ঢাকা ০৫:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এস আলমের অর্থপাচারের বিষয়ে ‘যা করার করবে’ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৪৭:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অগাস্ট ২০২৩
  • ১২৫ বার

বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়া সিঙ্গাপুরে এস আলম গ্রুপের পাঠানো অর্থের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চাইলে আইন অনুযায়ী সে বিষয়ে ‘যা করার করা হবে’ বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। আজ সোমবার বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঢাকা সফররত মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈশ্বিক দুর্নীতি দমন বিভাগের সমন্বয়ক রিচার্ড নেফিউয়েরে সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন তিনি।

বৈঠকের সময় ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পররাষ্ট্র সচিব।

এস আলম গ্রুপের বিদেশে অর্থপাচার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কী করতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘আমরা এ ধরনের কোনো ইনস্ট্রাকশন (নির্দেশনা) এখন পর্যন্ত পাইনি। যদি এমন কিছু থাকে তাহলে আমরা…। যদি দুদক আমাদের অনুরোধ করে তাহলে আমরা আইনের মধ্যে থেকে যা করার করব।’

দেশ থেকে পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘ফেরত আনা তো পরের বিষয়। এগুলো কোন রুটে যাচ্ছে, তা আগে বন্ধ করতে হবে। সবই যে অস্বচ্ছ টাকা, তা তো না। আমরা অনেক সময় দেখেছি কনাডায় অর্থপাচারের কথা বলা হয়। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে অনেক বাংলাদেশি ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার আছেন, যারা অনেক কষ্ট করে পয়সা রোজগার করে কানাডায় গিয়েছেন। সুতরাং সেটাও কিন্তু এখানে আছে।’

মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘অনেকে এক্সপোর্টের ব্যবসা করেন, সেটির আয়ের একটি অংশ বাইরের বিভিন্ন দেশে থাকে, সেসব অর্থ কতটা অবৈধ আমি জানি না। বাংলাদেশের অনেকে বাবা-মা, দাদা-দাদির জমি বা অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি করে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। তাদের সেসব অর্থকে অবৈধভাবে অর্জিত বলা ঠিক হবে না। তবে সেসব অর্থ অবৈধভাবে নাকি আইনসঙ্গতভাবে নেওয়া হয়েছে সে ইস্যুগুলো যাচাই-বাছাই করা প্রয়োজন।’

গত শুক্রবার একটি জাতীয় দৈনিকে ‘এস আলমের আলাদিনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। গতকাল রোববার এ প্রতিবেদনটি হাইকোর্টের নজরে আনেন আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। পরে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ অর্থপাচার বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) অনুসন্ধান করে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

এস আলমের অর্থপাচারের বিষয়ে ‘যা করার করবে’ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

আপডেট টাইম : ১০:৪৭:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অগাস্ট ২০২৩

বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়া সিঙ্গাপুরে এস আলম গ্রুপের পাঠানো অর্থের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চাইলে আইন অনুযায়ী সে বিষয়ে ‘যা করার করা হবে’ বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। আজ সোমবার বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঢাকা সফররত মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈশ্বিক দুর্নীতি দমন বিভাগের সমন্বয়ক রিচার্ড নেফিউয়েরে সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন তিনি।

বৈঠকের সময় ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পররাষ্ট্র সচিব।

এস আলম গ্রুপের বিদেশে অর্থপাচার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কী করতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘আমরা এ ধরনের কোনো ইনস্ট্রাকশন (নির্দেশনা) এখন পর্যন্ত পাইনি। যদি এমন কিছু থাকে তাহলে আমরা…। যদি দুদক আমাদের অনুরোধ করে তাহলে আমরা আইনের মধ্যে থেকে যা করার করব।’

দেশ থেকে পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘ফেরত আনা তো পরের বিষয়। এগুলো কোন রুটে যাচ্ছে, তা আগে বন্ধ করতে হবে। সবই যে অস্বচ্ছ টাকা, তা তো না। আমরা অনেক সময় দেখেছি কনাডায় অর্থপাচারের কথা বলা হয়। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে অনেক বাংলাদেশি ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার আছেন, যারা অনেক কষ্ট করে পয়সা রোজগার করে কানাডায় গিয়েছেন। সুতরাং সেটাও কিন্তু এখানে আছে।’

মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘অনেকে এক্সপোর্টের ব্যবসা করেন, সেটির আয়ের একটি অংশ বাইরের বিভিন্ন দেশে থাকে, সেসব অর্থ কতটা অবৈধ আমি জানি না। বাংলাদেশের অনেকে বাবা-মা, দাদা-দাদির জমি বা অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি করে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। তাদের সেসব অর্থকে অবৈধভাবে অর্জিত বলা ঠিক হবে না। তবে সেসব অর্থ অবৈধভাবে নাকি আইনসঙ্গতভাবে নেওয়া হয়েছে সে ইস্যুগুলো যাচাই-বাছাই করা প্রয়োজন।’

গত শুক্রবার একটি জাতীয় দৈনিকে ‘এস আলমের আলাদিনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। গতকাল রোববার এ প্রতিবেদনটি হাইকোর্টের নজরে আনেন আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। পরে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ অর্থপাচার বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) অনুসন্ধান করে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন।