মদন (নেত্রকোণা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোণা মদন উপজেলায় কালোবাজারি সার ব্যবসা এখন রমরমা। আর এ কাজে সহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে মদন উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরে কর্মরত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ বলছেন, কৃষি অফিস এখন ব্রাদার্স এন্টারপ্রাইজে। কেউ কেউ ধারণা করছেন, ব্রাদার্স এন্টারপ্রাইজ কৃষি কর্মকর্তাদের যৌথ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
রোববার (১৪ জানুয়ারী) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দেওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা যায়, মদন কৃষি অধিদপ্তরে কর্মরত উপ-সহকারী দিদারুল ইসলামের উপস্থিতিতে বোঝায় ভর্তি ট্রাক হতে ব্রাদার্স এন্টারপ্রাইজ অর্থাৎ সার ব্যবসায়ী তানভীরের দোকানে ইউরিয়া সার নামানো হচ্ছে। যার গাড়ী নং- ঢাকা মেট্রো ট-১৬-২০১৯। ভাউচার দেখতে চাইলে, তারা কোনো ভাউচার দেখাতে পারেননি।
অন্যান্য সার ব্যবসায়ী জানান, তানভীর একজন খুচরা ডিলার। যে মেইন ডিলারের কাছ থেকে সারও নেয় না অথচ ট্রাকের-ট্রাক কালোবাজারি সার তার দোকানে। কৃষি অফিসের লোকজন সারাক্ষণ তার দোকানেই আড্ডা-মাস্তিতে দিন পার করেন। তাদের চোখের সামনেই এসব অনিয়ম হচ্ছে। আমরা সন্দেহ করছি কালোবাজারির সাথে কৃষি অফিসের লোকজন জরিত।
গত ২ সপ্তাহ উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ সার ব্যবসায়ীর সার বেচা-কেনার অনুমোদন নেই। অধিকাংশ খুচরা ডিলার তার নিজের ওয়ার্ডে সার বিক্রি করেন না। নেই কোনো মনিটরিং। যা আছে, তা শুধু কাগজে-কলমে ও ফটোসেশানে।
প্রকৃত ব্যবসায়ীরা খুচরা সার বিক্রির জন্য কৃষি অফিসের বারান্দায় ঘুরতে ঘুরতে জুতো ক্ষয় হয়ে গেলেও মিলছেনা অনুমোদন। কিন্তু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ইউপি সদস্যরা টিকই পাচ্ছে সার বিক্রির অনুমোদন। বিভিন্ন অনিয়মের বিষয় প্রমাণ সহ তুলে ধরলে অফিসারের কমন বক্তব্য “দেখছি”।
এছাড়াও মদন উপজেলার সার, আটপাড়া ও খালিয়াজুরী উপজেলায় পাচার হওয়ার বিষয়টি কৃষি অফিসারকে নিশ্চিত করলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। এমনকি খালিয়াজুরীতে সার পাচার কালে সাংবাদিকরা বিষয়টি অফিসারকে নিশ্চিত করলেও তিনি সেখানে যাননি।
কৃষি অফিসার মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, তানভীর আমাকে জানিয়ে সার এনেছেন। সারের কোনো ঘাটতি যাতে না ঘটে তাই অনুমতি দিয়েছি। সার যখন পাচার হয়ে যায়, তখন কেনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না? জানতে চাওয়া হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।