গত এক মাস ধরে এমনিতেই উত্তপ্ত দেশের ফুটবলাঙ্গন। তবে সম্প্রতি সাংবাদিকদের নিয়ে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ও ও সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদের মন্তব্যে সব কিছুকেই ছাপিয়ে গেছে। বিশিষ্ট এই ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের মন্তব্যে ব্যথিত হয়েছেন দেশের ক্রীড়াঙ্গণের সবাই। এই তালিকায় বাদ যাননি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলও।
শনিবার (৬ মে) বিকেলে রাজধানীর শহীদ ক্যাপ্টেন (অব) মনসুর আলী হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে আইএইচএফ টুর্নামেন্টের লোগো উন্মোচন করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। এসময় সাম্প্রতিক সময়ে বাফুফের সাংবাদিক সংক্রান্ত মন্তব্যকে অত্যন্ত বাজে ও কুরুচিপূর্ণ বলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তিনি।
জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘সাংবাদিকরাই আমাদের ক্রীড়াঙ্গনের সকল খবর ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়। সেই সাংবাদিকদের নিয়ে এমন মন্তব্য খুবই নিন্দনীয়। এই কথা অফ বা অন দ্য রেকর্ড নয়। ঘুমিয়েও মানুষ বলতে পারে না।’
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিকদের কল্যাণেই আমাদের খেলাগুলো গ্রামে গঞ্জে ঘর পর্যন্ত পৌঁছায়। যেই সাংবাদিকরা আমাদের জন্য এতকিছু করেন, তাদের বিষয়ে এই ধরনের উক্তি আমাকে মর্মাহত করেছে। এই কথা অফ বা অন দ্য রেকর্ড নয়। আমি মনে এই ধরনের কথা কেউ ঘুমিয়েও বলতে পারে না। এই ধরনের পদে থেকে এই ধরনের কথায় আমি খুবই কষ্ট পেয়েছি।’
তিনি বলেন, বাবা-মা’কে জড়িয়ে মন্তব্য করাটা সবচেয়ে বেশি ব্যথিত করেছে, মন্ত্রী দোষ করলে তার পরিবার বা কোনো সাংবাদিকের ভুল হলে তার পরিবার নিয়ে মন্তব্য করার অধিকার কারো নেই। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কোনো বিবেকবান মানুষ এই ধরনের মন্তব্য করতে পারেন না।’
আগামী ১৪ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করবেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। সেই সময় তিনি সামগ্রিক বিষয় তুলে ধরবেন তিনি। এ প্রসঙ্গে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মূলত বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের গ্যালারী শেড ও ফ্লাডলাইটের ডিজাইন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দেখানো হবে। তিনি অনুমোদন দিলে আমরা পরবর্তী পর্যায়ের কাজ করব।’
সম্প্রতি একটি জুনিয়র টেনিসে দল গঠনে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। ছয় জনের দলে পাঁচ জনই ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের সন্তান। এই বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এমনটি কাম্য নয়। বিষয়টি নিয়ে সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আলাপ করব।’