নরসিংদীতে ওঠানামা করছে ডিমের দাম। এ অবস্থায় বিপাকে ভোক্তারা। আড়তদাররা বলছেন, ডিমের দাম বাড়লেও বিক্রেতাদের মুনাফা বাড়েনি। তাদের অভিযোগ, সিন্ডিকেটের কাছে ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই অসহায়।
এক মাসেরও বেশি সময় ধরে অস্থির ডিমের বাজার। প্রতিদিন বাজারমূল্য ওঠানামা করায় বিপাকে ক্রেতা-বিক্রেতারা।
মাসখানেক আগে ৪০ টাকা হালি বিক্রি হলেও চলতি সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৫০/৬০ টাকায়। ১২০ টাকা ডজনের ডিম এখন ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ অবস্থায় ক্ষুব্ধ ভোক্তারা।
এ অবস্থায় একজন বিক্রেতা বলেন, “আগে আমরা কিনতাম আট থেকে নয় টাকায়, এখন কিনতে হচ্ছে ১৪ টাকা পর্যন্ত।”
আরেক বিক্রেতা বলছেন, ”সাকালে এক দাম, বিকালে আরেক দাম। আমরা কী করবো!”
আড়তদাররা বলছেন, ডিমের দাম বাড়লেও বাড়েনি বিক্রেতাদের মুনাফা। এজন্য বড় প্রতিষ্ঠান ও মধ্যস্বত্বভোগীদের দায়ী করছেন তারা।
আর বিক্রেতারা বলছেন আড়তদাররাই মূল ব্যবসা করে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বলছে, বাজার নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করছেন তারা। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে ডিমের বাজার স্থিতিশীল হবে বলেও দাবি তাদের।
”যারা পাইকারি ডিম ক্রয় বিক্রয় করছেন তাদের সবাইকে ভাউচার মেইনটেইন করতে হবে তাহলেই ডিমের বাজারের অস্থিরতা কমবে” বলেন জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাহমুদুর রহমান।
জেলায় সোয়া ২ কোটি চাহিদার বিপরীতে ২ হাজার তিনশ’রও বেশি খামারে মাসে গড়ে ৩ কোটি ৯০ লাখ ডিম উৎপাদন হয়।