রান তাড়ায় নেমে ঝোড়ো শুরু করেন কুমিল্লার ওপেনার লিটন দাস আর সুনিল নারাইন। তবে ৫ বলে ১০ করা ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারকে দ্রুতই থামিয়ে দেন রুবেল হোসেন। ২৭ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি। স্কোরবোর্ডে আর ৭ রান যোগ হতেই অধিনায়ক ইমরুল কায়েসকে (২) থিসারা পেরেরা তালুবন্দি করেন জর্জ লিন্ডে। দ্রুত ২ উইকেট হারিয়ে একটু চাপে পড়ে কুমিল্লা। লিন্ডের বলেই সীমানায় সহজ ক্যাচ দিয়ে রুবেলের সৌজন্যে বেঁচে যান জনসন চার্লস। তখন তার রান ছিল মাত্র ৮। এর মূল্য চোকাতে হয় সিলেটকে। দারুণ জুটি গড়ে তোলেন লিটন আর চার্লস।
এর আগে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১৭৫ রান তোলে সিলেট স্ট্রাইকার্স। ঝোড়ো শুরু করেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে দ্বিতীয় ওভারেই দলীয় ১৮ রানে তৌহিদ হৃদয়ের (০) বিদায়ে ধাক্কা খায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। আজও তিন নম্বরে নেমেছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি, তবে ব্যাট হাতে ভূমিকা রাখতে পারেননি। আন্দ্রে রাসেলের শিকার হয়ে ফেরেন ১ রানে।
এক প্রান্তে বিধ্বংসী মেজাজে থাকা নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গী হন মুশফিক। দুজনের ৭৯ রানের জুটিতে শক্ত ভিত পায় সিলেট। ৩৫ বলে ফিফট তুলে নেন শান্ত। মঈন আলীর বলে বোল্ড হওয়ার আগে করেন ৪৫ বলে ৯ চার ১ ছক্কায় ৬৪ রান। রায়ান বার্ল (১৩) ব্যর্থ। সুনিল নারাইনের বলে গোল্ডেন ডাক মারেন থিসারা পেরেরা। অন্যদিকে মুশফিক ফিফটি তুলে নেন ৩৫ বলে। শেষ পর্যন্ত তিনি ৪৮ বলে ৫ চার ৩ ছক্কায় ৭৪ রানে অপরাজিত থাকেন। সিলেটের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১৭৫ রান। ৩১ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান।