পাশের বাসা থেকে নারীকণ্ঠে আর্তচিৎকার শুনতে পান এক ব্যক্তি। চিৎকার শুনে মনে হচ্ছিল কেউ যেন সাহায্যের জন্য আবেদন করছেন। হয়ত নারীটি কোনো বিপদে পড়েছেন এমন আন্দাজ করে পুলিশে কল দেন সেই ব্যক্তি। কল পেয়ে তাৎক্ষণিক ছুটে আসে পুলিশ।
পরে যে বাসাটি থেকে নারীকণ্ঠে চিৎকার ভেসে আসছিল সেখানে গিয়ে রীতিমতো সবার চক্ষু চড়কগাছ!
সেসময় সবাই দেখতে পান নারী কণ্ঠে চিৎকার করছে একটি টিয়া পাখি। দূর থেকে যা নারীর কণ্ঠে আর্তনাদ বলে মনে হচ্ছিল।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) এমন ঘটনা ঘটেছে ইংল্যান্ডের ক্যানভে আইল্যান্ডে। জানা গেছে, নারীকণ্ঠে চিৎকার শুনে সাহায্যের জন্য পুলিশকে ফোন দিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। তার কল পেয়ে তিনটি গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থলে আসে এসেক্স পুলিশ। এরপর তাকে নিয়েই সেই বাড়িটিতে প্রবেশ করেন পুলিশ সদস্যরা। সেখানে পৌঁছে তারা যা দেখলেন, তাতে হতবাক সবাই।
আসলে ক্যানভে আইল্যান্ডের বাসিন্দা স্টিভের পাখির নেশা। অনেক সময়ই আহত পাখিকে উদ্ধার করে নিজের বাড়িতে নিয়ে এসে সুস্থ করে তোলেন। তারপর ছেড়ে দেন। এভাবে স্টিভের বাড়িতে একাধিক পাখি রয়ে গেছে। তার মধ্যেই একটি টিয়াপাখি একটু বেশি ডাকাডাকি করে। পাখিটি নারীদের গলা নকল করে প্রায় প্রতি দিন সকালে চিৎকার করে। গত মঙ্গলবার সকালেও তেমনটিই ঘটে। কিন্তু সেই আওয়াজে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন স্টিভের এক প্রতিবেশী।
এ ব্যাপারে বিবিসিকে স্টিভ বলেন, সাত সকালে বাড়িতে এত পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। ভাবছিলাম, কী করে ফেললাম আমি যে এত পুলিশ বাড়িতে চলে এল! কিন্তু দরজা খুলতেই পুলিশ কর্মকর্তা আমাকে আশ্বস্ত করে বলেন, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আপনার পাখির ডাককে নারীর আর্তনাদ ভেবে ভয় পেয়ে আমাদের ফোন করেছিলেন এক ব্যক্তি। তাই আমরা সরেজমিনে দেখতে এসেছি, ঘটনাটি কী।
স্টিভ জানিয়েছেন, তার হেফাজতে থাকা পাখিগুলো সাধারণত সকালের দিকে একটু বেশি ডাকাডাকি করে। নির্দিষ্ট টিয়া পাখিটিও তেমনই করেছিল।
স্টিভ বলেন, আসলে এখানে কারও দোষ নেই। পাখির ডাককে নারীর চিৎকার ভেবে প্রতিবেশী পুলিশে জানিয়েছিলেন। সেই খবর পেয়ে পুলিশ আসে।