বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি মাঝারি মানের

হাওর ব্রতা ডেস্কঃ গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স বা বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে (জিএইচআই) উদ্বেগজনক অবস্থান থেকে মাঝারি অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। যেখানে ১২১টি দেশের মধ্যে ৮৪তম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। তবে বর্তমান খাদ্য ব্যবস্থা, দারিদ্র্য ও ক্ষুধা দূর করতে তা যথেষ্ট নয়। এ কারণে খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিয়ে এক ধরনের চাপা উদ্বেগ রয়েই গেছে।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর খামার বাড়ি এলাকায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স-২০২২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। ২০২২ সালে ১২১টি দেশকে এ গবেষণার আওতায় আনা হয়েছে। ওয়েল্ট হাঙ্গার লাইফ, কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড ও হেলভেটাস বাংলাদেশের যৌথভাবে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।

সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ১৯.৬। যা ২০১৪ সালের তুলনায় শতকরা ২৫.৫ ভাগ উন্নতি। ২০১৪ সালে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ২৬.৩। যা ক্ষুধা সূচকে গুরুতর বলে বিবেচিত হয়। তবে ২০১৪ সাল থেকে দেশে অপুষ্টি, শিশুর বিকাশ বাধাগ্রস্ত হওয়া ও শিশুমৃত্যুর হার কমেছে। শিশু মৃত্যুহার পূর্ববর্তী বছরগুলোতে বেশি ছিল। ২০১৪ সালের ১৪.৪ শতাংশের তুলনায় বর্তমানে তা ৯.৮ শতাংশে নেমে এসেছে।

দেশে সাম্প্রতিক দশকগুলোতে স্টানটিং তথা শিশুর বিকাশ বাধাগ্রস্ত হওয়ার হার ক্রমাগত হ্রাস পেয়েছে। যাকে একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। যা দরিদ্র-বান্ধব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন, স্যানিটেশন ও জনমিতিগত একাধিক ফ্যাক্টরের কারণে সম্ভব হয়েছে।

এদিন প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, খাদ্য উৎপাদনে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষুধা সূচকে শূন্যের কোঠায় চলে আসবে দেশ।

কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর মনীশ কুমার আগরওয়াল বলেন, বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা এবং জিএইচআই অনুযায়ী পুষ্টিসহ বেশকিছু ক্ষেত্রে যথেষ্ট উন্নতি করেছে। তবে কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর