চলতি মৌসুমে হজ নিবন্ধনের ৮ম দফায় সময় বৃদ্ধি করেও সাড়া মেলেনি হজযাত্রীদের। শেষ ধাপে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনায় প্রাক নিবন্ধন করেছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৯৪ জন। চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। সৌদি আরবের সঙ্গে হজ চুক্তি অনুযায়ী আসন ফাঁকা রয়েছে সাড়ে সাত হাজার।
এদিকে শেষ কয়েক ধাপ আগে হজ প্রাক নিবন্ধনের ক্রমিক উমুক্ত করা হয়। পাশাপাশি নতুন করে প্রাক নিবন্ধন করে হজে যাওয়ার সুযোগও ঘোষণা করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এই দারুণ সুযোগেও প্রত্যাশিত সাড়া মেলেনি। হজের নিবন্ধন শুরু হয় চলতি বছর ৮ ফেব্রুয়ারি। ধাপে ধাপে অষ্টমবার অর্থ্যাৎ দুই মাসের বেশি নিবন্ধনের সময় বৃদ্ধি করেও আসন পূর্ণ করতে পারেনি সরকারি ও বেসরকারি হজ ব্যবস্থাপনা সংস্থা।
মঙ্গলবার অষ্টমবার নিববন্ধনের শেষ সময় রাত ৮টায় পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি হজযাত্রী মোট নিবন্ধন করেছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৯৪জন। তার মধ্যে সরকারিভাবে নিবন্ধন করেছে ১০ হাজার ৩৪ জন। আর বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছে ১ লাখ ৯ হাজার ৬৬০ জন। তবে সরকারি ব্যবস্থপনায় নিবন্ধনের আসন ফাঁকা প্রায় পাচঁ হাজার। তবে শুরু থেকে সরকারিভাবে হজ নিবন্ধনের আগ্রহ কম দেখা গেছে হজযাত্রীদের।
হজ্জ এজেন্সীজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম যুগান্তরকে বলেন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় আমাদের আসন আর ফাঁকা নেই। যে আসন গুলো ফাঁকা আছে সে গুলো হজযাত্রীদের গাইড হিসেবে যাবেন।
চলতি মৌসুমে হজযাত্রী নিবন্ধন শুরু হয় ৮ফেব্রুয়ারি। শুরুতে সময় বেঁধে দেয়া হয়েছিল ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। কিন্তু আশানুরূপ নিবন্ধন না হওয়ায় অষ্টম দফায় সময় বাড়িয়ে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী, সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার ও অবশিষ্ট এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।
চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় একটি প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনের নিয়ম রাখা হয়েছে। এবার সরকারিভাবে হজ পালনে খরচ হবে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। অন্যদিকে বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। এরমধ্যে সরকারি ও বেসরকারিভাবে ১১ হাজার ৭২৫ টাকা কমানো হয়েছে।