দীর্ঘ ১৪ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে অবশেষে ফেডারেশন কাপের শিরোপা জিতলো মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। সবশেষ ২০০৯ সালে আবাহনী লিমিটেডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সাদা-কালোরা। এবারও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী সেই আবাহনীকে হারিয়ে শিরোপা মালা গলায় পরলো ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি।
কুমিল্লার ধীরেন্দ্রনাথ স্টেডিয়ামে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয় ৩-৩ গোলের সমতায়।
অতিরিক্ত সময়ে মোহামেডান এগিয়ে যখন শিরোপা জয়ের স্বপ্নে বিভোর তখনই আবাহনীকে উদ্ধার করেন রহমত মিয়া। এরপর ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে ৪-২ গোলে আবাহনীকে হারিয়ে ১১বারের মতো ফেডারেশন কাপের শিরোপা ঘরে তোলে মোহামেডান।
টাইব্রেকার নামক লটারির আগে পুরো ম্যাচই ছিল আবাহনী বনাম মোহামেডান অধিনায়ক সোলেমান দিয়াবাতে! প্রথমার্ধে আবাহনী ২-০ গোলে এগিয়ে যায় ফরোয়ার্ড ফাহিম ও দানিয়েল কলিন্দ্রেস। সেই গোল দুটি দ্বিতীয়ার্ধে শোধ দেন দিয়াবাতে। ৬০ মিনিটের মধ্যেই দলকে ম্যাচে ফেরান তিনি। তবে কিছুক্ষণ পরেই আবার লিড নেয় আবাহনী। এবার গোল করেন এমেকা।
কিন্তু দিয়াবাতেকে দমিয়ে রাখা যায়নি। ৮৩ মিনিটে দিয়াবাতে হ্যাটট্রিক করে মোহামেডানকে আবার ম্যাচে ফেরান। এরপর অতিরিক্ত সময়ে নিজেই পেনাল্টি আদায় করে নিয়ে স্পটকিক থেকে প্রথমবার মোহামেডানকে এগিয়ে নেন এই দিয়াবাতে। তখন মনে হচ্ছিল, শিরোপায় জিততে চলেছে মোহামেডান।
কিন্তু ফেড কাপ ইতিহাসের অন্যতম সেরা ম্যাচের নাটকীয়তার তখনও ছিল বাকি। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে বক্সের বাইরে থেকে আচমকা শটে ৪-৪ করেন আবাহনীর ডিফেন্ডার রহমত মিয়া। রহমতের দুর্দান্ত গোলেই ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।
ভাগ্য পরীক্ষায় টাইব্রেকারে প্রথম গোলটাও দিয়াবাতের। কিন্তু আবাহনীর রাফায়েলের নেওয়া প্রথম শটটা আটকে দেন মোহামেডানের বদলি গোলকিপার আহসান হাবিব বিপু। মোহামেডানের চতুর্থ শট আটকে দেন আবাহনী গোলকিপার শহীদুল। আবাহনীর হয়ে চতুর্থ শট নেন কলিনদ্রেস। তবে বিশ্বকাপ খেলা এই কোস্টারিকান ফুটবলারের শটটা আটকে দেন মোহামেডান গোলকিপার। পরে পঞ্চম শটে কামরুল গোল করতেই উল্লাসে ফেটে পড়ে সাদা-কালোরা।