আফগানিস্তানের নারীদের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে নজিরবিহীন এক বৈঠক করেছেন দেশটির কট্টর ইসলামপন্থী জঙ্গিসংগঠন তালেবান। শুক্রবার নরওয়ের রাজধানী অসলোয় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
তালেবান ও কাবুলের মধ্যকার ওই বৈঠক আফগানিস্তানে দীর্ঘদিনের সংঘাতের অবসানের শান্তিপূর্ণ উপায়ের সবশেষ লক্ষণ বলে মনে করা হচ্ছে।
বৈঠকে আফগানিস্তানে নারীর অধিকার, ক্ষমতায়নসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। আফগান নারী প্রতিনিধি দলের একজন ছিলেন আফগানিস্তানের একজন সংসদ সদস্য শুকরিয়া বারাকজাই। তিনি ওই বৈঠককে ‘ঐতিহাসিক’ এক ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন।
তিনি জানান, তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার সময় তারা আফগানিস্তানে নারীর গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে কথাবার্তা বলেছেন। বিগত দশকগুলোতে নারীরা যেসব অধিকার অর্জন করেছেন, সেগুলো রক্ষার বিষয়েও এই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
গত মাসে কাবুলের অজ্ঞাত একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কাতারে তালেবানের এ একই ধরণের সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। কাতারের ওই বৈঠকে কারোর নাম না জানা গেলেও এবার অনেকের পরিচয় পাওয়ার গেছে। তবে বৈঠকটি ছিলো অনানুষ্ঠানিক।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব বৈঠক ও আলোচনার উদ্যোগ দেখে বোঝা যাচ্ছে, উভয়পক্ষ ভবিষ্যতে ক্ষমতা ভাগাভাগির সম্ভাবনা যাচাই করে দেখছেন।
১৯৮৯ সালে সৌভিয়েত সেনারা আফগানিস্তান ত্যাগ করার পর আর ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্র দেশটিতে আক্রমণ করার আগ পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল তালেবান। এ সময় নারীদের ওপর বিভিন্ন বিধি নিষেধ আরোপ করে তালেবান। এমনকি তারা নারী শিক্ষারও ঘোরবিরোধী।
তথ্যসূত্র : বিবিসি।