সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডকে পেয়ে একের পর এক রেকর্ড গড়ে গেলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে সাকিব এবং তৌহিদ হৃদয়ের ব্যাটে ভর করে ওয়ানডেতে নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছিলো টাইগাররা।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সাকিব আল হাসান আর তৌহিদ হৃদয়ের জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে ৩৩৮ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। ৩৩৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালো করলেও ১৫৫ টাইগার বোলারদের তোপের মুখে ১৫৫ রানের বেশি করতে পারেনি আইরিশরা। ১৮৩ রানের রেকর্ড জয়ে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে সিরিজ শুরু করলো তামিম ইকবালের দল।
৩৩৯ রানের লক্ষ্যে শুরুটা দুর্দান্ত ছিল সফরকারীদের। প্রথম ১০ ওভারে কোন উইকেট হারানো ছাড়াই পার করে দেয় দুই আইরিশ ওপেনার। ১২তম ওভারে এসে বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন সাকিব আল হাসান। ৬০ রানে প্রথম উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড।
প্রথম উইকেট হারানোর পরই যেন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে আইরিশদের ব্যাটিং লাইনআপ। পরের ওভারেই এবাদতের বলে দুর্দনাত ক্যাচ নিয়ে আইরিশ ওপেনার পল স্টার্লিংকে ফেরান মুশফিক। এবাদতের পরের ওভারে আবারও মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন হ্যারি টেক্টর। ৬৮ রানেই ৩ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড।
সাকিব-এবাদতের পর আইরিশ শিবিরের মিডল-অর্ডার ভেঙে দেন তাসকিন আহমেদ। ১৬তম ওভারে বোলিংয়ে এসেই অ্যান্ড্রু ব্যালবার্নিকে বোল্ড করে সাজঘরে পাঠান তাসকিন। নিজের পরের ওভারে আবারও ঢাকা এক্সপ্রেসের চমক। তাসকিনের বাউন্সারে স্লিপে ইয়াসিরের হাতে ধরা পড়েন লরকান টাকার।
ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে কার্টিস ক্যাম্ফার আর জর্জ ডকরেল প্রতিরোধ গড়লেও এগোতে পারেননি বেশিদূর। দুজনের ৩৩ রানের জুটি ভাঙেন নাসুম আহমেদ। ১০৯ রানে ৬ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। নিজের পরের ওভারে এসে পরপর দুই বলে জোড়া আঘাত হানেন নাসুম। ফেরান গ্যারেথ ডিলানি আর অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনকে।
আইরিশদের হয়ে একাই লড়াই চালাচ্ছিলেন জর্জ ডকরেল। তবে ৪৭ বলে ৪৫ রান করা ডকরেলকে ফেরিয়ে আইরিশদের ১৫৫ রানেই অলআউট করে এবাদত। আর তাতেই নিশ্চিত হয় টাইগারদের সবচেয়ে বড় ব্যবধানের ওয়ানডে জয়।
টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন এবাদত হোসেন, আর নাসুম আহমেদ নিয়েছেন ৩টি উইকেট।