কাতার বিশ্বকাপের আগে ক্যারিয়ারে সম্ভাব্য সবকিছুই জিতেছিলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি। অপ্রাপ্তি বলতে শুধু ছিল বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফিটা। তবে মরুর বুকে নিজের শেষ বিশ্বকাপ খেলতে নেমে সেটির আক্ষেপও মিটিয়েছেন ফুটবলের এই জাদুকর। তিন যুগের শিরোপাখরা ঘুচিয়ে আকাশী-সাদা সমর্থকদের শিরোপার উৎসবে ভাসিয়েছেন। আর এমন কিছুর পর এলএমটেনের জন্য যেন সবকিছু উজাড় করে দিতেই প্রস্তুত দেশটির ফুটবল কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে সমর্থকরা। আরাধ্য বিশ্বকাপ শিরোপা জেতানোর নায়ক বলে কথা!
দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে মেসি এখন জন্মভূমি আর্জেন্টিনায়। সেখানে পুরো দল দারুণ সময় কাটাচ্ছে। বিশ্বকাপের পর তিন তারকা জার্সিতে আর্জেন্টিনার প্রথমবার মাঠে নামাকে স্মরণীয় করেছে বুয়েন্স এইরেসের মনুমেন্তাল স্টেডিয়ামের ৮৪ হাজার দর্শক। এখানেই শেষ নয়, এবার দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল কনফেডারেশনের (কনমেবল) তৈরি করল মেসির ভাস্কর্য। যা থাকবে কনমেবলের জাদুঘরে। আর্জেন্টাইন অধিনায়কের এই ভাস্কর্য রাখা হবে পেলে ও দিয়েগো ম্যারাডোনার ভাস্কর্যের পাশে। শুধু কী তাই, এদিন কনমেবল প্রেসিডেন্ট আলেহান্দ্রো দমিনগেজ মেসিকে বিশ্ব ফুটবলের ‘শাসক’ ঘোষণা করেছেন।
সোমবার (২৭ মার্চ) রাতে কনমেবল সদর দপ্তরে কোপা লিবার্তাদোরেসের ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এ আয়োজনে মেসিসহ বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা দলকে সম্মাননা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে আর্জেন্টাইন মহাতারকার হাতে ‘ফুটবলের ব্যাটন’ তুলে দেন কনমেবল প্রেসিডেন্ট আলেহান্দ্রো দমিনগেজ। এ সময় দমিনগেজ বলেন, দক্ষিণ আমেরিকা ও বিশ্ব ফুটবলের নেতৃত্ব ও শাসনভার তোমার (মেসি) হাতে তুলে দিলাম।
এ সময় মেসি দাবি করেন, খুবই সুন্দর একটি মুহূর্তের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এত ভালোবাসা পাচ্ছি, এটা অনেক বড় কিছু।
সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই ফুটবলার জানালেন, ‘অনেক লম্বা পথ পাড়ি দিতে হয়েছে আমাকে। সেই পথে অনেক মোড় এসেছে, পরাজয় এসেছে। তবে আমি সবসময় সামনে তাকিয়েছি এবং সাফল্য অর্জন করতে চেয়েছি, বিজয় চেয়েছি। আমার মনে হয়, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার এটিই, স্বপ্নকে তাড়া করা, সবকিছুকে সম্ভব করতে লড়াই করা এবং খেলা উপভোগ করা, যেটি সবচেয়ে সুন্দর।’