হাওর বার্তা ডেস্কঃ মরক্কোর জয় যাত্রা থামিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্স।
বদলি নেমে ৪৪ সেকেন্ডে মুয়ানির গোল, ব্যবধান বাড়ালো ফ্রান্স
৪৪ সেকেন্ডে কোলো মুয়ানির গোল, ব্যবধান বাড়ালো ফ্রান্স। ডি বক্সের ডান দিকে বল পেয়েই প্রথম স্পর্শেই গোল করেন মুয়ানি। এটি তার প্রথম আন্তর্জাতিক গোল।বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে গোলটি দ্বিতীয় দ্রুততম। এর আগে ১৯৯৮ বিশ্বকাপে একটি গোল হয়েছিল মাত্র ২৬ সেকেন্ডে।
এগিয়ে ফ্রান্স, লড়ে যাচ্ছে মরক্কো
এগিয়ে ফ্রান্স, লড়ে যাচ্ছে মরক্কো। আক্রমণের পর আক্রমণে ফরাসি ডিফেন্সের পরীক্ষা নিচ্ছেন হাকিমিরা। তবে নিখুঁত ফিনিশারের অভাবে গোলের দেখা পাচ্ছে না দলটি। অন্যদিকে সুযোগ পেলেই ফ্রান্স আক্রমণে যাচ্ছে। বিরতির পর দুটি শট নিয়েছে মরক্কো, এ ছাড়া বেশ কয়েকবার ফরাসি ডিফেন্সে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ফিরে এসেছে।
এগিয়ে থেকে বিরতিতে ফ্রান্স
এগিয়ে থেকে বিরতিতে ফ্রান্স। ম্যাচের ৫ মিনিটে গোল করেন হার্নান্দেজ। দুই দলই বেশ কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া করেছে। ফ্রান্স এগিয়ে থাকলেও মরক্কো বেশ কয়েকবার পরীক্ষা নিয়েছে ডিফেন্সের। মরক্কোর কর্নার থেক সুযোগ তৈরি হয় ৪৪ মিনিটে, ডি বক্সের বাম কোনায় থাকা ইয়ামিক দারুণ এক বাইসাইকেল কিক নেন। দুর্দান্ত সেভ করেন লরিস। অল্পের জন্য বেঁচে যায় ফ্রান্স। এ ছাড়া জিরুদেরও একটি শট বারে লেগে ফিরে আসে। ফ্রান্স ৯ টি শট নেয়, যার মধ্যে ১টি অনটার্গেট শটই গোল। মরক্কো শট নেয় ৫টি, যার মধ্যে দুটি ছিল অনটার্গেট। বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল মরক্কো, তাদের পায়ে বল ছিল ৫৭ শতাংশ সময়। দুইদলই মেতেছিল আক্রমণ পালটা আক্রমণে।
মিনিটেই ফ্রান্সের গোল
ম্যাচের ৫ মিনিটে হার্নান্দেজের গোলে এগিয়ে ফ্রান্স। ডান দিকে ভারানে বল দেন গ্রিজম্যানকে। ডি বক্সে থাকা এমবাপ্পের দিকে বল বাড়িয়ে দেন গ্রিজম্যান। এমবাপ্পে শট নিলেও মরক্কোর ডিফেন্সের বাধায় ফিরে আসে। তবে লাভ হয়নি, বাঁ দিকে থাকা হার্নান্দেজ দারুণ শটে বল জড়িয়ে দেন জালে। কিছুই করার ছিল না মরক্কোর গোলরক্ষক বুনোর।
লরিস, কাউন্ডে, ভারানে, কোনাতে, হার্নান্দেজ, চুয়েমেনি, ফোফানা; ডেম্বেলে, গ্রিজম্যান, এমবাপ্পে ও জিরুদ।
মরক্কো
(৫-২-৩) বোনো, হাকিমি, আল ইয়ামিক, আগুয়ের্ড, সেইস, মাজরাউই, অমরাবত, ওনাহি, জিয়েশ, এন-নেসিরি ও বউফাল।
দুই দলের সামনেই ইতিহাসের হাতছানি
যে দলই জিতুক না কেন, হয়ে যাবে ইতিহাস। জিততে পারলে ৬০ বছরের ইতিহাসে প্রথম ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ফাইনালে খেলবে ফ্রান্স। আর এরই মধ্যে প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে সেমিফাইনালে ওঠা মরক্কো জিতলে ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে নিজেদের নাম লিখবে।
শুরু থেকেইই দাপুটে ফ্রান্স
এবারের বিশ্বকাপে ফ্রান্স দাপট দেখিয়েছে শুরু থেকে। অস্ট্রেলিয়া ও ডেনমার্ককে হারানোর পর গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ তারা অবশ্য হেরেছিল দ্বিতীয় সারির দল নামিয়ে। সবার আগে শেষ ষোলো নিশ্চিত করা দলটি তিউনিসিয়ার কাছে হেরে গ্রুপ পর্বের পর্দা নামায়। এরপর শেষ ষোলোতে সহজেই হারায় পোল্যান্ডকে। আর ইংল্যান্ডের হার না মানা লড়াই থামিয়ে চমৎকার জয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে ফ্রান্স।
মরক্কো যেন আরব্য রজনীর গল্প
মরক্কো যেন এক আরব্য রজনীর গল্প। কাতারে একমাত্র অপরাজিত দল হিসেবে তারা সেমিফাইনালে খেলতে নামছে। ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে গোলশূন্য ড্রয়ের পর বেলজিয়াম ও কানাডাকে হারিয়ে গ্রুপসেরা হয়ে শেষ ষোলোতে ওঠে ১৯৮৬ সালের পর প্রথমবার। আর নকআউটে উঠে যেন আরও ভয়ঙ্কর অ্যাটলাসের সিংহখ্যাত এই আরবীয় দল। ১২০ মিনিটে কোনও গোল না খেয়ে স্পেনকে টাইব্রেকারে হারায়, সেখানেও কোনও গোল হজম করেনি। তাতে ক্ষান্ত হয়নি তারা। পরে পর্তুগালের বিপক্ষে ১-০ গোলে কোয়ার্টার ফাইনাল জিতে গড়লো ইতিহাস।
জয়ী দলের সামনে ফাইনালে আর্জেন্টিনা
এই ম্যাচ দিয়ে রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন মরক্কোর দুই উইঙ্গার হাকিম জিয়েশ ও সোফিয়ানে বৌফল। মরক্কোর হয়ে বিশ্বকাপে রেকর্ড সংখ্যক সপ্তম ম্যাচ খেলতে যাচ্ছেন দুজন। কাউন্টার অ্যাটাকে তারা ফ্রান্সের রক্ষণের কঠিন পরীক্ষা নেবেন। তবে এই বিশ্বকাপের যৌথ সর্বোচ্চ গোলদাতা এমবাপ্পেকেও দিতে হবে অগ্নিপরীক্ষা। একবাক্যে বলা যায়, ইতিহাস গড়তে এই দুই দলের লড়াই হবে উত্তেজনায় ঠাসা। যে জিতবে, আগামী রোববার লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে দাঁড়াবে আর্জেন্টিনার সামনে।