মদনে মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার কাকন
মদন (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি : নেত্রকোণা মদন উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের বাঁশরী উত্তর পাড়ার মৃত দুলাল মিয়া’র ছেলে আইনুল মাজেদীন কাকন মিয়া (৪১) কে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন বাঁশরী জয়নগর গ্রামের মৃত নায়েব আলীর ছেলে তৈয়ব আলী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জয়নগর মৌজায় ২৬২ খতিয়ানে ৯৯০ দাগে তৈয়ব আলীর বাড়ির সামনে কাকন মিয়া’র ২৮ শতাংশ ফসলি জমি রয়েছে। হজ্বে যাওয়ার উদ্দেশ্যে উক্ত ভূমি বিক্রি করতে তৈয়ব আলী কাছে গেলে তিনি জমি রাখতে অপারগতা প্রকাশ করেন। পরে ঐ গ্রামেরই শামছুল ইসলামের ছেলে রাসেল ও জুলহাসের কাছে উক্ত জমি বিক্রি করেন।
পরবর্তীতে উক্ত ভূমি রেজিস্ট্রি করতে গেলে, দলিল রেজিষ্ট্রী না করতে, সাব-রেজিস্টার বরাবর তৈয়ব আলী আবেদন করলে তিনি ১-সপ্তাহ সময় দেন। এ সুযোগে তৈয়ব আলী কাকনের বিরুদ্ধে কোর্টে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এছাড়াও জমি অন্যত্র বিক্রি করলে কাকনকে মেরা ফেলার হুমকি দেয়। প্রাণনাশের ভয়ে কাকন তার জমিতে বোরো ফসল আবাদ করতে পারছে না। এমনকি তার গ্রামের বাড়িতেও যেতে পারছেন না।
তৈয়ব আলীর ভাই আইয়ুব আলী ওরফে ঠাকুর মিয়া জানান, গত ৬ মাস পূর্বে আমার মাধ্যমে মৃত দুলাল মিয়াকে জমি ক্রয় বাবদ ২ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। আবার তৈয়ব আলীর স্ত্রী বলেন, ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছি। কিন্তু মামলায় উল্লেখ করা হয় ২০২২ সালে টাকা দেয়া হয়েছে। আরেক স্বাক্ষী আঃ করিম জানান, ১ বছর আগে আমার সামনে মৃত দুলাল মিয়া ২ লক্ষ টাকা নিয়েছিলো। অর্থাৎ প্রত্যেকের বক্তব্য ভিন্ন ভিন্ন।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারী) বাঁশরী উত্তর পাড়া জামে মসজিদে গেলে, মসজিদে উপস্থিত সকল মুসল্লী এক বাক্যে বলেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তৈয়ব আলী মূলত কাকনকে বেকায়দায় ফেলে কম মূল্যে জমিটি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এছাড়াও নায়েকপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সাদেকুর রহমান সাদেক জানান, আমার জানামতে দুলাল মিয়া তৈয়বের কাছ থেকে কোনো টাকা-পয়সা নেয়নি।
কাকন জানান, হজ্ব করার উদ্দেশ্যে উক্ত জমি তৈয়ব আলীর কাছে বিক্রির জন্য গিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি জমি কিনতে তালবাহানা করায় অন্যত্র বিক্রি করে দেই। সে আমার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে এবং মেরে ফেলারও হুমকি দিচ্ছে। জীবন নাশের আশংকায় থানা জিডি করেছি। এখন হজ্বে যাওয়া ব্যাহত হবে মনে হচ্ছে।