ঢাকা ১০:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া খেলাধুলা-সংস্কৃতির বিকাশ সম্ভব নয়: প্রধানমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:১৬:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অগাস্ট ২০২৩
  • ৮৯ বার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ক্রীড়া ও সংস্কৃতির উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে পৃষ্ঠপোষকতা করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া খেলাধুলা ও সংস্কৃতির বিকাশ সম্ভব নয়। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, দেশের ক্রীড়া ও সংস্কৃতির বিকাশের জন্য সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতাও প্রয়োজন। পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এটি বিকশিত হতে পারে না।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের মেয়েরা যদি এভারেস্ট বিজয় করতে পারে অথবা স্বল্প সুযোগে ক্রীড়াক্ষেত্রে যদি এত উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রাখতে পারে তাহলে এই সুনাম বাড়ানোর জন্যই দরকার পৃষ্ঠপোষকতা।’

জাতির পিতাই ক্রীড়াবিদদের জন্য ক্রীড়া ফাউন্ডেশন করে যান উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাকে তাঁর সরকার পরবর্তীতে সীডমানি দিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে দেয়। সেখান থেকে বর্তমানে প্রায় ৫শ’ জনকে বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে।

খেলোয়াড়দের পৃষ্ঠপোষকতা এবং কল্যাণ ফাউন্ডেশনে অনুদান প্রদানে সমাজের বিত্তবানদেরকেও এগিয়ে আসার আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, যারা বৃত্তশালী আছেন তাদেরকেও আমি বলবো ক্রীড়াসেবীদের কল্যাণে এই ফাউন্ডেশনে আপনারাও অনুদান দেবেন। কারণ, আমি জানি আপনাদের অনেক পুরনো খেলোয়াড় রয়েছেন যারা অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং তাদের চিকিৎসার কোন সুযোগ থাকে না। অনেকে আর্থিক সংকটেও পড়ে। কারণ, খেলাধুলাতো বেশি বয়স পর্যন্ত করা যায় না। কিন্তু তাদের পরবর্তী জীবনটা কেমন হবে, সেটাও একটা বড় কথা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি যতক্ষণ আছি দিয়ে যাচ্ছি। যাদের ঘর নাই, তাদের ফ্লাট তৈরি করে দেওয়া বা জমি দেওয়া, খেলাধুলার সরঞ্জাম প্রদান বা চিকিৎসার ব্যবস্থা করা বা বিদেশ থেকে চিকিৎসা করিয়ে  আনা-সব করে যাচ্ছি।

সরকার প্রধান বলেন, ‘চিরদিনতো আর আমি থাকবো না, আর হয়তো এভাবে আর কেউ আন্তারিকতার সাথে করবেও না। কাজেই তাদের ভবিষ্যৎ যাতে ভাল থাকে এবং ভবিষ্যতে তারা ভাল কিছু করে চলতে পারে সেজন্যই আজকে আমাদের যারা বিত্তশালী আছেন তাদের আহবান করবো আপনারা একটু উদ্যোগ নেন বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তারাও একটু উদ্যোগ নেন।’

তিনি যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না তখনও তিনি খেলোয়াড়দেরকে সহযোগিতা করে গেছেন। বিশেষ করে আবাহনীর সাথে সম্পৃক্ত অধিকাংশ খেলোযাড়কে তিনি ব্যক্তিগতভাবে চিনতেন এবং সহযোগিতা করেছেন এবং করে যাচ্ছেন বলেও উল্লেখ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, অনেক গরিব পরিবারের ছেলে-মেয়েরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশের জন্য স্বর্ণ জয় করে আনছে। বিশেষ করে প্রতিবন্ধিরা স্পেশাল অলিম্পিকে স্বর্ণ জয় করছে। তারা দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনছে এজন্য তারা যেন এসব প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারে সেজন্য তাঁর সহযোগিতা রয়েছে।

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদ। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান শেখ কামালের জীবন ও কর্মকান্ডের ওপর স্মৃতিচারণ করেন।

