সিরিজ জয়ের লক্ষে আইরিশদের চ্যালেঞ্জিং টার্গেট দিলো টাইগাররা

বৃষ্টিতে ভেস্তে যায় সিরিজের প্রথম ম্যাচ। আর দ্বিতীয় ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের পাহাড়সমান রান টপকে ৩ উইকেটে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। এবার সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে আইরিশদের ২৭৫ রানে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

রোববার (১৪ মে) ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে সিরিজের শেষ ম্যাচে টসে জিতে বাংলাদেশকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠান আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবার্নি। ব্যাটিংয়ে নেমে খুবটা ভালো শুরু পায়নি বাংলাদেশ। তবে অধিনায়ক তামিম ইকবালের ৯ মাসের বিরতিতে অর্ধশতক ও বাকিদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে সব কটি উইকেট হারিয়ে ৪৮ দশমিক ৫ ওভারে ২৭৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ।

ব্যাটিংয়ে তিনে নাজমুল হোসেন শান্ত, চারে লিটন দাস এবং শেষদিকে মুশফিকুর ও মেহেদী মিরাজরা ভালো শুরু পেলেও তাদের কেউই অর্ধশতকে পৌঁছাতে পারেননি। কেবল তামিমই ফিফটির দেখা পেয়েছেন, আর উইকেট ছুঁড়ে এসে সেঞ্চুরির সুযোগ মিস করেছেন দেশসেরা এই ওপেনার।

ওপেনিংয়ে লাল-সবুজের জার্সিতে অভিষিক্ত ১৪২তম ওয়ানডে ক্রিকেটার ও ১৭তম হিসেবে তামিমের সঙ্গে নামেন রনি তালুকদার। রনির ফেস করা প্রথম ১২ বল থেকে কোনো রানই আসেনি। ১৩তম বলে কাভার দিয়ে চার হাঁকান তিনি। তবে বিপত্তিটা বাঁধে এর পরের বলেই। মার্ক অ্যাডাইরের অফ-স্ট্যাম্পের বেশ বাইরের বল তাড়া করতে গিয়েছিলেন তিনি। এই বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন অভিষিক্ত এই ওপেনার।

রনি ফেরার পর শান্ত ও লিটনকে নিয়ে ৪৯ ও ৭০ রানের জুটি গড়েন তামিম। তবে তাদের বিদায়ে বাকি দুই মিডল-অর্ডার তাওহিদ কিংবা মুশফিকুরের সঙ্গে খুব একটা কেমিস্ট্রি জমেনি অধিনায়কের। আর টাইগারদের কাপ্তান ফেরার পরপরই বড় স্কোরের পথে মূল ধাক্কা খায় বাংলাদেশ।

এরপর ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে আশা দেখান মুশফিক ও মিরাজ। এই জুটি থেকে আসে ৭৫ রান। এ জুটি ভাঙলে আর কেউই ক্রিজে থিতু হতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ইনিংসের ৭ বল বাকি থাকতেই ২৭৪ রানে গুটিয়ে যায় টাইগার শিবির। শেষ দিকে ২১ বলে ১৩ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

আইরিশদের হয়ে মার্ক এডেয়ার চারটি, জর্জ ডকরেল ও অ্যান্ডি ম্যাকব্রিন দুটি করে এবং ক্রেইগ ইয়াং একটি উইকেট শিকার করেছেন। তবে ৯ ওভারে ৬৫ রান খরচায় উইকেট শূন্যই ছিলেন আইপিএলে আইরিশদের একমাত্র প্রতিনিধি জশ লিটল।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর