ঢাকা ০৬:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রতিদিন আমলকি কয়টি খেলে উপকার পাবেন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৪২:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩
  • ৯৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আমরা শুধু ক্ষুধা মেটানোর জন্যই খাবার খাই না। সুস্বাস্থ্যের জন্যও পুষ্টিকর ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খাই। এ কারণে নিয়ম করে অনেক ফলও খেয়ে থাকি। এসব ফলের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আমলকি। এবার জেনে নিন নিয়ম করে প্রতিদিন ১টি আমলকি খেলে যেসব উপকার হয়:

ভিটামিন সি-এর সমৃদ্ধ উৎস

সারা বছর সুস্থ থাকতে নিয়মিত আমলকি খাওয়া জরুরি। শুধু ফলই নয়, আমলকির পাতাও ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ভিটামিন সি-তে ভরপুর আমলকি।

পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, আমলকিতে পেয়ারা ও কাগজি লেবুর চেয়ে যথাক্রমে ৩ গুণ ও ১০ গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে।কমলালেবুর চেয়ে ২০ গুণ, আমের চেয়ে ২৪ গুণ এবং কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে।

আমলকি খেলে ২০ উপকার

চুল ভালো রাখে

চুল ভালো রাখতে আমলকির জুড়ি মেলা ভার। চুলের গোড়া মজবুত করে, খুসকির সমস্যা মেটায়, পাকা চুল প্রতিরোধ করে। চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে আমলকি।

হজমশক্তি বাড়ায়

আমলকি হজমশক্তি বাড়ায়। বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যাও দূর করে। এক গ্লাস দুধ বা পানিতে আমলকির গুঁড়া ও সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দুবার খান। এ্যাসিডিটি থেকে দূরে থাকবেন।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়

প্রতিদিন সকালে আমলকির রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে ত্বকের কালো দাগ ছোপ দূর হয়, ত্বক উজ্জ্বল হয়।

চোখের জন্য উপকারী

আমলকিতে রয়েছে ফাইটো-ক্যামিকেল যা চোখের জন্য উপকারী। এর রস দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। এ ছাড়া চোখের বিভিন্ন সমস্যা যেমন চোখের প্রদাহ, চোখ চুলকানো বা জল পড়ার সমস্যা থেকে রেহাই মেলে।

দাঁত মজবুত করে

প্রতিদিন আমলকির রস খেলে নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর হয়, দাঁত মজবুত থাকে।

রুচি বাড়ায়

আমলকির টক ও তেতো মুখে রুচি ও স্বাদ বাড়ায়। রুচি বৃদ্ধি ও খিদে বাড়ানোর জন্য আমলকি গুঁড়োর সঙ্গে সামান্য মধু ও মাখন মিশিয়ে খান।

ওজন কমাতে সাহায্য করে

প্রতিদিন সকালে নিয়ম করে আমলকি খেলে ওজন কমবে ঝটপট। পাশাপাশি শরীর ঠাণ্ডা রাখে, পেশী মজবুত করে, হৃদযন্ত্র ও ফুসফুস ভালো রাখে, মস্তিষ্কের শক্তিবর্ধন করে।

ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে

আমলকি ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরলও কমায়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

প্রতিদিন আমলকি কয়টি খেলে উপকার পাবেন

আপডেট টাইম : ১২:৪২:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আমরা শুধু ক্ষুধা মেটানোর জন্যই খাবার খাই না। সুস্বাস্থ্যের জন্যও পুষ্টিকর ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খাই। এ কারণে নিয়ম করে অনেক ফলও খেয়ে থাকি। এসব ফলের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আমলকি। এবার জেনে নিন নিয়ম করে প্রতিদিন ১টি আমলকি খেলে যেসব উপকার হয়:

ভিটামিন সি-এর সমৃদ্ধ উৎস

সারা বছর সুস্থ থাকতে নিয়মিত আমলকি খাওয়া জরুরি। শুধু ফলই নয়, আমলকির পাতাও ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ভিটামিন সি-তে ভরপুর আমলকি।

পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, আমলকিতে পেয়ারা ও কাগজি লেবুর চেয়ে যথাক্রমে ৩ গুণ ও ১০ গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে।কমলালেবুর চেয়ে ২০ গুণ, আমের চেয়ে ২৪ গুণ এবং কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে।

আমলকি খেলে ২০ উপকার

চুল ভালো রাখে

চুল ভালো রাখতে আমলকির জুড়ি মেলা ভার। চুলের গোড়া মজবুত করে, খুসকির সমস্যা মেটায়, পাকা চুল প্রতিরোধ করে। চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে আমলকি।

হজমশক্তি বাড়ায়

আমলকি হজমশক্তি বাড়ায়। বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যাও দূর করে। এক গ্লাস দুধ বা পানিতে আমলকির গুঁড়া ও সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দুবার খান। এ্যাসিডিটি থেকে দূরে থাকবেন।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়

প্রতিদিন সকালে আমলকির রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে ত্বকের কালো দাগ ছোপ দূর হয়, ত্বক উজ্জ্বল হয়।

চোখের জন্য উপকারী

আমলকিতে রয়েছে ফাইটো-ক্যামিকেল যা চোখের জন্য উপকারী। এর রস দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। এ ছাড়া চোখের বিভিন্ন সমস্যা যেমন চোখের প্রদাহ, চোখ চুলকানো বা জল পড়ার সমস্যা থেকে রেহাই মেলে।

দাঁত মজবুত করে

প্রতিদিন আমলকির রস খেলে নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর হয়, দাঁত মজবুত থাকে।

রুচি বাড়ায়

আমলকির টক ও তেতো মুখে রুচি ও স্বাদ বাড়ায়। রুচি বৃদ্ধি ও খিদে বাড়ানোর জন্য আমলকি গুঁড়োর সঙ্গে সামান্য মধু ও মাখন মিশিয়ে খান।

ওজন কমাতে সাহায্য করে

প্রতিদিন সকালে নিয়ম করে আমলকি খেলে ওজন কমবে ঝটপট। পাশাপাশি শরীর ঠাণ্ডা রাখে, পেশী মজবুত করে, হৃদযন্ত্র ও ফুসফুস ভালো রাখে, মস্তিষ্কের শক্তিবর্ধন করে।

ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে

আমলকি ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরলও কমায়।