শেখ কামাল এনএসসি পুরস্কারপ্রাপ্তদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন আবদুস সাদেক ও সাবিনা খাতুন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া খেলাধুলা-সংস্কৃতির বিকাশ সম্ভব নয়: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৪:১৬:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অগাস্ট ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ক্রীড়া ও সংস্কৃতির উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে পৃষ্ঠপোষকতা করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া খেলাধুলা ও সংস্কৃতির বিকাশ সম্ভব নয়। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি, দেশের ক্রীড়া ও সংস্কৃতির বিকাশের জন্য সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতাও প্রয়োজন। পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এটি বিকশিত হতে পারে না।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের মেয়েরা যদি এভারেস্ট বিজয় করতে পারে অথবা স্বল্প সুযোগে ক্রীড়াক্ষেত্রে যদি এত উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রাখতে পারে তাহলে এই সুনাম বাড়ানোর জন্যই দরকার পৃষ্ঠপোষকতা।’

জাতির পিতাই ক্রীড়াবিদদের জন্য ক্রীড়া ফাউন্ডেশন করে যান উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাকে তাঁর সরকার পরবর্তীতে সীডমানি দিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে দেয়। সেখান থেকে বর্তমানে প্রায় ৫শ’ জনকে বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে।

খেলোয়াড়দের পৃষ্ঠপোষকতা এবং কল্যাণ ফাউন্ডেশনে অনুদান প্রদানে সমাজের বিত্তবানদেরকেও এগিয়ে আসার আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, যারা বৃত্তশালী আছেন তাদেরকেও আমি বলবো ক্রীড়াসেবীদের কল্যাণে এই ফাউন্ডেশনে আপনারাও অনুদান দেবেন। কারণ, আমি জানি আপনাদের অনেক পুরনো খেলোয়াড় রয়েছেন যারা অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং তাদের চিকিৎসার কোন সুযোগ থাকে না। অনেকে আর্থিক সংকটেও পড়ে। কারণ, খেলাধুলাতো বেশি বয়স পর্যন্ত করা যায় না। কিন্তু তাদের পরবর্তী জীবনটা কেমন হবে, সেটাও একটা বড় কথা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি যতক্ষণ আছি দিয়ে যাচ্ছি। যাদের ঘর নাই, তাদের ফ্লাট তৈরি করে দেওয়া বা জমি দেওয়া, খেলাধুলার সরঞ্জাম প্রদান বা চিকিৎসার ব্যবস্থা করা বা বিদেশ থেকে চিকিৎসা করিয়ে  আনা-সব করে যাচ্ছি।

সরকার প্রধান বলেন, ‘চিরদিনতো আর আমি থাকবো না, আর হয়তো এভাবে আর কেউ আন্তারিকতার সাথে করবেও না। কাজেই তাদের ভবিষ্যৎ যাতে ভাল থাকে এবং ভবিষ্যতে তারা ভাল কিছু করে চলতে পারে সেজন্যই আজকে আমাদের যারা বিত্তশালী আছেন তাদের আহবান করবো আপনারা একটু উদ্যোগ নেন বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তারাও একটু উদ্যোগ নেন।’

তিনি যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না তখনও তিনি খেলোয়াড়দেরকে সহযোগিতা করে গেছেন। বিশেষ করে আবাহনীর সাথে সম্পৃক্ত অধিকাংশ খেলোযাড়কে তিনি ব্যক্তিগতভাবে চিনতেন এবং সহযোগিতা করেছেন এবং করে যাচ্ছেন বলেও উল্লেখ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, অনেক গরিব পরিবারের ছেলে-মেয়েরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশের জন্য স্বর্ণ জয় করে আনছে। বিশেষ করে প্রতিবন্ধিরা স্পেশাল অলিম্পিকে স্বর্ণ জয় করছে। তারা দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনছে এজন্য তারা যেন এসব প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারে সেজন্য তাঁর সহযোগিতা রয়েছে।

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদ। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান শেখ কামালের জীবন ও কর্মকান্ডের ওপর স্মৃতিচারণ করেন।

শেখ কামাল এনএসসি পুরস্কারপ্রাপ্তদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন আবদুস সাদেক ও সাবিনা খাতুন।