ঢাকা ০৯:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যারা প্রার্থী হতে পারেন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১১:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ জুন ২০২৩
  • ৮৭ বার

২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী হওয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু হয়েছে ডেমোক্র্যাটিক ও রিপাবলিকান পার্টির সদস্যদের মধ্যে। বুধবার সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বুধবার প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তার প্রচারণা শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি তার সাবেক কর্তা ও দলের সদস্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করবেন। পেন্স ছাড়াও নিউ জার্সির সাবেক গভর্নর ক্রিস ক্রিস্টি মঙ্গলবার তার প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন এবং উত্তর ডাকোটার গভর্নর ডগ বার্গাম বুধবার তার প্রচারণার ঘোষণা দেবেন।

ডেমোক্র্যাটিক এবং রিপাবলিকান পার্টির যারা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন

রিপাবলিকান পার্টি

ডোনাল্ড ট্রাম্প: ৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রেসিডেন্ট গত নভেম্বরে তার নির্বাচনে পুনরায় প্রার্থিতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। মধ্যবর্তী নির্বাচনে ট্রাম্প তার দলের যেসব অতিডানপন্থীদের সমর্থন দিয়েছিলেন তারা সবাই পরাজিত হয়েছেন। এ কারণে দলের মধ্যেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সমালোচনা রয়েছে। তবে সম্প্রতি পর্ন তারকা ড্যানিয়েল স্টর্মিকে তথ্য গোপনের জন্য অর্থ দেওয়ার অভিযোগে নিউ ইয়র্কের আদালতে সরকারি কৌঁসুলিরা অভিযুক্ত করার পর ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা রিপাবলিকানদের সমর্থকদের মধ্যে বেড়েছে। রিপাবলিকানদের প্রার্থীদের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প।

রন ডেসান্টিস: ট্রাম্পের পরে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন রিন। তিনি গর্ভপাতের উপর নতুন বিধিনিষেধ আরোপ এবং বন্দুক আইন আরও শিথিল করার বিলে স্বাক্ষর করেছেন। তার এমন অবস্থান তাকে রিপাবলিকান প্রাইমারিতে সাহায্য করতে পারে। তবে সম্ভবত তিনি সাধারণ নির্বাচনে স্বাধীন এবং অতি মধ্যপন্থী ভোটারদের ভোট হারাতে পারেন। ফ্লোরিডা থিম পার্ক নিয়ে ওয়াল্ট ডিজনির সাথে তার যুদ্ধ কিছু দাতাকে বিরক্ত করেছে।

টিম স্কট: একমাত্র কৃষ্ণাঙ্গ রিপাবলিকান মার্কিন সিনেটর। নিজের রাজ্য সাউথ ক্যারোলিনার বাইরে তার পরিচিত কম। তবে তার আশাবাদ এবং বিভক্ত দলকে একত্রিত করার মনোনিবেশ তাকে ট্রাম্প এবং ডিসান্টিসের আরও আক্রমনাত্মক পদ্ধতির সাথে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। স্কট সমর্থকরা অবশ্য স্বীকার করেন যে, তার উজ্জল আচরণ ট্রাম্পের তুলনায় অনেক ভালো হলেও তা জয়ের জন্য যথেষ্ট নাও হতে পারে। রয়টার্স/ইপসোস পোলিং অনুসারে,৫৭ বছর বয়সী স্কট নিবন্ধিত রিপাবলিকানদের মধ্যে মাত্র ১ শতাংম সমর্থন পেয়েছেন। তিনি ২২ মে তার প্রচারণা শুরু করেন।

নিক্কি হ্যালি: দক্ষিণ ক্যারোলিনার সাবেক গভর্নর এবং জাতিসংঘে ট্রাম্পের আমলের রাষ্ট্রদূত ৫১ বছর বয়সী হ্যালি দুই ভারতীয় অভিবাসীর কন্যা। হ্যালি রিপাবলিকান পার্টিতে একজন দৃঢ় রক্ষণশীল হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন, যিনি লিঙ্গ ও বর্ণের সমস্যাগুলিকে তার অনেক সহকর্মীর চেয়ে আরও বিশ্বাসযোগ্যভাবে মোকাবেলা করার ক্ষমতা রাখেন। তিনি বিদেশে আমেরিকান স্বার্থের একজন দৃঢ় রক্ষক হিসাবে নিজেকে তুলে ধরেছেন। তিনি রিপাবলিকান ভোটারদের মধ্যে প্রায় ৪ শতাংশ সমর্থন আদায় করতে সক্ষম।

