ঢাকা ০১:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নীল রঙের কলা ‘ব্লু জাভা’, আইসক্রিমের মতো স্বাদ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৪৬:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪
  • ৭২ বার

সারা বিশ্বেই পুষ্টিকর খাবার হিসেবে পরিচিত কলা। এটি এমন একটি খাবার যা সাধারণত প্রতিটি ঘরে দেখা যায়। এ ছাড়া এই ফল সব সময় বাজারেও পাওয়া যায়।

সাধারণত আমরা সবুজ বা হলুদ রঙের কলা খেয়ে থাকি। কিন্তু এবার এক ধরনের কলার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে যার রং হল নীল। এই কলার নামকরণ করা হয়েছে ব্লু জাভা ব্যানানা। এ ছাড়া রঙের মত সিঙ্গাপুরি কলা কিংবা পেকে যাওয়া হলুদ মর্তমান বা অন্যান্য কলার থেকে এই নতুন ধরনের কলা স্বাদেও একদম আলাদা।

বাংলাদেশ ও প্রতিবেশী দেশগুলোতে জনপ্রিয় না হলেও আইসক্রিমের মতো স্বাদের এই নীল কলা মূলত দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে পাওয়া যায়। হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে এই ধরনের কলা খুবই বিখ্যাত।

ব্লু জাভা ব্যানানা তার স্বাদের জন্য খুব জনপ্রিয়। জিভে জল আনা বলতে যা বোঝায়। একইসঙ্গে এর উপকারিতাও কম নয়।

এই নীল রংয়ের কলা সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে। সেখানে একে বলা হয় আইসক্রিম ব্যানানা। বিশেষ করে ভ্যানিলা আইসক্রিমের মতো স্বাদ এই নীল রঙের কলার। একইসঙ্গে এর উপকারীতাও অনেক।

ব্লু জাভা ব্যানানা

এটি একটি হাইব্রিড ফল। অন্য দু’ধরনের কলা Musa balbisiana এবং Musa acuminata- র মধ্যে হাইব্রিড করেই এই কলার ফলন হয়। অনেক শীতেও এই কলার ফলন হতে পারে। ফ্রিজিং পয়েন্ট অর্থাৎ হিমাঙ্কের নীচের তাপমাত্রাতেও ভালো থাকে এই নীল রঙের কলা। তবে এই কলার ফলনের জন্য আদর্শ তাপমাত্রা হল ৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট। কাঁচা অবস্থায় নীলাভ রং থাকলেও পেকে গেলে একটা হালকা হলুদ আভা দেখা দেয় খোসায়।

ব্লু জাভা ব্যানানার উপকারিতা

শুধু দেখতে নয় পুষ্টিগুণেও ভরপুর নীল কলা। কোনও রাসায়নিক ছাড়াই সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি হয় ফল।

ফাইবার, ম্যাংগানিজ, ভিটামিন সি এবং বি৬ সবই রয়েছে এই ফলে।

নীল কলায় থাকে ১০৫ ক্যালোরি। ফলে আপনি যদি কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার ডায়েটে রাখতে চান তাহলে এই কলা খেতে পারেন প্রতিদিন একটা করে। পাশাপাশি অনেকে আইসক্রিম বানাতেও কাজে লাগায় ব্লু জাভাকে।

ভিটামিন, মিনারেল এবং প্রোটিনের খনি এই নীল কলা। ভিটামিন সি, ভিটামিন বি ৬, কপার, ম্যাংগানিজ, পটাশিয়াম, আয়রনের মতো নানা ধরনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকে এই ব্লু জাভা কলাতে।

এই কলা নিয়মিত খেলে ফাইবারের ঘাটতিও মেটার পাশাপাশি দূর হবে গ্যাসের সমস্যা। এ ছাড়া হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে ব্লু জাভা কলা।

এই ফলে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকায় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রেখে হার্টকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে ব্লু জাভা কলা। এ ছাড়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই কলা খুব ভাল। ফাইবারের পরিমাণ এতে বেশি থাকায় নিয়ন্ত্রণে থাকে সুগারও।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

