বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠাতে দেশের ২৩ জন বিশিষ্ট নাগরিক বিবৃতি দিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এ আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে বিশিষ্টজনরা বলা হয়, ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি যে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জীবন সংকটাপন্ন অবস্থায় থাকার পরও বিদেশে চিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ থেকে তাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। তার চিকিৎসার দায়িত্বে নিয়োজিত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, জীবন বাঁচানোর জন্য তাকে অনতিবিলম্বে বিদেশে পাঠানো ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। এ দেশে কোনো মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরও রাজনৈতিক দলের নেতাকে বিদেশে চিকিৎসায় পাঠানোর নজির রয়েছে। গণমাধ্যমে দেশের শীর্ষস্থানীয় আইনজীবীরাও খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর পেছনে কোনো আইনগত বাধা নেই বলে জানিয়েছেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘নাগরিকদের জীবনের অধিকার সকল রাজনীতির ঊর্ধ্বে। এটি খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার আবেদন প্রত্যাখ্যান করে এটি আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতে প্রতিফলিত হয়নি। যেহেতু চিকিৎসকদের মতে বেগম খালেদা জিয়ার জীবন বাঁচাতে তাকে অনতিবিলম্বে বিদেশ পাঠানো অত্যাবশ্যক এবং আইনজীবীদের মতেও তাকে বিদেশে পাঠানো সম্ভব। তাই এ বিষয়ে আমরা আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত পুনর্বিবেচনা করার এবং চিকিৎসার জন্য বেগম জিয়াকে অনতিবিলম্বে বিদেশে পাঠানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। সরকার এ ধরনের মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি দেখাতে অনীহা হলে তা শুধু খালেদা জিয়ার জীবনই বিপন্ন করবে না, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতেও নতুন বিপর্যয় সৃষ্টি করবে বলে আমরা মনে করি।’
বিবৃতিদাতারা হলেন এম হাফিজ উদ্দিন খান, আলী ইমাম মজুমদার, শারমিন মুরশিদ, শাহদীন মালিক, রিজওয়ানা হাসান, তোফায়েল আহমেদ, শহিদুল আলম, সি আর আবরার, আসিফ নজরুল, স্বপন আদনান, হেলাল মহিউদ্দীন, শিরিন হক, ফরিদা আখতার, নূর খান, রেহনুমা আহমেদ, নায়লা জেড খান, হানা শামস আহমেদ, মির্জা তাসলিমা সুলতানা, সাঈদ ফেরদৌস, সুব্রত চৌধুরী, অরূপ রাহী, সায়েদা গুলরুখ, বখতিয়ার আহমেদ।
গত ৯ আগস্ট থেকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন খালেদা জিয়া। গত সোমবার বিএনপি নেত্রীর চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার জীবন ঝুঁকির মধ্যে আছে।