সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেছেন, ফুটবল আমাদের প্রথম প্রেম। এই প্রেমকে নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না। যারা ফুটবলকে নিয়ে দুর্নীতি করে তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে এক হয়ে প্রতিবাদ জানাতে হবে। তাহলে দেশের ফুটবলে আবারো সুদিন ফিরে আসবে।
শুক্রবার (৯ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নওগাঁ জেলা স্টেডিয়ামে ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমি বনাম নওগাঁ জেলা ফুটবল দলের প্রীতি ম্যাচ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, নওগাঁ টিমের সঙ্গে খেলতে পেরে ভালো লেগেছে। এ জেলার মানুষগুলো সহজ সরল। এখান যেকোনো নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়াতে আমি প্রস্তুত। যদি কখনো কারও আইনি সহায়তা লাগে সুপ্রিম কোর্টে এসে যোগাযোগ করলে সহযোগিতা করবো।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে মরহুম আব্দুল জলিল গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে এই প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে পুরো খেলায় ৩৯ মিনিটে নওগাঁ দলের হয়ে গোল করেন রনি। বিপরীতে ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমির হয়ে খেলার ৪৪ মিনিটে দুর্দান্ত গোল করে ম্যাচটি ড্র করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। ম্যাচ শেষে অংশগ্রহণকারী দুই দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন অতিথিরা।
এ সময় নওগাঁ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল শাহরিয়ার রাসেল, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মির্জা ইমাম উদ্দিন, নওগাঁ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নাজমুল হাসানসহ জেলা ক্রীড়া সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বিকেল ৪টায় খেলা শুরু হওয়ার পর স্টেডিয়ামের গ্যালারিসহ চারপাশের মাঠে দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। নওগাঁ, রাজশাহী, জয়পুরহাট, বগুড়াসহ আশপাশের কয়েকটি জেলা থেকে ব্যরিস্টার সুমনের খেলা দেখতে আসেন তার ভক্তরা। দুপুর থেকে বিকেলের মধ্যেই দর্শকদের উপস্থিতিতে স্টেডিয়ামের সবকটি গ্যালারি পরিপূর্ণ হয়ে যায়। অনেকে স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে জায়গা না পেয়ে আশপাশের বহুতল ভবনের ছাদে বসেই খেলা উপভোগ করেন।
নওগাঁ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল শাহরিয়ার রাসেল বলেন, ক্রীড়া সংস্থার কমিটি না থাকায় দীর্ঘ বছর এই মাঠে বড় পরিসরে কোনো খেলার আয়োজন করা যায়নি। অথচ এ জেলা থেকে অনেক খেলোয়াড় জাতীয় টিমে খেলছে। বর্তমান টুর্নামেন্টের আয়োজন করায় এখানে প্রাণ সঞ্চার হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন আয়োজন অব্যাহত থাকবে।