নীল রঙের কলা ‘ব্লু জাভা’, আইসক্রিমের মতো স্বাদ

আপডেট টাইম : ১১:৪৬:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪

সারা বিশ্বেই পুষ্টিকর খাবার হিসেবে পরিচিত কলা। এটি এমন একটি খাবার যা সাধারণত প্রতিটি ঘরে দেখা যায়। এ ছাড়া এই ফল সব সময় বাজারেও পাওয়া যায়।

সাধারণত আমরা সবুজ বা হলুদ রঙের কলা খেয়ে থাকি। কিন্তু এবার এক ধরনের কলার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে যার রং হল নীল। এই কলার নামকরণ করা হয়েছে ব্লু জাভা ব্যানানা। এ ছাড়া রঙের মত সিঙ্গাপুরি কলা কিংবা পেকে যাওয়া হলুদ মর্তমান বা অন্যান্য কলার থেকে এই নতুন ধরনের কলা স্বাদেও একদম আলাদা।

বাংলাদেশ ও প্রতিবেশী দেশগুলোতে জনপ্রিয় না হলেও আইসক্রিমের মতো স্বাদের এই নীল কলা মূলত দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে পাওয়া যায়। হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে এই ধরনের কলা খুবই বিখ্যাত।

ব্লু জাভা ব্যানানা তার স্বাদের জন্য খুব জনপ্রিয়। জিভে জল আনা বলতে যা বোঝায়। একইসঙ্গে এর উপকারিতাও কম নয়।

এই নীল রংয়ের কলা সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে। সেখানে একে বলা হয় আইসক্রিম ব্যানানা। বিশেষ করে ভ্যানিলা আইসক্রিমের মতো স্বাদ এই নীল রঙের কলার। একইসঙ্গে এর উপকারীতাও অনেক।

ব্লু জাভা ব্যানানা

এটি একটি হাইব্রিড ফল। অন্য দু’ধরনের কলা Musa balbisiana এবং Musa acuminata- র মধ্যে হাইব্রিড করেই এই কলার ফলন হয়। অনেক শীতেও এই কলার ফলন হতে পারে। ফ্রিজিং পয়েন্ট অর্থাৎ হিমাঙ্কের নীচের তাপমাত্রাতেও ভালো থাকে এই নীল রঙের কলা। তবে এই কলার ফলনের জন্য আদর্শ তাপমাত্রা হল ৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট। কাঁচা অবস্থায় নীলাভ রং থাকলেও পেকে গেলে একটা হালকা হলুদ আভা দেখা দেয় খোসায়।

ব্লু জাভা ব্যানানার উপকারিতা

শুধু দেখতে নয় পুষ্টিগুণেও ভরপুর নীল কলা। কোনও রাসায়নিক ছাড়াই সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি হয় ফল।

ফাইবার, ম্যাংগানিজ, ভিটামিন সি এবং বি৬ সবই রয়েছে এই ফলে।

নীল কলায় থাকে ১০৫ ক্যালোরি। ফলে আপনি যদি কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার ডায়েটে রাখতে চান তাহলে এই কলা খেতে পারেন প্রতিদিন একটা করে। পাশাপাশি অনেকে আইসক্রিম বানাতেও কাজে লাগায় ব্লু জাভাকে।

ভিটামিন, মিনারেল এবং প্রোটিনের খনি এই নীল কলা। ভিটামিন সি, ভিটামিন বি ৬, কপার, ম্যাংগানিজ, পটাশিয়াম, আয়রনের মতো নানা ধরনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকে এই ব্লু জাভা কলাতে।

এই কলা নিয়মিত খেলে ফাইবারের ঘাটতিও মেটার পাশাপাশি দূর হবে গ্যাসের সমস্যা। এ ছাড়া হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে ব্লু জাভা কলা।

এই ফলে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকায় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রেখে হার্টকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে ব্লু জাভা কলা। এ ছাড়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই কলা খুব ভাল। ফাইবারের পরিমাণ এতে বেশি থাকায় নিয়ন্ত্রণে থাকে সুগারও।