হাওর বার্তা ডেস্কঃ বর্তমানে ফুটবল বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। ফুটবলে একের পর এক বাজিমাত করছে ফ্রান্স। তবেফ্রান্সের বর্তমানের তারকা ফুটবলার বেনজেমা, গ্রিজম্যানের পাশাপাশি রয়েছে কিলিয়ান এমবাপ্পে।
তবে মাত্র ২৩ বছর বয়সী এই ফুটবলারকে কেনই বা বলা হচ্ছে আগামীর তারকা কিংবা কেনই বা তাকে ঘিরে হচ্ছে নানান আলোচনা?
২০১৫ সালে এ এস মোনাকোর জার্সিতে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক ঘটে এমবাপ্পের। তার ঠিক দুই বছর পর, অর্থাৎ ২০১৭ সালে ফ্রান্স জাতীয় দলে ডাক পায় এমবাপ্পে। সেই বছর ফ্রেঞ্চ লিগসহ সারা বিশ্বের বিখ্যাত দল প্যারিস-সেন্ট-জার্মেনে ডাক পান এই তরুন।
মাত্র ১৮ বছর বয়সে জাতীয় দলে অভিষেক ঘটা তরুন এমবাপ্পে মাত্র ১৯ বছর বয়সে জাতীয় দলের জার্সিতে সুযোগ পান বিশ্বকাপ দলে। ২০১৮ সালের সেই বিশ্বকাপে ৪টি গোল করে আলোচনায় আসেন এমবাপ্পে। আর এরপর থেকেই তাকে ঘিরে শুরু হয় নানান আলোচনা।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক ঘটানো দল এ এস মোনাকোর হয়েছে দুই বছরের ক্যারিয়ারে আলো ছড়ায় এই তরুন। ২০১৫-২৬ মৌসুমে ১৪টি ম্যাচে ১ গোল করলেও ২০১৬-১৭ মৌসুমে ৪৪ ম্যাচে করেছেন ২৬ গোল। মোট ৬০ ম্যাচে ২৭ গোলে তাকে দলে নিতে আগ্রহী হয় পিএসজি।
পিএসজি’র জার্সিতে এমবাপ্পের ক্যারিয়ারও সমৃদ্ধ। পিএসজি’র হয়ে ২৩৬ ম্যাচে এমবাপ্পে করেছেন ১৯০টি গোল। ২০১৭-১৮ মৌসুমে ৪৪ ম্যাচে করেছে ২১টি গোল। ২০১৮-১৯ মৌসুমে ৪৩ ম্যাচে ৪৯ গোল এবং ২০১৯-২০২০ মৌসুমে ৩৭ ম্যাচে ৩০টি গোল। এরপর ২০২০-২১ মৌসুমে এমবাপ্পে ৪৭ ম্যাচে করেছেন ৪২ গোল। এরপর ২০২১-২২ মৌসুমে ৪৬ ম্যাচে ৩৯ গোল এবং ২০২২-২৩ মৌসুমে ১৯ ম্যাচে ১৯ গোল তার দখলে।
জাতীয় দল ফ্রান্সের জার্সিতেও এমবাপ্পের ক্যারিয়ার সচ্ছল। ২০১৭ সালে ফ্রান্সের জার্সিতে ১০ ম্যাচে ১টি গোল করেন এমবাপ্পে। তবে ২০১৮ সালে বিশ্বকাপসহ ১৮ ম্যাচে করেন ৯ গোল। ২০১৯ সালে ৬ ম্যাচে ৩ গোল, ২০২০ সালে ৫ ম্যাচে ৩ গোল করেন এবং ২০২১ সালে ১৪ ম্যাচে ৮ গোল করে এই তরুন। ২০২২ সালে ১০টি ম্যাচে ৯টি গোল করেন এমবাপ্পে। ফ্রান্সের হয়ে ৬৩টি ম্যাচে এমবাপ্পে করেছেন ৩৩টি গোল। সর্বশেষ ১৪ ম্যাচে ফ্রান্সের হয়ে ১৬টি গোল করেন এই তরুন।
মাত্র ২৩ বছর বয়সে ৭ বছরের ফুটবল ক্যারিয়ারে ৩৫৯ ম্যাচ খেলে ২৫০টি গোল এমবাপ্পের দখলে। বিশ্বসেরা তারকা নেইমার ৩০ বছর বয়সে করেছেন ৬৯৬ ম্যাচে ৪৩০ গোল, মেসি ৩৫ বছর বয়সে ১০০০ ম্যাচে করেছেন ৭৮৯ গোল।
রোনালদো ৩৭ বছর বয়সে করেছেন ৮১৯টি গোল। আর তাই আগামী বছরগুলোতে এভাবে খেললে এমবাপ্পে টপকাতে পারবে পেলে-ম্যারাডোনাদেরও।
আর এই কারনেই সব ঠিক থাকলে আরো ১০ বছর খেলতে পারবে এমবাপ্পে। এই ১০ বছরে তার ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখাবেন এমবাপ্পে।