ঢাকা ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সোনালী ধানের শীষে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪৮:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ অক্টোবর ২০২৩
  • ৬০ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সোনালী ধানের শীষে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। আবহাওয়া ভালো থাকায় রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে জামালপুর জেলায়। কৃষকরা বলছেন, মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হওয়ায় এ বছর আমন আবাদের জন্য আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। ধানের চারা থেকে কয়েকদিন পর বের হবে থোর।

শনিবার (২১ অক্টোবর) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও জামালপুর সদরে ফসলের মাঠের কোথাও ফাঁকা নেই এক খণ্ড জমি। যত দূর দৃষ্টি যায় শুধু সবুজ আর সবুজ।

মেলান্দহ উপজেলা কৃষি বিভাগ বলছে, চলতি বছর আমনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও এবার বেশি জমিতে আমন ধানের চাষ করেছেন কৃষকরা। স্বল্প জমিতে পোকার আক্রমণ দেখা দিলেও বৃষ্টির কারণে সেই সমস্যারও সমাধান হয়েছে। এখন গাঢ় সবুজ রং ধারণ করেছে ধানের খেত। সবুজে ঘেরা রোপা আমনের মাঠ পরিচর্যায় কোনো কমতি নেই। কৃষক ধানের জমির চারদিক ঘুরে শান্তির নিশ্বাস ফেলছেন। এ বছর ফলনও ভালো হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।

মেলান্দহ উপজেলার চর পলিশা, নয়ানগর, ঘোষেরপাড়া, ছবিলাপুর, ফুলকোচা, ঝাউগড়া, কুলিয়া, মাহমুদপুর, শ্যামপুর, আদ্রা, নাংলা এলাকার আমনের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, ধানের খেত গাঢ় সবুজ রঙ ধারণ করেছে। সবুজে ঘেরা রোপা আমনের মাঠে এখন কৃষক ব্যস্ত সময় পার করছেন। ফসল ভালো রাখতে খেত থেকে আগাছা পরিষ্কার, পোকা দমনে পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করছেন তারা। এছাড়া সার ছিটানোর কাজেও ব্যস্ততা রয়েছে কৃষদের।

চর পলিশার কৃষক মানিক মিয়া বলেন, ধানে রোগবালাই ও পোকামাকড় তেমন না থাকায় ধান অনেক সুন্দর হয়েছে। পুরো মাঠজুড়ে শুধু সবুজ আর সবুজ দেখা যায়। ফসলের এই রূপ দেখে মনে আনন্দ জাগে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল বলেন, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সুন্দরভাবেই বেড়ে উঠছে আমন ধান। আশানুরূপ ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে উপজেলা কৃষি অফিস।

সরিষাবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অনুপ কুমার সিংহ বলেন, উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে গিয়ে কৃষকের পাশে থেকে কাজ করছেন। ফসলের রোগ-বালাই দেখে পরামর্শ দিচ্ছেন। আশা করি, আমন ধানের উৎপাদন ভালো হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সোনালী ধানের শীষে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন

আপডেট টাইম : ০৬:৪৮:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ অক্টোবর ২০২৩

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সোনালী ধানের শীষে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। আবহাওয়া ভালো থাকায় রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে জামালপুর জেলায়। কৃষকরা বলছেন, মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হওয়ায় এ বছর আমন আবাদের জন্য আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। ধানের চারা থেকে কয়েকদিন পর বের হবে থোর।

শনিবার (২১ অক্টোবর) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও জামালপুর সদরে ফসলের মাঠের কোথাও ফাঁকা নেই এক খণ্ড জমি। যত দূর দৃষ্টি যায় শুধু সবুজ আর সবুজ।

মেলান্দহ উপজেলা কৃষি বিভাগ বলছে, চলতি বছর আমনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও এবার বেশি জমিতে আমন ধানের চাষ করেছেন কৃষকরা। স্বল্প জমিতে পোকার আক্রমণ দেখা দিলেও বৃষ্টির কারণে সেই সমস্যারও সমাধান হয়েছে। এখন গাঢ় সবুজ রং ধারণ করেছে ধানের খেত। সবুজে ঘেরা রোপা আমনের মাঠ পরিচর্যায় কোনো কমতি নেই। কৃষক ধানের জমির চারদিক ঘুরে শান্তির নিশ্বাস ফেলছেন। এ বছর ফলনও ভালো হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।

মেলান্দহ উপজেলার চর পলিশা, নয়ানগর, ঘোষেরপাড়া, ছবিলাপুর, ফুলকোচা, ঝাউগড়া, কুলিয়া, মাহমুদপুর, শ্যামপুর, আদ্রা, নাংলা এলাকার আমনের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, ধানের খেত গাঢ় সবুজ রঙ ধারণ করেছে। সবুজে ঘেরা রোপা আমনের মাঠে এখন কৃষক ব্যস্ত সময় পার করছেন। ফসল ভালো রাখতে খেত থেকে আগাছা পরিষ্কার, পোকা দমনে পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করছেন তারা। এছাড়া সার ছিটানোর কাজেও ব্যস্ততা রয়েছে কৃষদের।

চর পলিশার কৃষক মানিক মিয়া বলেন, ধানে রোগবালাই ও পোকামাকড় তেমন না থাকায় ধান অনেক সুন্দর হয়েছে। পুরো মাঠজুড়ে শুধু সবুজ আর সবুজ দেখা যায়। ফসলের এই রূপ দেখে মনে আনন্দ জাগে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল বলেন, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সুন্দরভাবেই বেড়ে উঠছে আমন ধান। আশানুরূপ ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে উপজেলা কৃষি অফিস।

সরিষাবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অনুপ কুমার সিংহ বলেন, উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে গিয়ে কৃষকের পাশে থেকে কাজ করছেন। ফসলের রোগ-বালাই দেখে পরামর্শ দিচ্ছেন। আশা করি, আমন ধানের উৎপাদন ভালো হবে।