মুসলমানদের প্রথম কিবলা পবিত্র আল-আকসা মসজিদকে ইহুদি এবং মুসলমানদের মধ্যে দুই ভাগ করার প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন ইসরাইলের লিকুদ পার্টির সংসদ সদস্য অমিত হালেভি।
এ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ফিলিস্তিন। পাশাপাশি তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও মিসরের কাছে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দিয়েছে তারা।
আরব নিউজের খবরে বলা হয়, কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি ইসরাইলকে সতর্ক বার্তা দিয়েও থামানোর চেষ্টা করছে ফিলিস্তিন।
ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শতায়েহ ইসরাইলি কর্তৃপক্ষকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এমন কিছু বাস্তবায়ন করা হলে যে পরিণতি হবে তা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা নেই ইসরাইলের।
রামাল্লায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে ইসরাইলের এমন পরিকল্পনার তীব্র নিন্দা জানান ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এই পদক্ষেপ এমন ক্ষোভের সৃষ্টি করবে এবং এর যা পরিণতি হবে তা আগে থেকে ধারণা করার কোনো সুযোগ নেই। ফিলিস্তিনিদের কাছে আল-আকসা মসজিদের যে ধর্মীয় গুরুত্ব রয়েছে তার কোনো তুলনা হয় না।
তিনি আরব, ইসলামিক ও আন্তর্জাতিক বিশ্বকে ইসরাইলের এমন প্রচেষ্টার নিন্দা জানানোর আহবান জানান। পাশাপাশি ইসরাইলকে যেনো নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয় সেই আবেদনও করেন তিনি।
এদিকে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধকামী কয়েকটি সংগঠনের ঐক্যজোট হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, ইহুদিবাদী ইসরাইল পবিত্র আল-আকসা মসজিদকে ইহুদি এবং মুসলমানদের মধ্যে বিভক্ত করার যে ঘৃণ্য পরিকল্পনা নিয়েছে তা প্রকৃতপক্ষে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল।
ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধকামী সংগঠনগুলো এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, ইসরাইলের লিকুদ পার্টির সংসদ সদস্য অমিত হালেভি আল-আকসা মসজিদকে বিভক্ত করার যে প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন তাতে পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেম শহরের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আবারো অবনতির দিকে নিয়ে যাবে। ইসরাইল এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে গেলে পশ্চিম তীরে ইহুদিবাদ বিরোধী বিস্ফোরণ ঘটবে।
লিকুদ পার্টির সদস্য আমিত হালেভি এই প্রস্তাব উত্থাপন করেন। শিগগিরই ইসরাইলি পার্লামেন্ট নেসেটে এই বিল তোলা হবে বলেও জানা গেছে।