ঢাকা ০৯:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২৫, ২০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কান্দিল বেলুচের যেসব কথা বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৫০:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই ২০১৬
  • ৩৪০ বার

কান্দিল কে ছিলেন? কেমন ছিলেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে তার বিতর্কীত হবার কারণগুলো প্রথমে সামনে আসে। কান্দিল কখনো প্রিয় ক্রিকেটারকে খোলা পোস্টে প্রেম নিবেদন করে তার জন্য নগ্ন নাচ দেখানোর ঘোষণা করেতেন। কখনো বিখ্যাত ধর্মগুরুর ‘চরিত্র এক্সপোজ’ করেছেন। তার এই চরিত্র সমাজে, পরিবারে অনেকেরই অস্বস্তির কারণ হয়ে ওঠে সন্দেহ নেই। আরো আগেই খুন হতে পারেন বলে আশঙ্কাও করেছিলেন তিনি। নিজের আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন পুলিশকেও। নিরাপত্তা চেয়েছিলেন। কিন্তু নিজের বাড়িতে, নিজের ভাইয়ের হাতেই খুন হতে হল শেষ পর্যন্ত।

কান্দিলের বিতর্কীত পোস্ট

১৪ জুলাই কান্দিল পোস্ট করেছিলেন, “একজন মেয়ে হিসেবে আমাদের নিজেদেরকেই উঠে দাঁড়াতে হবে। আর একজন মেয়ে হিসেবে একজনের পাশে অন্যজনকে দাঁড়াতে হবে। লড়াই করতে হবে সুবিচারের জন্য। আমি নিজেকে একজন আধুনিক সময়ের নারীবাদী মনে করি। আমি সমান অধিকারে বিশ্বাস করি। মেয়েদের কেমন হওয়া উচিত এটা আমরা ঠিক করে দিতে পারি না। শুধু সমাজের কথা ভেবে নিজেদের পরিচয়ে তকমা লাগানোর কোনো প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয় না। আমি শুধুমাত্র একজন মুক্ত চিন্তা এবং মুক্ত মনের নারী এবং আমি যেমন আমি তেমন থাকতেই ভালবাসি”।

অতি সম্প্রতি পাকিস্তানের এক প্রথম সারির ধর্মগুরু মুফতি আবদুল কাভির সঙ্গে সেলফি পোস্ট করে হুলুস্থুল ফেলে দিয়েছিলেন কান্দিল। রমজান চলাকালীন করাচির এক হোটেলের ঘরে তোলা এই ছবি পোস্ট হতেই সমালোচনার ঝড় ওঠে। একটি ছবিতে ওই ধর্মীয় নেতার টুপিও মাথায় দিয়ে ছিলেন কান্দিল। তুমুল বিতর্কের জেরে ওই ধর্মীয় নেতাকে ইদের চাঁদ দেখার কমিটি থেকে বরখাস্ত করে পাকিস্তান সরকার। কাভি সাফাই দেন, ইসলাম নিয়ে আলোচনা করতেই তিনি কান্দিলের কাছে গিয়েছিলেন।

কিন্তু কান্দিল এখানেও থেমে থাকেননি। সোশ্যাল সাইটে লেখেন, ‘মুফতি কী করে নিজেকে ইসলামের অভিভাবক বলেন? উনি তো ইসলামের নামে কলঙ্ক। উনি অনুরাগীদের সামনে এক রকম, আলাদা থাকলে আর এক রকম। একটি টিভি শোয়ের প্যানেলে আমাদের আলাপ হয়েছিল। সেখানে আমার ফোন নম্বর আলাদা করে চেয়েছিলেন। আমার সঙ্গে একেবারেই সম্মানজনক ব্যবহার করেননি। ফলে এই লোকটাকে আমি এক্সপোজ করতেই চেয়েছিলাম।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

কান্দিল বেলুচের যেসব কথা বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল

আপডেট টাইম : ১০:৫০:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই ২০১৬

কান্দিল কে ছিলেন? কেমন ছিলেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে তার বিতর্কীত হবার কারণগুলো প্রথমে সামনে আসে। কান্দিল কখনো প্রিয় ক্রিকেটারকে খোলা পোস্টে প্রেম নিবেদন করে তার জন্য নগ্ন নাচ দেখানোর ঘোষণা করেতেন। কখনো বিখ্যাত ধর্মগুরুর ‘চরিত্র এক্সপোজ’ করেছেন। তার এই চরিত্র সমাজে, পরিবারে অনেকেরই অস্বস্তির কারণ হয়ে ওঠে সন্দেহ নেই। আরো আগেই খুন হতে পারেন বলে আশঙ্কাও করেছিলেন তিনি। নিজের আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন পুলিশকেও। নিরাপত্তা চেয়েছিলেন। কিন্তু নিজের বাড়িতে, নিজের ভাইয়ের হাতেই খুন হতে হল শেষ পর্যন্ত।

কান্দিলের বিতর্কীত পোস্ট

১৪ জুলাই কান্দিল পোস্ট করেছিলেন, “একজন মেয়ে হিসেবে আমাদের নিজেদেরকেই উঠে দাঁড়াতে হবে। আর একজন মেয়ে হিসেবে একজনের পাশে অন্যজনকে দাঁড়াতে হবে। লড়াই করতে হবে সুবিচারের জন্য। আমি নিজেকে একজন আধুনিক সময়ের নারীবাদী মনে করি। আমি সমান অধিকারে বিশ্বাস করি। মেয়েদের কেমন হওয়া উচিত এটা আমরা ঠিক করে দিতে পারি না। শুধু সমাজের কথা ভেবে নিজেদের পরিচয়ে তকমা লাগানোর কোনো প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয় না। আমি শুধুমাত্র একজন মুক্ত চিন্তা এবং মুক্ত মনের নারী এবং আমি যেমন আমি তেমন থাকতেই ভালবাসি”।

অতি সম্প্রতি পাকিস্তানের এক প্রথম সারির ধর্মগুরু মুফতি আবদুল কাভির সঙ্গে সেলফি পোস্ট করে হুলুস্থুল ফেলে দিয়েছিলেন কান্দিল। রমজান চলাকালীন করাচির এক হোটেলের ঘরে তোলা এই ছবি পোস্ট হতেই সমালোচনার ঝড় ওঠে। একটি ছবিতে ওই ধর্মীয় নেতার টুপিও মাথায় দিয়ে ছিলেন কান্দিল। তুমুল বিতর্কের জেরে ওই ধর্মীয় নেতাকে ইদের চাঁদ দেখার কমিটি থেকে বরখাস্ত করে পাকিস্তান সরকার। কাভি সাফাই দেন, ইসলাম নিয়ে আলোচনা করতেই তিনি কান্দিলের কাছে গিয়েছিলেন।

কিন্তু কান্দিল এখানেও থেমে থাকেননি। সোশ্যাল সাইটে লেখেন, ‘মুফতি কী করে নিজেকে ইসলামের অভিভাবক বলেন? উনি তো ইসলামের নামে কলঙ্ক। উনি অনুরাগীদের সামনে এক রকম, আলাদা থাকলে আর এক রকম। একটি টিভি শোয়ের প্যানেলে আমাদের আলাপ হয়েছিল। সেখানে আমার ফোন নম্বর আলাদা করে চেয়েছিলেন। আমার সঙ্গে একেবারেই সম্মানজনক ব্যবহার করেননি। ফলে এই লোকটাকে আমি এক্সপোজ করতেই চেয়েছিলাম।’