বিবেক রামাস্বামী: বায়োটেকনোলজি খাতে বিনিয়োগকারী এবং নির্বাহী রামস্বামী ফেব্রুয়ারিতে রিপাবলিকান মনোনয়নের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়েছেন। রাজনৈতিক বহিরাগতরা তাকে ট্রাম্পের সম্ভাব্য বিকল্প হিসাবে তুলে ধরেছেন।

মাইক পেন্স: ২০২১ সালে মার্কিন ক্যাপিটলে ট্রাম্প সমর্থকদের আক্রমণের বিষয়ে সমালোচনা করেছিলেন তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট পেন্স। ৬৪ বছর বয়সী পেন্স ওই সময় বলেছিলেন, হামলার ঘটনার জন্য ‘ইতিহাস ট্রাম্পকে দায়ী করবে’। পেন্স একজন কট্টর রক্ষণশীল। সমর্থনের জন্য তিনি সরাসরি ইভেঞ্জেলিক্যাল খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন করছেন।

ক্রিস ক্রিস্টি: নিউ জার্সির সাবেক গভর্নর ক্রিস ক্রিস্টি ২০১৬ সালে ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারাভিযানের পরামর্শক ছিলেন। জুনের শুরুতে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে তার প্রচারণা শুরু করেছেন। রয়টার্স/ইপসোসের জরিপ অনুযায়ী, তার পেছনে মাত্র ১ শতাংশ রিপাবলিকানের সমর্থন রয়েছে।

এএসএ হাচিনসন: আরকানসাসের সাবেক এই গভর্নর এপ্রিল মাসে হোয়াইট হাউসের জন্য তার প্রচারণা শুরু করেছিলেন। ট্রাম্পকে তার মামলার অভিযুক্তদের মোকাবেলা করার জন্য সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ৭২ বছর বয়সী হাচিনসন অনেক বেশি রক্ষণশীল রাজ্যে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতাকে প্রমাণ হিসাবে হাজির করেছেন। তিনি রিপাবলিকান ভোটারদের যত্ন নেওয়ার নীতি, কর কমানো এবং চাকরি সৃষ্টির উদ্যোগকে গর্বের বিশেষ উৎস হিসাবে উল্লেখ করেছেন। তবে এরপরও তার পরিচিতি আরকানসাসের মধ্যেই সীমিত।

ডগ বার্গাম: বার্গাম উত্তর ডাকোটার গভর্নর হিসাবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ৭ জুন তার প্রচারাভিযান শুরু করার পরিকল্পনা করছেন। ৬৬ বছর বয়সী বার্গাম ২০০১ সালে মাইক্রোসফট কর্পোরেশনের কাছে বিক্রি করার আগে একটি সফল সফটওয়্যার ব্যবসা গড়ে তুলেছিলেন। তিনি কম ট্যাক্স এবং কম প্রবিধানের প্রবক্তা।

ডেমোক্র্যাটিক পার্টি

জো বাইডেন: ৮০ বছর বয়সী বাইডেন ইতিমধ্যেই সবচেয়ে বয়স্ক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাকে ভোটারদের বোঝাতে হবে যে তার বয়স হওয়ার পরও হোয়াইট হাউসে আরও চার বছর থাকার শক্তি তার আছে। মিত্ররা বলছেন, বাইডেনের প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণ তিনি মনে করেন যে, তিনিই একমাত্র ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী যিনি ট্রাম্পকে পরাজিত করতে পারেন। দ্বিতীয় মেয়াদের প্রার্থিতা ঘোষণা করার সময় বাইডেন বলেছেন, আমেরিকান গণতন্ত্র রক্ষা করা তার কাজ।

মারিয়ান উইলিয়ামসন: সর্বাধিক বিক্রিত বইয়ের লেখক মারিয়ান ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাইমারিতে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করেছিলেন। তবে ভোট শুরুর আগেই তিনি বাদ পড়েন। ২০২৪ সালের নির্বাচনের জন্য তিনি ২৩ মার্চ প্রচারণা শুরু করেছেন।

রবার্ট কেনেডি জুনিয়র: টিকাবিরোধী কর্মী রবার্ট মার্কিন সিনেটর রবার্ট এফ কেনেডির ছেলে এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির ভাতিজা। টিকা এবং কোভিড-১৯ মহামারি সম্পর্কে ভুল তথ্য ছড়ানোর জন্য রবার্টকে ইউটিউব ও ইনস্টাগ্রাম থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যারা প্রার্থী হতে পারেন

