এক যুগে যে হারে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ বেড়েছে, সেই হারে রিজার্ভ বাড়েনি। ঋণের বিপরীতে কমেছে রিজার্ভের অনুপাত। বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের ‘বৈশ্বিক ঋণ প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়।
বৈদেশিক ঋণের বিপরীতে রিজার্ভের অনুপাত কম থাকলে আর্থিক ঝুঁকি বাড়ে। ঋণ পরিশোধের সক্ষমতাও কমে। ৭ বছর ধরে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা গড় হারে কমছে। মাঝে এক বছর বাড়লেও তা স্থায়ী হয়নি। তবে এখনো দেশটি বৈদেশিক ঋণের কোনো কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হয়নি বলে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
আরও বলা হয়, জিডিপির তুলনায় ঋণের অনুপাতে দেশটিতে কোনো ঝুঁকিও নেই। মোট জাতীয় আয়ের তুলনায় বৈদেশিক ঋণের অনুপাত ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ২০১২ সালে ছিল ২০ শতাংশ। পরে তা কমতে থাকে।
২০২০ সালে ছিল ১৮ দশমিক ৯ শতাংশ। এরপর থেকে ঋণ বাড়ায় এই অনুপাত আবার বেড়ে যায়। ২০২১ সালে জাতীয় আয়ের বিপরীতে ঋণের অনুপাত ছিল ২০ দশমিক ৯ শতাংশ। ২০২১ সালে কমে দাঁড়ায় ২০ দশমিক ৩ শতাংশে।