হুমায়ূন আহমেদ নুহাশপল্লীর মাটিতে শান্তিতে ঘুমিয়ে আচেন হুমায়ূনকে শ্রদ্ধা

বাংলাসাহিত্যের তুমল জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ চলে গেছেন চার বছর আগে আজকের এই দিনে। গাজীপুরের পিরুজালী গ্রামে নিজের হাতে গড়া নন্দনকানন নুহাশপল্লীতে লেখক চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন। শ্রাবণ দিনে বৃষ্টি ভেজা হয়ে হুমায়ূনের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন লেখকের স্বজন ও ভক্তরা।

হুমায়ূন আহমেদের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীর দিন সকাল ১০টায় নুহাশ পল্লীতে ভাইয়ের কবর জিয়ারত করেন
লেখকের দুই ভাই মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও আহসান হাবীব। এরপর ঢাকায় ফিরে যান তাঁরা। এর আগে দুই ছেলে নিষাদ ও নিনিতকে নিয়ে সকাল বেলায় কবর জিয়ারত করেন হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন। হুমায়ূন আহমেদের বই প্রকাশ করেছেন এমন ১৩ জন প্রকাশকও তাঁর কবর জিয়ারত করেন।

এদিন নুহাশপল্লীতে উপস্থিত ছিল পার্শ্ববর্তী এলাকার মাদ্রাসা ও এতিমখানার ৫০০ জন শিশু-কিশোর।তারা সকাল থেকেই কোরআন তিলাওয়াত ও দোয়া-দরুদ পড়ে।

সকাল থেকেই হুমায়ূন আহমেদের কবরের পাশে ছিলেন লেখকপত্নী মেহের আফরোজ শাওন। তিনি জানালেন, ২০১২ সালের ১৯ জুলাই লেখক চলে যাওয়ার পর থেকে প্রতিটি দিনই তার ও পরিবারের কাছে শোকের।

তিনি বলেন, হুমায়ূন আহমেদ নুহাশপল্লীর মাটিতে শান্তিতে ঘুমিয়ে আচেন। এখানকার প্রতিটি ইঞ্চিতে ওনার ছোঁয়া আছে এখানে মাটি দেখছেন, সেটা কিন্তু এখানকার মাটি না। গাছের প্রয়োজনে তিনি বিভিন্ন জায়গা থেকে এখানে মাটি এনে এই পল্লী গড়ে তুলেছেন। আমি নিশ্চিত হুমায়ূন আহমেদ এখানে শান্তিতেই ঘুমিয়ে আছেন।’

শাওন বলেন, তিনি বেঁচে থাকতে আমার শ্বশুর শহীদ ফয়জুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে যে রকম আয়োজন করতেন, আমরাও সেভাবে সাজিয়েছি। সকাল থেকে সাড়ে ৫শ এতিম শিশু কোরআন খতম করেছে। সবাইকে নিয়ে আমি কবর জিয়ারত করেছি। তিনি নিজের হাতে এতিমদের খাওয়াতেন। আজ আমি নিজের হাতে তাদের খাইয়ে দিয়েছি। গাজীপুরের বিভিন্ন এতিমখানা থেকে দাওয়াত দিয়ে আমরা এখানে তাদের এনেছি।’

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর