ঢাকা ০৯:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গা বাঁচিয়ে খেলা সম্ভব নয়

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৫৪:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩
  • ৮৬ বার

চোটের কারণে ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলা হয়নি তাসকিন আহমেদের। অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে আরও একটি বিশ্বকাপ।

চোটমুক্ত থাকতে বিশ্বকাপের আগের ম‍্যাচগুলোতে গা বাঁচিয়ে খেলবেন?

এমন প্রশ্নের জবাবে মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে তাসকিন বলেন, আল্লাহর রহমতে ফিটনেসের অবস্থা এখন ভালো। চারটা সেশন বোলিং করলাম। ওয়ার্কলোড ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। ফিটনেস সেশন, বোলিং সেশনগুলো ভালো যাচ্ছে। সামনে ওয়ার্কলোডের মাত্রা আরও বাড়তে থাকবে। এভাবে যেতে থাকলে সব ভালো হবে।

তিনি আরও বলেন, একটা জিনিস হলো, গা বাঁচিয়ে খেলা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। বল হাতে নিয়ে খেলতে নামলে এটা মাথায় থাকে না যে কিভাবে নিরাপদে খেলা যায়। তার ওপর আমি তো ফাস্ট বোলার। লাল-সবুজ জার্সি পরে খেলাটা অনেক গর্বের একটা ব্যাপার। শুধু এটা নয়, ক্রিকেট খেলাটাই আসলে। তো যখন খেলতে নামি, মাথায় এটা থাকে না যে সামনে বড় ইভেন্ট আছে না কী আছে। আল্লাহ যাতে সুস্থ রাখেন, এটাই সবসময় দোয়া করি।

তাসকিন আরও বলেন, ইনজুরির কারণে দলের বাইরে থাকার স্বাদটা কখনো আনন্দদায়ক নয়। ক্রিকেটার হিসেবে খারাপ লাগে। ২০১৯ বিশ্বকাপে যখন বাদ পড়েছিলাম, ওই মুহূর্তটা খুব দুঃখজনক ছিল। তবে এখন বুঝতে পারি, আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন।

দেশের গতিময় এই পেসার আরও বলেন, বিশ্বকাপের পর নিজের ওয়ার্ক এথিকস, প্রক্রিয়া কিছুটা বদলেছি। যা ক্রিকেটার হিসেবে খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল আমার জন্য। এখন আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো প্রক্রিয়ায় আছি। একটা আত্মবিশ্বাস থাকে যে, আমি নিজের শতভাগ দিচ্ছি প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে। তাই ভালো কিছু হবে আশা করছি।

তিনি বলেন, প্রত্যেকটা ম্যাচের আগেই আসলে প্রস্তুতি নিতে হয়। নতুন দিন, নতুন ম্যাচ, নতুন প্রস্তুতি। আমরা তো উপমহাদেশেই খেলি। ভারতেরটা তুলনামূলক বেশি ভালো উইকেট হয়, ব্যাটিংয়ের জন্য। একদিক দিয়ে ভালো, ওখানে ভালো করতে পারলে আত্মবিশ্বাস আরও জন্মাবে। আর হারানোর ভয়টা কম রেখে যদি এগোতে পারি, আমাদের জন্যই ভালো।

জাতীয় দলের অভিজ্ঞ এই পেসার আরও বলেন, এক দুই দিন খারাপ দিন যেতে পারে যে কোনো বোলার বা ক্রিকেটারের। সেটা যাবেই। তবে আমার বিশ্বাস, আমরা আমাদের সেরা ছন্দের সর্বোচ্চটা বাস্তবায়ন করতে পারলে ওই কন্ডিশনেও ভালো করা সম্ভব। অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং, তবে আমরা ওই চ্যালেঞ্জটা নেব ইনশাআল্লাহ্‌।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

গা বাঁচিয়ে খেলা সম্ভব নয়

আপডেট টাইম : ১১:৫৪:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩

চোটের কারণে ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলা হয়নি তাসকিন আহমেদের। অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে আরও একটি বিশ্বকাপ।

চোটমুক্ত থাকতে বিশ্বকাপের আগের ম‍্যাচগুলোতে গা বাঁচিয়ে খেলবেন?

এমন প্রশ্নের জবাবে মঙ্গলবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে তাসকিন বলেন, আল্লাহর রহমতে ফিটনেসের অবস্থা এখন ভালো। চারটা সেশন বোলিং করলাম। ওয়ার্কলোড ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। ফিটনেস সেশন, বোলিং সেশনগুলো ভালো যাচ্ছে। সামনে ওয়ার্কলোডের মাত্রা আরও বাড়তে থাকবে। এভাবে যেতে থাকলে সব ভালো হবে।

তিনি আরও বলেন, একটা জিনিস হলো, গা বাঁচিয়ে খেলা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। বল হাতে নিয়ে খেলতে নামলে এটা মাথায় থাকে না যে কিভাবে নিরাপদে খেলা যায়। তার ওপর আমি তো ফাস্ট বোলার। লাল-সবুজ জার্সি পরে খেলাটা অনেক গর্বের একটা ব্যাপার। শুধু এটা নয়, ক্রিকেট খেলাটাই আসলে। তো যখন খেলতে নামি, মাথায় এটা থাকে না যে সামনে বড় ইভেন্ট আছে না কী আছে। আল্লাহ যাতে সুস্থ রাখেন, এটাই সবসময় দোয়া করি।

তাসকিন আরও বলেন, ইনজুরির কারণে দলের বাইরে থাকার স্বাদটা কখনো আনন্দদায়ক নয়। ক্রিকেটার হিসেবে খারাপ লাগে। ২০১৯ বিশ্বকাপে যখন বাদ পড়েছিলাম, ওই মুহূর্তটা খুব দুঃখজনক ছিল। তবে এখন বুঝতে পারি, আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন।

দেশের গতিময় এই পেসার আরও বলেন, বিশ্বকাপের পর নিজের ওয়ার্ক এথিকস, প্রক্রিয়া কিছুটা বদলেছি। যা ক্রিকেটার হিসেবে খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল আমার জন্য। এখন আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো প্রক্রিয়ায় আছি। একটা আত্মবিশ্বাস থাকে যে, আমি নিজের শতভাগ দিচ্ছি প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে। তাই ভালো কিছু হবে আশা করছি।

তিনি বলেন, প্রত্যেকটা ম্যাচের আগেই আসলে প্রস্তুতি নিতে হয়। নতুন দিন, নতুন ম্যাচ, নতুন প্রস্তুতি। আমরা তো উপমহাদেশেই খেলি। ভারতেরটা তুলনামূলক বেশি ভালো উইকেট হয়, ব্যাটিংয়ের জন্য। একদিক দিয়ে ভালো, ওখানে ভালো করতে পারলে আত্মবিশ্বাস আরও জন্মাবে। আর হারানোর ভয়টা কম রেখে যদি এগোতে পারি, আমাদের জন্যই ভালো।

জাতীয় দলের অভিজ্ঞ এই পেসার আরও বলেন, এক দুই দিন খারাপ দিন যেতে পারে যে কোনো বোলার বা ক্রিকেটারের। সেটা যাবেই। তবে আমার বিশ্বাস, আমরা আমাদের সেরা ছন্দের সর্বোচ্চটা বাস্তবায়ন করতে পারলে ওই কন্ডিশনেও ভালো করা সম্ভব। অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং, তবে আমরা ওই চ্যালেঞ্জটা নেব ইনশাআল্লাহ্‌।