হাওর বার্তা ডেস্কঃ নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে মহাসড়কে নাশকতা, সহিংসতা ও পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় ১০ জনকে রাজধানীর গুলশানের একটি পাঁচ তারকা হোটেল থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
র্যাব জানায়, আসামিরা গুলশানের একটি ফাইভ স্টার হোটেলে বসে ঢাকা এবং সারা দেশে নাশকতার সব পরিকল্পনা করেছিল। তবে কোন হোটেল থেকে এসব করা হচ্ছে তার নাম বলেনি র্যাব।
যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা হলেন- জুয়েল আহম্মেদ, ইফসুফ আলী ভুইয়া, মাসুম শিকারী, হাবিবুর রহমান সেলিম, শফিউদ্দিন ভুইয়া, শফিউদ্দিন ভুইয়া, মাসুকুল ইসলাম, শাকিল মিয়া, আরমান মোল্লা ও হাবিবুর রহমান।
বৃহস্পতিবার র্যাব সদর দপ্তরে গ্রেফতারদের বিষয়ে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে- ওই ১০ জন দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে ৩১ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জে ধারালো অস্ত্র, লাঠিসোটা, ইট-পাথর, ককটেল বোমা ফাটিয়ে মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে।
মঈন বলেন, এরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে টায়ার পুড়িয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। এ সময় মহাসড়কে অ্যাম্বুলেন্স, গণপরিবহণসহ বিভিন্ন যানবাহনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
তিনি বলেন, একপর্যায়ে তারা ধারালো অস্ত্র, লাঠিসোটা ও ইট-পাথর নিক্ষেপ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। এদের ৩ জন পুলিশ সদস্যকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোসহ বিভিন্নভাবে গুরুতর জখম করে।
মঈন বলেন, পরে তারা আরও বেপরোয়া হয়ে একপর্যায়ে নরসিংদী টু ঢাকাগামী কয়েকটি গাড়ির গতিরোধ করে ভাঙচুরসহ পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির লক্ষ্যে মহাসড়কে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
তিনি বলেন, হামলা ও নাশকতার পর জড়িতরা রাজধানীর গুলশান ও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন পাঁচ তারকা হোটেল ও নামিদামি হোটেলে নিরাপদে আত্মগোপনের জন্য অবস্থান করে। নামিদামি হোটেলে অবস্থান করে তারা বিভিন্ন সময় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নাশকতা ও সহিংসতার পরিকল্পনা করছিল।