সৌদি আরবের পর্যটনবিষয়ক শুভেচ্ছাদূত লিওনেল মেসি। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে ভ্রমণপিপাসুদের টানতে আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে বিশাল অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ করেছে সৌদি সরকার। এরই মধ্যে সৌদি সফর করেছেন সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই তারকা। কিন্তু সৌদিতে মেসির সাম্প্রতিক সফরটি সেটির অংশ নয় বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে।
ফিফার এজেন্ট মার্কো কির্দেমির দাবি করছেন, মেসি আসলে সপরিবার সৌদি আরবে গিয়েছিলেন তার থাকার জায়গা দেখতে। মেসির পরিবার যদি সৌদি আরবে থাকার সুযোগ–সুবিধা দেখে ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয়, তাহলে সৌদি ক্লাব আল হিলালেই নাম লেখাতে পারেন বিশ্বকাপজয়ী এই খুদে জাদুকর।
ফুটবলবিষয়ক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ‘গোলডটকম’ এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। সংবাদমাধ্যমটিকে কার্দেমির বলেছেন, ‘সে (মেসি) বার্সেলোনায় যাবে না। বার্সেলোনায় সে ফিরতে চায় অবসরের পর।’
চলতি মৌসুমেই পিএসজির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে লিওনেল মেসির। এরই মধ্যে আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে দলে ভেড়াতে উঠে পড়ে লেগেছে বেশ কয়েকটি ক্লাব। এই তালিকায় মেসির সাবেক ক্লাব বার্সেলোনা, সৌদি আরবের ক্লাব আল-হিলাল ও যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগের ক্লাব ইন্টার মিয়ামির নাম রয়েছে।
আল হিলাল থেকে বড় অঙ্কের প্রস্তাব পাওয়ার কথা উল্লেখ করে কির্দেমির বলেন, ‘সৌদি বাদশাহর ক্লাব আল হিলাল থেকে সে ৬০ কোটি ডলারের প্রস্তাব পেয়েছে। সে দেশটিতে তার (বাদশাহ সালমান) সঙ্গে দেখা করতে গেছে। সে দেখতে গেছে, সেখানে কোথায় থাকতে পারে। তার পরিবার সায় দিলে মেসি সৌদি আরবেই খেলবে।’
এদিকে পিএসজির অনুমতি ছাড়াই সৌদি সফরে গিয়ে শাস্তির মুখে পড়েছেন মেসি। তাই ফরাসি জায়ান্টরা মেসিকে দুই সপ্তাহের শাস্তির পাশাপাশি প্রায় ১৭ লাখ ইউরো আর্থিক জরিমানা করেছে। ফলে চলতি মৌসুমে আর মাত্র ৩টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন তিনি। হতে পারে ক্লাবটির সঙ্গে এটিই শেষ মৌসুম।