শে আঘাত করেছে আ.লীগ: মঈন খান

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৪২:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৪২ বার

দেশের স্বাধীনতার মূল আদর্শে আওয়ামী লীগ আঘাত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেন, দেশের এই ক্রান্তিকালে আমরা একটা আন্দোলনে আছি। সেই আন্দোলনটা হচ্ছে, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার। বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে। বিশ্বের ইতিহাসে অনন্য একটি নাম বাংলাদেশ। যে দেশের স্বাধীনতার জন্য লাখ লাখ মানুষ বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন। কিন্তু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সেই স্বাধীনতার মূল আদর্শে বারবার আঘাত করেছে। রোববার সকালে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মঈন খান আরও বলেন, আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম পাকিস্তানের একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে। বলেছিলাম, পাকিস্তানের অবকাঠামোর ভেতরে কোনোদিন গণতন্ত্র হতে পারে না। প্রতিবাদ করেছিলাম, বাংলাদেশ তথা পূর্ব পাকিস্তানের ২২টি পরিবারের বিরুদ্ধে। এ দেশের মানুষের অর্থনৈতিক অধিকার কেড়ে নিয়েছিল, এটা হতে পারে না। আমরা যুদ্ধ করেছিলাম-এক. বাংলাদেশে গণতন্ত্র থাকবে; দুই. এ দেশের দরিদ্র মানুষের অর্থনীতির অধিকার নিশ্চিত থাকবে।

তিনি অভিযোগ করেন, ৭ জানুয়ারি আগেই নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল, কে কোন সিট থেকে জয়ী হবেন। কারণ এ দেশে গণতন্ত্র নেই। এজন্য আগেই ভাগবাঁটোয়ারা করে নিয়েছেন।’

‘আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের যে হামলা, সেটি ছিল সরকারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরোধী দলের ওপর ক্র্যাকডাউন। বিশ্ব মিডিয়া বলেছে, ক্র্যাকডাউনের মাধ্যমে সরকার নতুন করে এ দেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। এর ফলে যে সংসদ ও সরকার গঠিত হয়েছে, সেটি জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না।

আওয়ামী লীগ বাকশালী চেতনা লালন করে মন্তব্য করে মঈন খান বলেন, আমাদের সংবিধানে যে অধিকার মানুষকে দেওয়া হয়েছে, সেটা হচ্ছে ভোটের অধিকার; মানুষের কথা বলার অধিকার। সাংবিধানিক অধিকারের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল গঠিত হয়েছে, আমরা কথা বলছি। আজকে সরকার যদি বিএনপি তথা বিরোধী দলগুলোকে নিষিদ্ধ করে বাকশাল নতুন করে কায়েম করে, এ রকম তারা একবার করেছিল সংসদের ভেতরে ১১ মিনিটের ব্যবধানে। বাকশাল নতুন করে কায়েম করলে প্রমাণিত হবে এ আওয়ামী লীগ সরকার; যারা নিজেদের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলে দাবি করে, সেটা তাদের ভুয়া দাবি। তারা কোনো দিন গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চায়। সেই পথেই হাঁটছে তারা। এটাই তাদের মানসিকতা।’ এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, সদস্য সচিব মজিবুর রহমান, কাজী মনিরুজ্জামান মনির, মোফাখখারুল ইসলাম রানা, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব মো. আবদুর রহিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

স্বাধীনতার মূল আদর্শে আঘাত করেছে আ.লীগ: মঈন খান

আপডেট টাইম : ১০:৪২:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

দেশের স্বাধীনতার মূল আদর্শে আওয়ামী লীগ আঘাত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেন, দেশের এই ক্রান্তিকালে আমরা একটা আন্দোলনে আছি। সেই আন্দোলনটা হচ্ছে, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার। বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে। বিশ্বের ইতিহাসে অনন্য একটি নাম বাংলাদেশ। যে দেশের স্বাধীনতার জন্য লাখ লাখ মানুষ বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন। কিন্তু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সেই স্বাধীনতার মূল আদর্শে বারবার আঘাত করেছে। রোববার সকালে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মঈন খান আরও বলেন, আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম পাকিস্তানের একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে। বলেছিলাম, পাকিস্তানের অবকাঠামোর ভেতরে কোনোদিন গণতন্ত্র হতে পারে না। প্রতিবাদ করেছিলাম, বাংলাদেশ তথা পূর্ব পাকিস্তানের ২২টি পরিবারের বিরুদ্ধে। এ দেশের মানুষের অর্থনৈতিক অধিকার কেড়ে নিয়েছিল, এটা হতে পারে না। আমরা যুদ্ধ করেছিলাম-এক. বাংলাদেশে গণতন্ত্র থাকবে; দুই. এ দেশের দরিদ্র মানুষের অর্থনীতির অধিকার নিশ্চিত থাকবে।

তিনি অভিযোগ করেন, ৭ জানুয়ারি আগেই নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল, কে কোন সিট থেকে জয়ী হবেন। কারণ এ দেশে গণতন্ত্র নেই। এজন্য আগেই ভাগবাঁটোয়ারা করে নিয়েছেন।’

‘আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের যে হামলা, সেটি ছিল সরকারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরোধী দলের ওপর ক্র্যাকডাউন। বিশ্ব মিডিয়া বলেছে, ক্র্যাকডাউনের মাধ্যমে সরকার নতুন করে এ দেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। এর ফলে যে সংসদ ও সরকার গঠিত হয়েছে, সেটি জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না।

আওয়ামী লীগ বাকশালী চেতনা লালন করে মন্তব্য করে মঈন খান বলেন, আমাদের সংবিধানে যে অধিকার মানুষকে দেওয়া হয়েছে, সেটা হচ্ছে ভোটের অধিকার; মানুষের কথা বলার অধিকার। সাংবিধানিক অধিকারের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল গঠিত হয়েছে, আমরা কথা বলছি। আজকে সরকার যদি বিএনপি তথা বিরোধী দলগুলোকে নিষিদ্ধ করে বাকশাল নতুন করে কায়েম করে, এ রকম তারা একবার করেছিল সংসদের ভেতরে ১১ মিনিটের ব্যবধানে। বাকশাল নতুন করে কায়েম করলে প্রমাণিত হবে এ আওয়ামী লীগ সরকার; যারা নিজেদের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলে দাবি করে, সেটা তাদের ভুয়া দাবি। তারা কোনো দিন গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চায়। সেই পথেই হাঁটছে তারা। এটাই তাদের মানসিকতা।’ এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, সদস্য সচিব মজিবুর রহমান, কাজী মনিরুজ্জামান মনির, মোফাখখারুল ইসলাম রানা, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব মো. আবদুর রহিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।