মদনে নদীতে বাঁধ দিয়ে চলছে মাছ শিকার, দেখার কেউ নেই

মদন (নেত্রকোণা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোণা মদনে তিয়শ্রী ইউনিয়নের তিয়শ্রী বাজারের পাশে ডালি নদীতে বাঁধ দিয়ে চলছে মাছ শিকার। প্রতিবছর একই ব্যাক্তি ইজারা নেওয়ায় প্রতিবছরই নদীর ত্রি -মোহনার দুই পাশেই একই স্থানে দেওয়া হচ্ছে বাঁধ। এতে করে নদীতে তৈরি হচ্ছে স্থায়ী বাঁধ আর নদী হারাচ্ছে নাব্যতা। এগুলো দেখার কেউ নেই।

বিষয়টি নিয়ে চলতি বছরে বেশ কয়েকবার গণমাধ্যম কর্মীরা সংবাদ প্রকাশ করলে প্রশাসন অবগত হয়। তিয়শ্রী ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা জানান, আমি নিজে গিয়ে নদীতে দেওয়া বাঁধ কেটে দিয়ে এসেছি।
কিন্তু শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সরজমিনে গেলে তার কোনো প্রমাণ মেলেনি। বরং প্রশাসনের নিরবতার সুযোগে নদীর ইজারাদারা বাঁধকে আরো মজবুত করে বেঁধে নিয়েছে। নদীর বাঁধ উচ্ছেদ করে নদী রক্ষায় প্রশাসনের তেমন কোনো ভূমিকাও কারোর চোখে পরেনি।
ইজারাদার প্রধান শিক্ষক আল-মামুন তালুকদার নাম মাত্র টাকার বিনিময়ে তিন বছরের জন্য ডালি নদী ইজারা নিয়ে এক সিজনেই লক্ষাধিক টাকার বিনিময়ে সাব-ইজারা দিয়েছেন। এতে সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব।
মাখনা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হেকিমের ছেলে মোঃ মাজু মিয়া বলেন, তিয়শ্রী গ্রামের বাচ্চু আর আলিম নদী ইজারা নেওয়ার পর থেকে গরু-বাছুর নদীতে নামতে দেয়না। গরু-বাছুর নদীতে নামালে মানুষকে মারধোর করে। নদীতে যদি গরু-বাছুর নামাতেই না পারি, গরু-বাছুর দোয়াবো কোথায়? এমনকি একটা হাঁসও নামতে পারেনা। মা-বোনরা যে, একটা হাঁস পালব এই ব্যবস্থা আর রইছে না। আপনাদের মতো কতো সাংবাদিক আইলো দেখলো, কই কিছুই তো হইলো না? এগুলো দেখার কেউ নাই।
এ বিষয়ে ইজারাদার প্রধান শিক্ষক আল-মামুন তালুকদার জানান, নদীর মাছ ধরার জন্য কয়েকজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছ। আমি কোনো সাব-ইজারা দেইনি।
অথচ তিয়শ্রী গ্রামের আলম মিয়া জানান, আমরা প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে ৮-১০ জন মিলে এক সিজনের জন্য এক লক্ষ পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে চলতি বছরের ৩০শে চৈত্র পর্যন্ত  ইজারা নিয়েছি। নদীতে বাঁধ দিয়ে শুকিয়ে মাছ ধরব এই শর্তেই ইজারা নিয়েছি, তাই নদীতে বাঁধ দিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানজিনা শাহরীন জানান, আমি যতটুকু জানি বাঁধ কেটে ফেলা হয়েছে। যেহেতু বাঁধ কাটা হয়নি, আমি নিজেই সরজমিনে যাব এবং ব্যবস্থা নেবো।
Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর