ঢাকা ০৬:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিলেটকে হারিয়ে ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:১৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ১৩১ বার

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) কোয়ালিফায়ারে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) টসে জিতে সিলেটকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১২৫ রানে অলআউট হয় সিলেট স্ট্রাইকার্স। ১২৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ২০ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটের জয় পায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় সিলেট। দলীয় ১৬ রানেই তিন ব্যাটারকে হারায় সিলেট। ৫ বলে ৫ করে শফিকুল্লাহ গাফরী, ২ বলে ০ করে ও ৪ বলে ২ রান করেন জাকির হাসান।

এরপর অধিনায় মাশরাফি ও নাজমুল শান্ত মিলে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৫৬ রান সংগ্রহ করে এই দুই ব্যাটার। তবে দলীয় ৭২ রানে ১৭ বলে ২৬ রান করে সাজঘরে ফিরে যান মাশরাফি।

মাশরাফির বিদায়ের দলীয় ৭৮ রানে আরও দুই ব্যাটারকে হারায় সিলেট। ২৯ বলে ৩৮ রান করে নাজমুল শান্ত ও রানের খাতা না খুলেই আউট হন রায়ান বার্ল। এরপর মুশফিক ও  জর্জ লিন্ডে মিলে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন।

তবে দলীয় ১১৭ রানে ২২ বলে ২৯ রানে রান করে আউট হন মুশফিক। মুশফিকের বিদায়ের পর দ্রুতই আউট হন হন ক্রিজে আসা তানজিম সাকিব ও ইরুসু উদানা। দলীয় ১২৪ ও ১২৫ রানে ৫ বলে ৬ রান করে সাকিব ও রানের খাতা না খুলেই সাজঘরে ফিরে যান উদানা।

শেষ ব্যাটার হিসেবে লিন্ডে আউট হলে ১৭ ওভার ১ বলে মাত্র ১২৫ রানে অলআউট হয় সিলেট স্ট্রাইকার্স। ১৪ বলে ১৩ রান করে আউট হন লিন্ডে। কুমিল্লার পক্ষে তানভির, আন্দ্রে রাসেল ও মোস্তাফিজ নেন ২টি করে উইকেট।

১২৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে কুমিল্লকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও সুনিল নারিন। উদ্বোধনী জুটিতে ৩২ রান সংগ্রহ করেন এই দুই ব্যাটার। এরপর ১০ বলে ৭ রান করে আউট হন লিটন।

লিটনের বিদায়ের পর দলীয় ৪৮ রানে ১৮ বলে ৩৯ রানের মারকুটে ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে যান সুনিল নারিন। নারিনের বিদায়ের পর ক্রিজে এসে সুবিধা করতে পারেনি জনসন চার্লস।

দলীয় ৫৮ রানে ৫ বলে ৪ রান করে আউট হন জনসন চার্লস। এরপর ইমরুল কায়েস ও মোসাদ্দেক মিলে রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেন। তবে দলীয় ৭৩ রানে ১৫ বলে ১৩ রান করে আউট হন ইমরুল কায়েস।

এরপর মোসাদ্দেক ও ক্রিজে আসা মইন আলির ৩৪ রানের জুটিতে জয়ের ভীত পায় কুমিল্লা। তবে দলীয় ১০৭ রানে পর পর দুই উইকেট হারায় কুমিল্লা। ১৩ বলে ২১ মইন আলি ও জাকের আলি রানের খাতা না খুলেই সাজঘরে ফিরে যান।

শেষ পর্যন্ত মোসাদ্দেক ও আন্দ্রে রাসেলের ব্যাটে ভর করে ২০ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটের জয় পায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। মোসাদ্দেক ২৭ বলে ২৭ ও আন্দ্রে রাসেল ১০ বলে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন। সিলেটের পক্ষে রুবেল হোসেন নেন ৩টি উইকেট।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

সিলেটকে হারিয়ে ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স

আপডেট টাইম : ০১:১৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) কোয়ালিফায়ারে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) টসে জিতে সিলেটকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১২৫ রানে অলআউট হয় সিলেট স্ট্রাইকার্স। ১২৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ২০ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটের জয় পায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় সিলেট। দলীয় ১৬ রানেই তিন ব্যাটারকে হারায় সিলেট। ৫ বলে ৫ করে শফিকুল্লাহ গাফরী, ২ বলে ০ করে ও ৪ বলে ২ রান করেন জাকির হাসান।

এরপর অধিনায় মাশরাফি ও নাজমুল শান্ত মিলে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৫৬ রান সংগ্রহ করে এই দুই ব্যাটার। তবে দলীয় ৭২ রানে ১৭ বলে ২৬ রান করে সাজঘরে ফিরে যান মাশরাফি।

মাশরাফির বিদায়ের দলীয় ৭৮ রানে আরও দুই ব্যাটারকে হারায় সিলেট। ২৯ বলে ৩৮ রান করে নাজমুল শান্ত ও রানের খাতা না খুলেই আউট হন রায়ান বার্ল। এরপর মুশফিক ও  জর্জ লিন্ডে মিলে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন।

তবে দলীয় ১১৭ রানে ২২ বলে ২৯ রানে রান করে আউট হন মুশফিক। মুশফিকের বিদায়ের পর দ্রুতই আউট হন হন ক্রিজে আসা তানজিম সাকিব ও ইরুসু উদানা। দলীয় ১২৪ ও ১২৫ রানে ৫ বলে ৬ রান করে সাকিব ও রানের খাতা না খুলেই সাজঘরে ফিরে যান উদানা।

শেষ ব্যাটার হিসেবে লিন্ডে আউট হলে ১৭ ওভার ১ বলে মাত্র ১২৫ রানে অলআউট হয় সিলেট স্ট্রাইকার্স। ১৪ বলে ১৩ রান করে আউট হন লিন্ডে। কুমিল্লার পক্ষে তানভির, আন্দ্রে রাসেল ও মোস্তাফিজ নেন ২টি করে উইকেট।

১২৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে কুমিল্লকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও সুনিল নারিন। উদ্বোধনী জুটিতে ৩২ রান সংগ্রহ করেন এই দুই ব্যাটার। এরপর ১০ বলে ৭ রান করে আউট হন লিটন।

লিটনের বিদায়ের পর দলীয় ৪৮ রানে ১৮ বলে ৩৯ রানের মারকুটে ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে যান সুনিল নারিন। নারিনের বিদায়ের পর ক্রিজে এসে সুবিধা করতে পারেনি জনসন চার্লস।

দলীয় ৫৮ রানে ৫ বলে ৪ রান করে আউট হন জনসন চার্লস। এরপর ইমরুল কায়েস ও মোসাদ্দেক মিলে রানের চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেন। তবে দলীয় ৭৩ রানে ১৫ বলে ১৩ রান করে আউট হন ইমরুল কায়েস।

এরপর মোসাদ্দেক ও ক্রিজে আসা মইন আলির ৩৪ রানের জুটিতে জয়ের ভীত পায় কুমিল্লা। তবে দলীয় ১০৭ রানে পর পর দুই উইকেট হারায় কুমিল্লা। ১৩ বলে ২১ মইন আলি ও জাকের আলি রানের খাতা না খুলেই সাজঘরে ফিরে যান।

শেষ পর্যন্ত মোসাদ্দেক ও আন্দ্রে রাসেলের ব্যাটে ভর করে ২০ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটের জয় পায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। মোসাদ্দেক ২৭ বলে ২৭ ও আন্দ্রে রাসেল ১০ বলে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন। সিলেটের পক্ষে রুবেল হোসেন নেন ৩টি উইকেট।