আপডেট টাইম : ১১:১১:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ জুন ২০২৩

২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী হওয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু হয়েছে ডেমোক্র্যাটিক ও রিপাবলিকান পার্টির সদস্যদের মধ্যে। বুধবার সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বুধবার প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তার প্রচারণা শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি তার সাবেক কর্তা ও দলের সদস্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করবেন। পেন্স ছাড়াও নিউ জার্সির সাবেক গভর্নর ক্রিস ক্রিস্টি মঙ্গলবার তার প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন এবং উত্তর ডাকোটার গভর্নর ডগ বার্গাম বুধবার তার প্রচারণার ঘোষণা দেবেন।

ডেমোক্র্যাটিক এবং রিপাবলিকান পার্টির যারা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন

রিপাবলিকান পার্টি

ডোনাল্ড ট্রাম্প: ৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রেসিডেন্ট গত নভেম্বরে তার নির্বাচনে পুনরায় প্রার্থিতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। মধ্যবর্তী নির্বাচনে ট্রাম্প তার দলের যেসব অতিডানপন্থীদের সমর্থন দিয়েছিলেন তারা সবাই পরাজিত হয়েছেন। এ কারণে দলের মধ্যেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সমালোচনা রয়েছে। তবে সম্প্রতি পর্ন তারকা ড্যানিয়েল স্টর্মিকে তথ্য গোপনের জন্য অর্থ দেওয়ার অভিযোগে নিউ ইয়র্কের আদালতে সরকারি কৌঁসুলিরা অভিযুক্ত করার পর ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা রিপাবলিকানদের সমর্থকদের মধ্যে বেড়েছে। রিপাবলিকানদের প্রার্থীদের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন ট্রাম্প।

রন ডেসান্টিস: ট্রাম্পের পরে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন রিন। তিনি গর্ভপাতের উপর নতুন বিধিনিষেধ আরোপ এবং বন্দুক আইন আরও শিথিল করার বিলে স্বাক্ষর করেছেন। তার এমন অবস্থান তাকে রিপাবলিকান প্রাইমারিতে সাহায্য করতে পারে। তবে সম্ভবত তিনি সাধারণ নির্বাচনে স্বাধীন এবং অতি মধ্যপন্থী ভোটারদের ভোট হারাতে পারেন। ফ্লোরিডা থিম পার্ক নিয়ে ওয়াল্ট ডিজনির সাথে তার যুদ্ধ কিছু দাতাকে বিরক্ত করেছে।

টিম স্কট: একমাত্র কৃষ্ণাঙ্গ রিপাবলিকান মার্কিন সিনেটর। নিজের রাজ্য সাউথ ক্যারোলিনার বাইরে তার পরিচিত কম। তবে তার আশাবাদ এবং বিভক্ত দলকে একত্রিত করার মনোনিবেশ তাকে ট্রাম্প এবং ডিসান্টিসের আরও আক্রমনাত্মক পদ্ধতির সাথে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। স্কট সমর্থকরা অবশ্য স্বীকার করেন যে, তার উজ্জল আচরণ ট্রাম্পের তুলনায় অনেক ভালো হলেও তা জয়ের জন্য যথেষ্ট নাও হতে পারে। রয়টার্স/ইপসোস পোলিং অনুসারে,৫৭ বছর বয়সী স্কট নিবন্ধিত রিপাবলিকানদের মধ্যে মাত্র ১ শতাংম সমর্থন পেয়েছেন। তিনি ২২ মে তার প্রচারণা শুরু করেন।

নিক্কি হ্যালি: দক্ষিণ ক্যারোলিনার সাবেক গভর্নর এবং জাতিসংঘে ট্রাম্পের আমলের রাষ্ট্রদূত ৫১ বছর বয়সী হ্যালি দুই ভারতীয় অভিবাসীর কন্যা। হ্যালি রিপাবলিকান পার্টিতে একজন দৃঢ় রক্ষণশীল হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন, যিনি লিঙ্গ ও বর্ণের সমস্যাগুলিকে তার অনেক সহকর্মীর চেয়ে আরও বিশ্বাসযোগ্যভাবে মোকাবেলা করার ক্ষমতা রাখেন। তিনি বিদেশে আমেরিকান স্বার্থের একজন দৃঢ় রক্ষক হিসাবে নিজেকে তুলে ধরেছেন। তিনি রিপাবলিকান ভোটারদের মধ্যে প্রায় ৪ শতাংশ সমর্থন আদায় করতে সক্ষম।

