বৃষ্টির সঙ্গে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে আয়ারল্যান্ডকে ২২ রানে হারিয়েছে। আজ (২৭ মার্চ) চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ১৯.২ ওভারে ৫ উইকেটে ২০৭ রান করে।এরপর বৃষ্টি শুরু হলে বাংলাদেশের পক্ষে আর ব্যাট করা সম্ভব হয়নি। পরে বৃষ্টি আইনে আায়ারল্যান্ডের সামনে নতুন করে টার্গেট দেওয়া হয় ৮ ওভারে ১০৪ রানের। তারা করতে পারে ৫ উইকেটে ৮১ রান।
৩৮ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন ওপেনার রনি তালুকদার। ৩ ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে। দ্বিতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামেই ২৯ মার্চ।
বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশের ইনিংসের শেষ ৪ বলা খেলা হয়নি। কিন্তু আয়ারল্যান্ড পুরো ২০ ওভার খেলার সুযোগ পেলে তাদের সেই টার্গেট আরও বেড়ে যেত। তখন সেই রান পাড়ি দেওয়া তাদের জন্য কঠিনই হতো। তাদের সেই কঠিন কাজটি অনেকটা সহজ করে দেয় বৃষ্টি। যেখানে নতুন করে তাদের টার্গেট দেওয়া হয় ৮ ওভারে ১০৪ রানের। ওভারপ্রতি ১৩ রান করে। কঠিন হলেও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বিবেচনায় অসম্ভবও নয়।
সেই কঠিনকে জয় করার লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আইরিশরা বেশ ভালোই বার্তা দিয়েছিল বাংলাদেশকে। দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান অধিনায়ক পল স্টার্লিং ও রস অ্যাডায়ার আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন সহজে তারা ছাড় দিবেন না। জয়ের জন্য শেষ চেষ্টা করে যাবেন।
তারই বাস্তবায়ন দেখা যায় ব্যাটিং পাওয়ার প্লের প্রথম ২ ওভারে। যেখানে রান আসে ৩২। নাসুমের প্রথম ওভারে রান আসে ১৮। মোস্তাফিজের করা পরের ওভারে ১৪। ওভারপ্রতি যেখানে ১৩ রান করে দরকার, সেখানে আসে ১৬ করে। মনে হয়েছিল আইরিশরা বাংলাদেশকে বিপদেই ফেলে দেবে। কিন্তু এই শেষ। এরপর থেকেই খেলায় ফিরে বাংলাদেশ। যেখান থেকে তারা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এক ঝটিকায় আইরিশদের ম্যাচ থেকে ছিটকে ফেলে দেয়।
আয়ারল্যান্ডকে ছিটকে ফেলে দেওয়ার কাজটি প্রথম করেন হাসান মাহমুদ। প্রথম ৩ বলে কোনো রান না দেওয়ার পর চতুর্থ বলে রস অ্যাডায়ারকে বোল্ড করেন। ১০ বলে ৩ রান করেন তিনি। কিন্তু আইরিশদের কোমর ভেঙে দেন তাসকিন আহমেদ বল হাতে তুলে নিয়েই এক ওভারে ৩ উইকেট নিয়ে। অধিনায়ক স্টার্লিংসহ (৮ বলে ৪ চারে ১৭) লরকান টাকার (১) ও ডকরেলকে আউট করে (০)। ফলে দলের রান যেখানে ছিল ২ ওভারে বিনা উইকেটে ৩২, সেখানে ৪ ওভার শেষে দলের রান দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ৪৪। বাকি ৪ ওভারে আয়ারল্যান্ডের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৬০ রানের। যা তাদের জন্য আরও কঠিন হয়ে পড়ে। বলা যায় ম্যাচ থেকে তারা ছিটকে যায়।
হ্যারি টেক্টর ও গ্রেথ ডিলানি মারমুখী ব্যাটিং করে দলের হারের ব্যবধান আরও কমিয়ে আনেন। দুইজনে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৩.২ ওভারে ৭২ রান যোগ করেন। তাসকিন তার দ্বিতীয় স্পেলের ১ ওভার করতে এসে টেক্টরকে ডিপ স্কয়ার লেগে মিরাজের ক্যাচে পরিণত করে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে তার সেরা বোলিং করেন। সেই ওভারে ৯ রান দিয়ে তাসকিন ১৬ রানে ৪ উইকেট নেন। তার আগের সেরা বোলিং ছিল অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ২৫ রানে ৪ উইকেট। টেক্টর ৩ চারে ১২ বলে ১৯ রান করেন। ডিলানি অপরাজিত থাকেন ১৪ বলে ৩ চারে ২১ রান করে। তাসকিন ছাড়া হাসান মাহমুদ ২০ রানে নেন ১ উইকেট।