ঢাকা ০৭:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জনির গোলে কম্বোডিয়াকে হারালো বাংলাদেশ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:২০:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জুন ২০২৩
  • ৭৪ বার

মজিবুর রহমান জনির করা একমাত্র গোলে ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে কম্বোডিয়াকে ১-০ গোলে হারালো বাংলাদেশ। ফলে জয়ের সুখস্মৃতি নিয়েই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে কম্বোডিয়া থেকে ভারতের বেঙ্গালুরুতে যাচ্ছে হাভিরের কাবরেরার দল।

কম্বোডিয়ার নমপেনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ম্যাচের আগেই সব টিকিট বিক্রি হয়ে যায়। স্টেডিয়াম ছিল কানায় কানায় পূর্ণ।

স্টেডিয়ামভর্তি স্বাগতিক সমর্থকদের দেখেই কি-না, শুরুতেই স্নায়ুর চাপ পেয়ে বসে বাংলাদেশকে। তবে দ্রুতই চাপ সামলে নিয়ে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ।

ম্যাচের শুরুতে বাংলাদেশের রক্ষণকেই বেশি ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। ম্যাচের ২২ মিনিটে প্রথম আক্রমনের সুযোগ পায় বাংলাদেশ। কাউন্টার অ্যাটাকে ওঠা সুমন রেজাকে ফাউল করে বসে চৌন-চানকাভ। এরপর জামাল ভূঁইয়া দুর্বল ফ্রি কিকে বল তুলে দেন গোলরক্ষকের গ্লাভসে। এটিই ছিল বাংলাদেশের প্রথম আক্রমণ।

তবে ২৪ মিনিটে দারুণ এক প্রতি আক্রমণ থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে যায়। ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের ক্রস থেকে মজিবর রহমান জনি ৬ গজের প্রান্ত থেকে বাঁ পায়ে দারুণভাবে প্লেসিং করে লক্ষ্যভেদ করেছেন। গোলের সঙ্গে ৩০ হাজার গ্যালারি ভর্তি দর্শকরাও স্তব্ধ হয়ে যান সঙ্গে সঙ্গে।

কম্বোডিয়া ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া হয়ে ওঠে আরও। অন্যদিকে, এগিয়ে যাওয়ায় আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠা বাংলাদেশও। রক্ষণাত্মক কৌশল বদলে কিছুটা আক্রমনত্মক হয়ে খেলা শুরু করে তারা। শেষ পর্যন্ত ১-০ ব্যাবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।

বিরতির পর কম্বোডিয়া ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে রাখার চেষ্টা করে। ৫২ মিনিটে তাদের একটি আক্রমণ গোলকিপার জিকো ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন। এর কিছুক্ষণ পর মাঠে নামেন শেখ মোরসালিন ও ইব্রাহিম। তারা অবশ্য ম্যাচে সেভাবে কোনো প্রভাব রাখতে পারেননি। উল্টো ৬৫ মিনিটে অভিষিক্ত মোরসালিনের বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া জোরালো শট ক্রস বারের ওপর দিয়ে গেছে। এদিকে ৬৮ মিনিটে লিম পিসথের হেড সাইড বার দিয়ে গেলে সমতায় ফেরা হয়নি স্বাগতিকদের।

শেষ দিকে এসে বাংলাদেশ ১০ জনের দলে পরিণত। কাজী তারিক লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। তবে তাতে করে ম্যাচের ফলে কোনো বদল আসেনি। বাংলাদেশ ম্যাচ জিতেই অলিম্পিক স্টেডিয়ামের মাঠ ছাড়ে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

জনির গোলে কম্বোডিয়াকে হারালো বাংলাদেশ

আপডেট টাইম : ০১:২০:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জুন ২০২৩

মজিবুর রহমান জনির করা একমাত্র গোলে ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে কম্বোডিয়াকে ১-০ গোলে হারালো বাংলাদেশ। ফলে জয়ের সুখস্মৃতি নিয়েই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে কম্বোডিয়া থেকে ভারতের বেঙ্গালুরুতে যাচ্ছে হাভিরের কাবরেরার দল।

কম্বোডিয়ার নমপেনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ম্যাচের আগেই সব টিকিট বিক্রি হয়ে যায়। স্টেডিয়াম ছিল কানায় কানায় পূর্ণ।

স্টেডিয়ামভর্তি স্বাগতিক সমর্থকদের দেখেই কি-না, শুরুতেই স্নায়ুর চাপ পেয়ে বসে বাংলাদেশকে। তবে দ্রুতই চাপ সামলে নিয়ে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ।

ম্যাচের শুরুতে বাংলাদেশের রক্ষণকেই বেশি ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। ম্যাচের ২২ মিনিটে প্রথম আক্রমনের সুযোগ পায় বাংলাদেশ। কাউন্টার অ্যাটাকে ওঠা সুমন রেজাকে ফাউল করে বসে চৌন-চানকাভ। এরপর জামাল ভূঁইয়া দুর্বল ফ্রি কিকে বল তুলে দেন গোলরক্ষকের গ্লাভসে। এটিই ছিল বাংলাদেশের প্রথম আক্রমণ।

তবে ২৪ মিনিটে দারুণ এক প্রতি আক্রমণ থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে যায়। ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের ক্রস থেকে মজিবর রহমান জনি ৬ গজের প্রান্ত থেকে বাঁ পায়ে দারুণভাবে প্লেসিং করে লক্ষ্যভেদ করেছেন। গোলের সঙ্গে ৩০ হাজার গ্যালারি ভর্তি দর্শকরাও স্তব্ধ হয়ে যান সঙ্গে সঙ্গে।

কম্বোডিয়া ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া হয়ে ওঠে আরও। অন্যদিকে, এগিয়ে যাওয়ায় আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠা বাংলাদেশও। রক্ষণাত্মক কৌশল বদলে কিছুটা আক্রমনত্মক হয়ে খেলা শুরু করে তারা। শেষ পর্যন্ত ১-০ ব্যাবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।

বিরতির পর কম্বোডিয়া ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে রাখার চেষ্টা করে। ৫২ মিনিটে তাদের একটি আক্রমণ গোলকিপার জিকো ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন। এর কিছুক্ষণ পর মাঠে নামেন শেখ মোরসালিন ও ইব্রাহিম। তারা অবশ্য ম্যাচে সেভাবে কোনো প্রভাব রাখতে পারেননি। উল্টো ৬৫ মিনিটে অভিষিক্ত মোরসালিনের বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া জোরালো শট ক্রস বারের ওপর দিয়ে গেছে। এদিকে ৬৮ মিনিটে লিম পিসথের হেড সাইড বার দিয়ে গেলে সমতায় ফেরা হয়নি স্বাগতিকদের।

শেষ দিকে এসে বাংলাদেশ ১০ জনের দলে পরিণত। কাজী তারিক লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। তবে তাতে করে ম্যাচের ফলে কোনো বদল আসেনি। বাংলাদেশ ম্যাচ জিতেই অলিম্পিক স্টেডিয়ামের মাঠ ছাড়ে।