প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ২৩৭ রানের জবাবে ৩৪৫ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দল। ১০৮ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭৪ রান। সাদমান ইসলাম, শাহাদাত হোসাইন ও ইরফান শুক্কুরের হাফ সেঞ্চুরিতে এই রান গড়া বাংলাদেশের লিড ১৬৬ রানের।
৬ উইকেটে ২৬৮ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সকালের দিকে উইকেটে যেন জমে গিয়েছিলেন আগের দিনের অপরাজিত দুই ব্যাটসম্যান জশুয়া ডি সিলভা ও কেভিন সিনক্লেয়ার। ৩২৯ রানের মাথায় পেসার তানজিম হাসান সাকিবের বলে সিনক্লেয়ার ফিরলে (৩২) ভাঙ্গে এ জুটি।
বাকি ৩ উইকেটও খুব দ্রুতই হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সাকিবের তোপে ৩৪৫ রানেই গুটিয়ে যায় তারা। ক্যারিবিয় ব্যাটিংয়ের শেষ ৪ ব্যাটসম্যানই সাকিবের শিকার। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক জশুয়া। তবে ইনিংস সর্বোচ্চ রান হয়ে থাকে আগের দিনে ৯১ রানে থামা কার্ক ম্যাকেঞ্জির ইনিংসই।
১০৮ রানে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। ৫১ রানের মধ্যেই হারায় জাকির হাসান ও সাইফ হাসানের উইকেট। তৃতীয় উইকেটে মোহাম্মদ নাঈমকে নিয়ে ৫৬ রানের জুটি গড়েন সাদমান। ১০৭ রানের মাথায় ২৮ রান করে বিদায় হন নাঈম। চতুর্থ উইকেটে প্রথম ইনিংসে অর্ধশতক পাওয়া শাহাদাতের সঙ্গে ৬৮ রানের জুটি গড়েন সাদমান। এরপর খানিক ছন্দপতন। ১৭৫ রানের মাথায় ৭৪ রান করা সাদমানের বিদায়ের পর ৫ রান যোগ হতেই ফেরেন অধিনায়ক আফিফ হোসাইন। এরপর ২০৯ রানে ফেরেন শাহাদাতও। ফিফটি ছোঁয়ার পরপরই ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন তিনি।
তবে দিনের শেষদিকে দারুণ ব্যাটিং প্রদর্শন করেন ইরফান শুক্কুর ও নাঈম হাসান। হার না মানা ৬৫ রানের জুটি গড়ে মাঠ ছাড়েন তারা। ইরফান ৬৪ রানে আর নাঈম অপরাজিত আছেন ১৪ রান করে। আগামীকাল ম্যাচের শেষ দিন। এই দুজনের ব্যাটের দিকেই তাকিয়ে থাকবে বাংলাদেশ।