একাধিক বার বিয়ের পিঁড়িতে বসা তারকার মধ্যে থেকে জনপ্রিয় আট তারকার বিয়ের গল্প নিয়ে আমাদের আজকের এ প্রতিবেদন।
অপি করিম : অভিনেত্রী অপি করিম ২০০৭ সালে জাপান প্রবাসী কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার তাসির আহমেদকে বিয়ে করেন। তারপর হঠাৎ তাদের বিচ্ছেদের গুঞ্জন ওঠে। অপির মিডিয়ায় ব্যস্ততা এবং মিডিয়ার লোকদের সঙ্গে মেলামেশাকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না তাসির। অন্যদিকে তাসিরের বিরুদ্ধে আগে আরো একটি বিয়ে করাসহ নানা অভিযোগ তোলেন অপি। ফলে বছর না গড়াতেই তাদের সংসার ভেঙে যায়। এরপর অপি প্রেমে পড়েন নাট্য পরিচালক মাসুদ হাসান উজ্জ্বলের। তারা বিয়েও করেন। কিন্তু সেই বিয়েও বেশিদিন টেকেনি।
অপূর্ব : ছোট পর্দার অভিনয়শিল্পী অপূর্ব অভিনয়শিল্পী প্রভাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু প্রভা বিয়ের আগে রাজিব নামক এক ছেলের সঙ্গে প্রেম ও অবাধ মেলামেশায় জড়িয়েছিলেন। অপূর্বর সঙ্গে প্রভার বিয়ের কিছুদিন পরে রাজিব ও প্রভার কিছু ভিডিওচিত্র ফাঁস হলে, অপূর্ব ডিভোর্স দেন প্রভাকে। বিচ্ছেদের পর অপূর্ব নতুন সংসার বাঁধেন নাজিয়া হাসান অদিতির সঙ্গে।
প্রভা : ছোট পর্দার অভিনয়শিল্পী প্রভা ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন ছোট পর্দার অভিনয়শিল্পী অপূর্বকে। কিন্তু বিয়ের পরে প্রভার আগের প্রেমিক রাজিব, প্রভা ও তার অন্তরঙ্গ ভিডিও প্রকাশ করলে, অপূর্ব ডিভোর্স দেন প্রভাকে। বিচ্ছেদের পর মাহমুদ শান্ত নামের এক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেন প্রভা।
হিল্লোল : মিডিয়াপাড়ায় হিল্লোল-তিন্নির বিয়ে বেশ আলোচিত ছিল। এটাও ছিল ভালোবাসার বিয়ে। তিন্নি ধর্মান্তরিত হয়ে মা-বাবাকে ছেড়ে হিল্লোলের কাছে চলে আসেন। এই দম্পত্তির ঘর আলো করে আসে এক কন্যা সন্তান। তবে এই তারকা দম্পত্তির সংসারও টেকেনি। তিন্নির প্রতি মাদক ও পরপুরুষের আসক্তির অভিযোগ তোলেন হিল্লোল। এ নিয়ে দুজনই দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাল্টা-অভিযোগ তোলেন। যা বিবাহ-বিচ্ছেদ পর্যন্ত গড়ায়। এরপর হিল্লোল আরেক মডেল অভিনেত্রী নওশীনের সঙ্গে নতুন করে সংসার পাতেন।
নওশীন : নওশীন নেহরিন মৌ মিডিয়ায় প্রথম কাজ শুরু করেন আরজে হিসেবে। পরে তিনি টিভি অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করে দারুণ জনপ্রিয়তা পান। এক পর্যায়ে তিনি টিভি নাটকেও নিয়মিত কাজ শুরু করেন। মিডিয়ায় কাজ করতে করতেই অভিনেতা হিল্লোলের সঙ্গে ঘনিষ্টতা বাড়তে থাকে। হিল্লোল তার স্ত্রী তিন্নিকে ছেড়ে নওশীনকে বিয়ে করেন। তবে এটি নওশীনের প্রথম বিয়ে ছিল না। মিডিয়ায় কাজ শুরু আগে তিনি বিয়ে করেন প্রেমিককে। কিন্তু সেই বিয়ে টেকেনি বেশি দিন। সেই ঘরের একটি সন্তানও রয়েছে নওশীনের।
আরফিন রুমি : ২০০৮ সালে কণ্ঠশিল্পী আরফিন রুমির সঙ্গে বিয়ে হয় লামিয়া ইলাম অনন্যার । ২০১০ সালের তাদের একটি পুত্র সন্তান হয়। কিন্তু তাদের এ সংসার বেশিদিন টিকেনি। ২০১২ সালে অনন্যার সঙ্গে দাম্পত্য সম্পর্ক ত্যাগ করে আমেরিকা প্রবাসী কামরুননেসাকে বিয়ে করেন রুমি।
হৃদয় খান : কণ্ঠশিল্পী হৃদয় খান। বয়স ২১ না পেরুতেই দুটি বিয়ে সম্পন্ন করেন তিনি। প্রথমে প্যাড বাদক মানিকের শ্যালিকাকে বিয়ে করেন তিনি। সে সংসার ভাঙার পর পরবর্তীতে ভালোবেসে বিয়ে করেন মডেল ও অভিনয় শিল্পী সুজনাকে। সে বিয়েটাও টিকেনি। ১ বছরের মাথায় ডিভোর্স হয় হৃদয়-সুজানার।
সুজানা : মডেল ও অভিনয় শিল্পী সুজানা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সামির নামের এক যুবককে ২০০৬ সালে বিয়ে করেন। সে বিয়ে ভেঙ্গে যায়। এর পরে বয়সে ৭ বছরের ছোট কণ্ঠশিল্পী হৃদয় খানের সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হোন। তবে খুব দ্রুত ভাঙ্গন ধরে পরবর্তী দাম্পত্যেও।