কিশোরগঞ্জের পাঁচ উপজেলার ৪২টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আজ শনিবার বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। করিমগঞ্জ উপজেলার দেহুন্দা ইউনিয়নের ভাটিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে বেলা ১১টার দিকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১০ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে ও লাঠিচার্জ করে। এতে ওই কেন্দ্রের সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার মজিবুর রহমান খানসহ অন্তত ৫ জন আহত হন। এ সময় দুটি ব্যালট বাক্স ভাংচুর ও বেশকিছু ব্যালট পেপার ছিনতাই হয়। পরে এ কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করেন প্রিজাইডিং অফিসার বদরুল আলম।
এদিকে, গুণধর ইউনিয়নের উরদিঘি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে করিমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ জাতীয় পার্টি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিকুল ইসলাম ভূইয়ার সমর্থকদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন। কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করতে গেলে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
এ ছাড়া পাকুন্দিয়া উপজেলার বদিয়া ইউনিয়নের বুরুদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে সকালে আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে ৫ জন আহত হন। দুপুরে পুলেরঘাট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সংঘর্ষে অন্তত ৫ জন আহত হন। এ ছাড়া ইটনা উপজেলার জয়সিদ্ধি ইউনিয়নের ভয়রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের সংঘর্ষে অন্তত ১০জন আহত হয়।