লোডশেডিং পরিস্থিতি আগামী ২ দিনের মধ্যে কিছুটা উন্নতি হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সতর্কতার অংশ হিসেবে মহেশখালীর ২টি এলএনজি টার্মিনালের একটি গভীর সমুদ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল, যা পুনস্থাপন করতে ১০-১২ দিন সময় লাগতে পারে।
‘ওই টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হতে ১০-১২ দিন সময় লাগবে। তবে একটি টার্মিনাল আগের জায়গাতেই রয়েছে।
সেখান থেকে দুএকদিনের মধ্যে গ্যাস সরবরাহ শুরু হবে। লোডশেডিং পরিস্থিতিও আগামী ২ দিনের মধ্যে কিছুটা উন্নতি হবে’, বলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী।
আজ রোববার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিদেশ থেকে আমদানি করা তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) এই ২ টার্মিনালের মাধ্যমে গ্যাসে রূপান্তর করে দেশের পাইপলাইনে সরবরাহ করা হয়।
গত শুক্রবার রাত থেকে টার্মিনাল ২টি থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে ঢাকাসহ সারাদেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায়। গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রায় অর্ধেক বন্ধ থাকায় দফায় দফায় ২-৩ ঘণ্টা করে লোডশেডিং করতে হচ্ছে।
ঢাকার বাইরে ৪-৫ ঘণ্টা করেও লোডশেডিং হচ্ছে।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আজ প্রায় ২ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং করতে হচ্ছে, যা ঘূর্ণিঝড় পূর্ববর্তী দিনগুলো থেকে প্রায় দ্বিগুণ।