ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বনানী থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার সাতজনের নাম-পরিচয়ও পেয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-
১. গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানার ছানোয়ার কাজী (২৮), তিনি বর্তমানে থাকেন মহাখালী ওয়ারলেস গেট এলাকায়।
২. গোপালগঞ্জের মোকসেদপুর থানার বিপ্লব হোসেন (৩১), তার বর্তমান ঠিকানা মিরপুর-১১।
৩. গোপালগঞ্জের মোকসেদপুর থানার মাহমুদুল হাসান মেহেদী (২৭), তার বর্তমান ঠিকানা বনানী।
৪. গোপালগঞ্জ সদরের মোজাহিদ খান (২৭), তার বর্তমান ঠিকানা তেজগাঁও পূর্ব নাখালপাড়া।
৫. কুমিল্লা হোমনা থানার মো. আশিক সরকার (২৪), তার বর্তমান ঠিকানা কড়াইল মোশারফ বাজার, রফিক মিয়ার বাড়ি।
৬. শরীয়তপুরের জাজিরা থানার মো. হৃদয় শেখ (২৪), তার বর্তমান ঠিকানা কড়াইল মোশারফ বাজার, আবুল কাসেম মিয়ার বাড়ি।
৭. গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানার সোহেল মোল্লা (২৫), তার বর্তমান ঠিকানা খিলক্ষেতের মধ্যপাড়া।
এদিকে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার ছানোয়ার কাজী (২৮) ও বিপ্লব হোসেনের (৩১) তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বনানী থানার উপ-পরিদর্শক নুরে উদ্দিন। শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিট ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিব।
মামলার অন্য পাঁচ আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অন্যদিকে তাদের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আসামি মাহমুদুল হাসান মেহেদী, মুজাহিদ খান, আশিক সরকার, হৃদয় শেখ ও সোহেল মোল্লাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
হামলার ঘটনায় রাজধানীর বনানী থানায় এ মামলা দায়ের করেন হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী সুজন রহমান শুভ। মামলায় ১৫ থেকে ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, গতকাল (সোমবার) সকাল থেকে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরুর পর হিরো আলম বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করতে থাকেন। বিকেল সাড়ে ৩টায় হিরো আলম বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজে কেন্দ্র পরিদর্শন করতে যান। এরপর প্রায় ৪০ মিনিট কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে ৫/৬ জন সহযোগীসহ হিরো আলম বের হয়ে আসার সময় অজ্ঞাত পরিচয়ের ১৫/২০ জন তার গতিরোধ করে বিভিন্ন ধরনের গালিগালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে হিরো আলমকে আক্রমণ করে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকে।
মারধরের একপর্যায়ে তাদের মধ্যে থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের একজন হত্যার উদ্দেশ্যে হিরো আলমের কলার চেপে ধরে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে। এর মধ্যে আরেকজন এসে হিরো আলমের তলপেটে লাথি মারলে তিনি রাস্তায় পড়ে যান।
এর আগে সোমবার (১৭ জুলাই) বিকেলে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। পরে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি দাবি করে প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেন তিনি।