মিঠামইনে যুবলীগ কর্মী আকবরের আত্মহত্যা

রফিকুল ইসলামঃ কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলা ঢাকী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের নয়া হাটির যুবলীগ কর্মী মো. আবুল কাসেম আকবর (৪২) ইঁদুর মারার বিষের ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

এ নিয়ে কথা হয় স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (৩২), ঢাকী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আটপাশা গ্রামের অ্যাডভোকেট লুৎফর রহমান ভূঁইয়া রুবেল (৪৩), সাবেক চেয়ারম্যান ও মামুদপুর গ্রামের মো. মুজিবুর রহমান (৫১), সাবেক মেম্বার মো. মুজিবুর রহমান (৫২), কামাল হোসেন চৌধুরী (৫২), একই গ্রামের ঢাকাী ইউনিয়ন কমিটির যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কালু মিয়া (৫০), ২নং ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি ও চকেশ্বর গ্রামের মধু মিয়া (৫০), গোবিন্দপুর নয়া হাটির ও ২নং ওয়ার্ড কমিটির আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম (৬২), গোবিন্দপুর বাজার হাটির নজরুল ইসলাম (৩৫), ঢাকী ইউনিয়ন কমিটির যুবলীগের সভাপতি দিলোয়ার হোসেন (৫৭), গোবিন্দপুর গ্রামের নয়া হাটির বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্য কনস্টেবল মো. নূরুল আমীনসহ আরও অনেকের সঙ্গে।

তারা বলেন, মো. আবুল কাসেম আকবর গত ২৪ মার্চ (শুক্রবার) পারিবারিক কলহের জের ধরে ইঁদুর মারার বিষের ট্যাবলেট খায়। যা পরবর্তীতে সে মারা যায়।

স্ত্রী মোছা. মাহমুদা আক্তার (৩২) ছেলে তাহমিদ (১৬) ও মেয়ে তাহাকে (১২) নিয়ে জেলা শহরে বসবাস করতেন। স্বামী আবুল কাসেম আকবর মাঝেমধ্যে সেখানে গিয়ে দেখবাল করতেন। ঘটনার দিন স্ত্রী মাহমুদা আক্তার গ্রামের বাড়িতে আসেন স্বামীর বড় বোন লিপি আক্তারের কথা শোনে।

তিনি বলেন, আমি রাতের এশার নামাজের ওয়াক্তে গ্রামের বাড়িতে আসি। আসার পরপরই স্বামীর বড় বোন লিপি আক্তার আমাকে মোবাইল ফোনে কিশোরগঞ্জ শহর থেকে জানায় আকবর ইঁদুর মারার বিষের ট্যাবলেট খেয়েছে।

মাহমুদা আক্তার আরও বলেন, এ কথা শোনে তৎক্ষনাৎ আমি আমার স্বামীর কাছে পৌঁছায়। তখন ইঁদুর মারার ৪ টি ট্যাবলেট খেয়ে ফেলেছে বলে আকবর আমাকে জানায়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। আমি তার সাথেই ছিলাম।

এ ব্যাপারে লিপি আক্তারের বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে তাতে তিনি রাজি হননি।

আবুল কাসেম আকবরের ছোট ভাই নবী হোসেন (৩৬) বলেন, ভাই আমার বিষক্রিয়ায় মারা গেছেন। ময়না তদন্তের রিপোর্টের আগে সবকিছু বলা যাচ্ছে না।

আকবরের বড় ছেলে তাহমিদকে (১৬) জিজ্ঞেস করা হলে তিনিও কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. মো. হাফিজ উদ্দিন বলেন, আবুল কাসেম আকবরের ইঁদুর মারার বিষের ট্যাবলেট খাওয়ার বিষয়টি মোবাইল ফোনে ঢাকী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লুৎফর রহমান ভূঁইয়া রুবেল আমাকে জানান।

মিঠামইন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কোলিন্দনাথ গোলদার আকবরের মৃত্যু বিষক্রিয়ায় হয়েছে মন্তব্য করে বলেন, লাশের ময়না তদন্ত সম্এপন্ন হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় কোনো ধরনের অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলে তিনি জানান।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর