আগামী অক্টোবর-নভেম্বর মাসে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে ২০২৩ আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ। এবার অন্য কোনো লক্ষ্য নয়, সরাসরি বিশ্বকাপের শিরোপায় চোখ রাখছে তামিম ইকবালের দল। তাই এখন থেকেই বিশ্বকাপে অংশ নেয়া দলগুলোর চুল চেরা বিশ্লেষণ শুরু করে দিয়েছে টাইগাররা। ম্যাচের একাদশ, কন্ডিশন, পিচের অবস্থা ইত্যাদি কেমন হবে তা নিয়েই চলছে এই বিশ্লেষণ।
আইসিসি সুপার লিগের বাঁধা বেশ ভালোভাবেই উতরে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ দল। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়েও বেশ ইতিবাচক ক্রিকেট খেলছে সাকিব-তামিমরা। তবে টাইগারদের আলোচনার জায়গা একাদশের সাত নম্বর পজিশন নিয়ে। কারণ এই পজিশনে জায়গা পাওয়া নিয়ে কয়েকজনের মধ্যে চলছে ব্যাপক প্রতিদ্বন্দ্বীতা।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) মিরপুর শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সেখানেই তিনি জানান যে, এর সমাধান খুঁজে বেড়াচ্ছেন তিনি। তাই বিষয়টি আরও সহজ হওয়ার জন্য সংবাদকর্মীদের কাছ থেকে বিশ্বকাপ দলের একাদশ চেয়ে বসেন বিসিবি বস।
পাপন বলেন, ‘এখন ক্রিকেট নিয়ে সবচেয়ে বেশি সরব হচ্ছে মিডিয়া। যদিও আমরা এটাতে খুশি। আপনারা এত বেশি সম্পৃক্ত, যা আমাদেরও সাহায্য করে। সোশ্যাল মিডিয়া নিয়েও আমরা খুশি। কিন্তু ওখানে অনেকে মনে হয়েছে ক্রিকেট নিয়ে কোন ধারণাই নেই, কিন্তু মন্তব্য করেই যাচ্ছে।’
এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বিসিবি সভাপতি বিশ্বকাপের একাদশ চেয়ে বলেন, ‘আপনারা যারা আছেন তারা ক্রিকেট সম্পর্কে প্রত্যেকেই আমার চেয়ে বেশি জানেন, এমন বহু লোক এখানে আছেন। আমি চিন্তা করছি আপনাদের কাছে নাম চাইবো যে সেরা একাদশ তৈরি করে দেন। তারপর দেখি আপনারা কী বলেন। এটা হলে ভালো হয় না? জানতে তো পারলাম। আপনারা কি মনে করেন, কাকে খেলানো উচিত?’
বিশ্বকাপ দলে কারা থাকবেন সেটার একটা ধারণা দিয়ে পাপন বলেন, ‘আমাকে যদি জিজ্ঞেস করেন কারা থাকবে দলে, তাহলে বলব তামিম, লিটন, শান্ত, হৃদয়, মুশফিক, সাকিব। এই ছয়জনের মধ্যে কাউকে তো আপনারা বাদ দিবেন বলে মনে হয় না।’
তিনি বলেন, ‘ওপেনিংয়ে নাঈম শেখ ও বিজয় তারাও ভালো পারফর্ম করছে, তারাও আসতে পারে। তবে কে আসবে আমি জানি না। আমার ধারণা ওপেনিংয়ে তারা (বাড়তি) একজনকে নেবে। ইনজুরির জন্য ব্যাকআপ লাগবে।’
পাপন আরও যুক্ত করেন, ‘আমার ধারণা তিনজন পেসার একাদশে থাকবে, এটা নিশ্চিত। সাকিব যদি থাকে, তার বাইরে একজন স্পিনার খেলবে। পাঁচটা বোলার ছাড়া তো বিশ্বকাপে খেলবেন না। হাসান আছে, তাসকিন, শরিফুল, ইবাদত ও মুস্তাফিজ আছে। যে কেউ খেলতে পারে। চারজন পেসারও খেলাতে পারে। যদি তিনজন স্পিনার নিয়ে খেলে তার মানে ছয়জন বোলার নিয়ে খেলাতে চায়। তাহলে বাড়তি স্পিনার লাগবে, সেখানে আছে মেহেদী হাসান মিরাজ। আমার মনে হয় না কেউ বলবে মিরাজকে বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে বাদ দেয়া উচিত।’