ঢাকা ০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফুটবলের টাকায় গ্রামের উন্নয়ন করেন সাদিও মানে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:১৮:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩
  • ৯৮ বার

ফুটবল খেলে যা রোজগার করেন তার বেশিরভাগ নিজের গ্রামের উন্নয়নে ব্যয় করছেন সাদিও মানে। বায়ার্ন মিউনিখে যোগ দেওয়ার কিছুদিন আগে সেনেগালে নিজের গ্রাম বাম্বালিতে গিয়েছিলেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও আফ্রিকান নেশন্স কাপজয়ী এই ফুটবলার।

গ্রামের স্কুল ও হাসপাতালের উন্নয়নে অর্থ দান করেন তিনি। সেই অর্থে হাসপাতালে বর্তমানে মানের গ্রামের মানুষ উন্নত চিকিৎসা পাচ্ছেন। শুধু লিভারপুলের এই সাবেক ফুটবলারের গ্রাম নয়, আশপাশের আরও ৩৪টি গ্রামের মানুষও পাচ্ছেন চিকিৎসাসেবা।

শুধু হাসপাতাল নয়, গ্রামের ছেলেমেয়েরা যাতে পড়াশোনা করতে পারে সেজন্য স্কুল নির্মাণেও অর্থ সাহায্য করেছেন মানে।

গ্রামে ছিল না কোনো পোস্ট অফিস। এর জন্য বাম্বালির মানুষকে অনেক দূর যেতে হতো। সেই সমস্যা দূর করতে মানের টাকায় গ্রামে তৈরি হয়েছে একটি পোস্ট অফিসও। সেই সঙ্গে একটি পেট্রল পাম্প উদ্বোধনের পাশাপাশি গ্রামের মানুষ যাতে ইন্টারনেট পরিষেবা পান, তারও ব্যবস্থা করেছেন লিভারপুলের এই সাবেক তারকা স্ট্রাইকার।

মানের গ্রাম বাম্বালির অধিকাংশ মানুষ গরিব। প্রতিটি দরিদ্র পরিবারকে মাসে ৭০ মার্কিন দেন তিনি। যেসব শিশু দুবেলা খাবার পায় না, তাদের জন্য করেছেন খাবারের ব্যবস্থা।

গ্রামে ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা বাড়াতে গ্রামের বহু শিশুকে দিয়েছেন ফুটবলের জার্সি। সেনেগালে মানের নামে একটি ফুটবল স্টেডিয়ামও রয়েছে। বিলাসবহুল জীবনযাপন ছেড়ে নিজের গ্রামের মানুষের জীবনের মানোন্নয়নে কাজ করছেন এই ফুটবলার।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ফুটবলের টাকায় গ্রামের উন্নয়ন করেন সাদিও মানে

আপডেট টাইম : ০১:১৮:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩

ফুটবল খেলে যা রোজগার করেন তার বেশিরভাগ নিজের গ্রামের উন্নয়নে ব্যয় করছেন সাদিও মানে। বায়ার্ন মিউনিখে যোগ দেওয়ার কিছুদিন আগে সেনেগালে নিজের গ্রাম বাম্বালিতে গিয়েছিলেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও আফ্রিকান নেশন্স কাপজয়ী এই ফুটবলার।

গ্রামের স্কুল ও হাসপাতালের উন্নয়নে অর্থ দান করেন তিনি। সেই অর্থে হাসপাতালে বর্তমানে মানের গ্রামের মানুষ উন্নত চিকিৎসা পাচ্ছেন। শুধু লিভারপুলের এই সাবেক ফুটবলারের গ্রাম নয়, আশপাশের আরও ৩৪টি গ্রামের মানুষও পাচ্ছেন চিকিৎসাসেবা।

শুধু হাসপাতাল নয়, গ্রামের ছেলেমেয়েরা যাতে পড়াশোনা করতে পারে সেজন্য স্কুল নির্মাণেও অর্থ সাহায্য করেছেন মানে।

গ্রামে ছিল না কোনো পোস্ট অফিস। এর জন্য বাম্বালির মানুষকে অনেক দূর যেতে হতো। সেই সমস্যা দূর করতে মানের টাকায় গ্রামে তৈরি হয়েছে একটি পোস্ট অফিসও। সেই সঙ্গে একটি পেট্রল পাম্প উদ্বোধনের পাশাপাশি গ্রামের মানুষ যাতে ইন্টারনেট পরিষেবা পান, তারও ব্যবস্থা করেছেন লিভারপুলের এই সাবেক তারকা স্ট্রাইকার।

মানের গ্রাম বাম্বালির অধিকাংশ মানুষ গরিব। প্রতিটি দরিদ্র পরিবারকে মাসে ৭০ মার্কিন দেন তিনি। যেসব শিশু দুবেলা খাবার পায় না, তাদের জন্য করেছেন খাবারের ব্যবস্থা।

গ্রামে ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা বাড়াতে গ্রামের বহু শিশুকে দিয়েছেন ফুটবলের জার্সি। সেনেগালে মানের নামে একটি ফুটবল স্টেডিয়ামও রয়েছে। বিলাসবহুল জীবনযাপন ছেড়ে নিজের গ্রামের মানুষের জীবনের মানোন্নয়নে কাজ করছেন এই ফুটবলার।