বিবেক রামাস্বামী: বায়োটেকনোলজি খাতে বিনিয়োগকারী এবং নির্বাহী রামস্বামী ফেব্রুয়ারিতে রিপাবলিকান মনোনয়নের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়েছেন। রাজনৈতিক বহিরাগতরা তাকে ট্রাম্পের সম্ভাব্য বিকল্প হিসাবে তুলে ধরেছেন।

মাইক পেন্স: ২০২১ সালে মার্কিন ক্যাপিটলে ট্রাম্প সমর্থকদের আক্রমণের বিষয়ে সমালোচনা করেছিলেন তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট পেন্স। ৬৪ বছর বয়সী পেন্স ওই সময় বলেছিলেন, হামলার ঘটনার জন্য ‘ইতিহাস ট্রাম্পকে দায়ী করবে’। পেন্স একজন কট্টর রক্ষণশীল। সমর্থনের জন্য তিনি সরাসরি ইভেঞ্জেলিক্যাল খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন করছেন।

ক্রিস ক্রিস্টি: নিউ জার্সির সাবেক গভর্নর ক্রিস ক্রিস্টি ২০১৬ সালে ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারাভিযানের পরামর্শক ছিলেন। জুনের শুরুতে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে তার প্রচারণা শুরু করেছেন। রয়টার্স/ইপসোসের জরিপ অনুযায়ী, তার পেছনে মাত্র ১ শতাংশ রিপাবলিকানের সমর্থন রয়েছে।

এএসএ হাচিনসন: আরকানসাসের সাবেক এই গভর্নর এপ্রিল মাসে হোয়াইট হাউসের জন্য তার প্রচারণা শুরু করেছিলেন। ট্রাম্পকে তার মামলার অভিযুক্তদের মোকাবেলা করার জন্য সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ৭২ বছর বয়সী হাচিনসন অনেক বেশি রক্ষণশীল রাজ্যে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতাকে প্রমাণ হিসাবে হাজির করেছেন। তিনি রিপাবলিকান ভোটারদের যত্ন নেওয়ার নীতি, কর কমানো এবং চাকরি সৃষ্টির উদ্যোগকে গর্বের বিশেষ উৎস হিসাবে উল্লেখ করেছেন। তবে এরপরও তার পরিচিতি আরকানসাসের মধ্যেই সীমিত।

ডগ বার্গাম: বার্গাম উত্তর ডাকোটার গভর্নর হিসাবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ৭ জুন তার প্রচারাভিযান শুরু করার পরিকল্পনা করছেন। ৬৬ বছর বয়সী বার্গাম ২০০১ সালে মাইক্রোসফট কর্পোরেশনের কাছে বিক্রি করার আগে একটি সফল সফটওয়্যার ব্যবসা গড়ে তুলেছিলেন। তিনি কম ট্যাক্স এবং কম প্রবিধানের প্রবক্তা।

ডেমোক্র্যাটিক পার্টি

জো বাইডেন: ৮০ বছর বয়সী বাইডেন ইতিমধ্যেই সবচেয়ে বয়স্ক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাকে ভোটারদের বোঝাতে হবে যে তার বয়স হওয়ার পরও হোয়াইট হাউসে আরও চার বছর থাকার শক্তি তার আছে। মিত্ররা বলছেন, বাইডেনের প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণ তিনি মনে করেন যে, তিনিই একমাত্র ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী যিনি ট্রাম্পকে পরাজিত করতে পারেন। দ্বিতীয় মেয়াদের প্রার্থিতা ঘোষণা করার সময় বাইডেন বলেছেন, আমেরিকান গণতন্ত্র রক্ষা করা তার কাজ।

মারিয়ান উইলিয়ামসন: সর্বাধিক বিক্রিত বইয়ের লেখক মারিয়ান ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাইমারিতে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করেছিলেন। তবে ভোট শুরুর আগেই তিনি বাদ পড়েন। ২০২৪ সালের নির্বাচনের জন্য তিনি ২৩ মার্চ প্রচারণা শুরু করেছেন।

রবার্ট কেনেডি জুনিয়র: টিকাবিরোধী কর্মী রবার্ট মার্কিন সিনেটর রবার্ট এফ কেনেডির ছেলে এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির ভাতিজা। টিকা এবং কোভিড-১৯ মহামারি সম্পর্কে ভুল তথ্য ছড়ানোর জন্য রবার্টকে ইউটিউব ও ইনস্টাগ্রাম থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।